E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘যথাসময়ে নির্বাচন, অহেতুক পানি ঘোলা করার সুযোগ নেই’

২০১৭ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৩:২২:২৯
‘যথাসময়ে নির্বাচন, অহেতুক পানি ঘোলা করার সুযোগ নেই’

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যথাসময়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অহেতুক পানি ঘোলা করে কোনো লাভ হবে না। তিনি বলেন, আমরা একদিকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছি, অন্যদিকে মিয়ানমারকে তাদের ফিরিয়ে নিতে চাপও দিচ্ছি। একটি দেশের নাগরিক কেন শরণার্থী হয়ে আরেক দেশে এসে আশ্রয় নেবে?

বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভার সূচনায় বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারে একটা ঘটনা ঘটল, উদ্বাস্তু হয়ে আমাদের দেশে অনেকে এল। ১৯৭৮ সাল থেকে এরকম উদ্বাস্তু আসছে। মিয়ানমারে এক একটা ঘটনা ঘটে আর আমাদের এখানে উদ্বাস্তুরা আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (রোহিঙ্গারা) আশ্রয়ের আশায় আসছে। নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমরা তাদের আশ্রয় দেয়ার এবং কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছি যাতে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়।

কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেভাবে এগিয়ে যাক। আমরা চাই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন। এটাই ছিল জাতির জনকের স্বপ্ন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন যথাসময়ে হবে। এ নিয়ে অহেতুক পানি ঘোলা করার সুযোগ নেই। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনের সব নিয়মকানুন যারা ভেঙে ফেলেছিল, কোন মুখে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে। কিছু আতেঁল শ্রেণির সুশীলের কারণে এদেশে জনগণের ভোটাধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন এদের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েস আছে কিন্তু‘ ভোটে জেতার সামর্থ নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে তখন হাসি পায়। কেননা এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বন্দুকের মুখে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। হ্যাঁ-না ভোটের নামে তামাশা করেছিলেন। আর এর বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এর আগে জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে জনগণের আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

বিএনপি মাগুরায় এবং ঢাকায় মোসাদ্দেক আলী ফালু ও মিরপুরের উপ-নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা এবং প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। বিপরীতে আওয়ামী লীগ স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ছবিসহ ভোটার তালিকার ব্যবস্থাসহ নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছিল।

ভোটাধিকার জনগণের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার দল তাতে বিশ্বাস করে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে, মানুষ শান্তিতে আছে। অপরদিকে ভোটচুরি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মানি লন্ডারিং এবং লুটপাটে ব্যস্ত ছিল।

সভায় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করার তাগিদ দেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেন। সূচনা বক্তব্যের পরে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শুর হয়। এতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test