E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঈদের পরে বিএনপি নামেও কোনো দল থাকবে না: মায়া

২০১৪ জুন ২০ ১৬:৪১:৩৮
ঈদের পরে বিএনপি নামেও কোনো দল থাকবে না: মায়া

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, এখন যেমন মুসলিম লীগ নামে কোনো দল নেই, তেমনি ঈদের পরে বিএনপি নামেও কোনো দল থাকবে না।

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে দেশরত্ন পরিষদ আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের কূটনৈতিক অপতৎপরতা : বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্তরায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শুক্রবার দুপুরে তিনি এ সব কথা বলেন।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, দেশে শয়তানের আছর লাগছে। ঈদের পর দেশ থেকে শয়তান তাড়াতে হবে। আন্দোলন করতে যে শক্তি-সাহসের প্রয়োজন বিএনপির কোনোটাই নেই।

ঈদের পরে বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, উনি (খালেদা) তো রোজাই রাখেন না, নামাজ পড়েন না। উনি বলছেন, ঈদের পর আন্দোলন করবেন, এটা উনাকে দিয়ে সম্ভব না। আপনি আন্দোলনের হুমকি দেন, আপনার সঙ্গে এখন কেউ নেই। আপনার সঙ্গে আছে শুধু ছায়া।

মায়া বলেন, আওয়ামী লীগ বটগাছ, কলাগাছ না যে ঠেলা দিলে পড়ে যাবে। ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে বাধা দিতে পারবেন না। আন্দোলনের কথা বলে কোনো লাভ নেই।

সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের রিট প্রসঙ্গে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য বলেন, ড. কামাল হোসেন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের অবৈধ করতে হাইকোর্টে গেছেন, হাইকোর্ট উল্টো তাকে গালে একটা মাইরা দিছে।

যারা বাজেট নিয়ে মিডিয়ায় কথা বলেন তাদের সমালোচনা করে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, অনেকে রাত ১২টার পর বড় বড় চায়ের কাপ নিয়ে টকশোতে কথা বলেন, বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলেন। অথচ বাজেট ঘোষণার পর পণ্যের দাম বাড়ছে বলে দেশের মানুষ কোনো কথা বলেননি। তারা এগুলো চোখে দেখেন না। প্রধানমন্ত্রী চীনে যান, জাপান যান, সেখান থেকে বাংলাদেশের জন্য সহযোগিতা নিয়ে আসেন তা কি তাদের চোখে পড়ে না?

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গেলে বিদেশিরা স্বাগত জানান, লালগালিচা সংর্বধনা দেন। অথচ খালেদা জিয়ার জন্য একটি ছালার চট বিছায় না।

সাম্প্রতিক বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যে মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি সে ইতিহাস জানে না, তার কথা কী বলব? কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী তার কথায় তাল মেলায়, এটা আমাদের জন্য লজ্জার। এই লজ্জারও সীমাবদ্ধতা থাকে, তা সীমা ছাড়িয়েছে। তার (তারেক) চিন্তা হলো বঙ্গবন্ধু নিয়ে আবোল-তাবোল বলে মিডিয়ায় কাভারেজ পাওয়া। মা-ছেলে একজন হারমোনিয়াম বাজায়, একজন তবলা বাজান।

সংগঠনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক সবুজ প্রমুখ।


(ওএস/এটিআর/জুন ২০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test