দল ভাঙা নেতা
:: চার্বাক সুমন ::
আহকিউ এর সত্য কাহিনী সকলে জানিয়া গিয়াছে, কিন্তু দল ভাঙা নেতাজীর কাহিনী অদ্যাবধি অপ্রকাশিত রহিয়াছে। যদ্যপি তাহার কাহিনী আহ কিউ এর অনুরূপ চমকপ্রদ নহে তথাপি তাহা জনগণকে জানাইবার প্রয়োজন বোধ করিতেছি কেননা নেতাজী স্বয়ং উহা লিপিবদ্ধ করিবার প্রয়োজন বোধ করিতেছেন না। কিইবা তিনি দেশের জন্য করিয়াছেন আর কেনইবা মানুষ তাহার নীরস কাহিনী জানিতে চাহিবে? নেতাজীকে সম্মত করাইতে না পারিয়া তাহার অমরবৃত্তান্ত স্বয়ং লিখিতে সাহস করিলাম।
আজিকালিকার মানুষ্যগণের বৃহৎ বৃত্তান্ত পড়িবার ধৈর্য বড়ই কম, ফেসবুক আসিয়া তাহাতে ঘৃতাহুতি দান করিয়াছে, বৃত্তান্ত নহে তাহারা চাহে সিদ্ধান্ত। সেইহেতু আমার কাহিনী হইবেক সংক্ষিপ্ত, বুদ্ধিমানের জন্য তাহাই যথেষ্ট হইবে বোধ করিতেছি।
নেতাজীর জীবনবৃত্তান্ত কোন ভাষায় রচনা হওয়া বিধেয় তাহা লইয়া বিষম বিপত্তি উপস্থিত হইয়াছিল। উহা হইবে বাঙ্গালা অথবা উহা ভারতবর্ষীয় অপর কোন ভাষা হইবে।অথবা তাহা হইবে আরবি, ফারসি, ল্যাটিন, হিব্রু বা সংস্কৃত। শেষোক্ত ভাষা ত্রয়ী ভাবগাম্ভীর্য যথাযথ প্রকারে প্রস্ফুটন করিলেও উহারা আজি অমরলোকে বিরাজ করিতেছে। মহান নেতার চমৎকার কাহিনী প্রস্ফুটিত করিতে তাহাদিগের আজি ধরাধামে আবির্ভাব হইবার সম্ভাবনা ক্ষীণ।এতদ্বিষয়ে ভাবনা করিয়া বাঙ্গালাকে নির্ধারণ করিলাম; তন্মধ্যে গ্রাম্য ভাষা অগ্রাধিকার পাইল। ইহাতে প্রশ্ন উত্থিত হইলে উত্তর করিলাম, নেতাজী চিরকাল ব্যাপিয়া গ্রামীণ জনতার দাবী আদায় করিয়াছেন,এবং প্রাকৃতজনের সাহেচরযে অবস্থান করিতে স্বচ্ছন্দ-বোধ করিতেন ; অতএব গ্রন্থখানি আঞ্চলিকতার অলঙ্কারে শোভিত হইবে।
ইহাতে নেতাজী স্বয়ং বাধ সাধিলেন। তিনি কহিলেন, ‘পক্ষী-শ্রেণীর সহিত বাস করিতেছি বলিয়া উহাদিগের সদৃশ কিচির মিচির করিতে হইবে ইহা মানিতে পারিলাম না।’ কিন্তু লেখক তাহার বাক্য মানিয়া লইলেন।অগত্যা চলিত ভাষা নির্ধারণ করিতে হইল-তাহাতেও তুষ্ট হইতে পারিলাম না।ইহা নেতার ভাবগাম্ভীর্য যথোচিত প্রকারে প্রকাশ করিতেছে না। মনে পড়িল বিদ্যাসাগর, বঙ্কিম চন্দ্র, রবীন্দ্রনাথের রচনা সকল; ভাবিলাম-পাইয়াছি! শিল্প সৃজনের প্রয়াস করিতেছি না কেবল কিঞ্চিত ভাবের উৎপাদন হইলেই দায়মুক্ত হইব।
বুঝিলাম পাঠক আতঙ্ক-বোধ করিতেছেন-নিশ্চয়তা দিতেছি যে, পুস্তকখানির ফেসবুক সংস্করণ প্রকাশ করা হইবে।তথাপি পাঠকের কিঞ্চিত ধৈরয আবেদন করিতেছি। পক্ষী গান গাহিলে তাহাকে থামাইয়া দিতে পারি না। আমি গান শুনাইব না, কিন্তু আমার কথা শুনিতে হইবে। তৈল চাহিলে ঘানি টানিতেই হইবে।
দল ভাঙা নেতাজীর কাহিনী বিবিধ ভাগে বিভক্ত হইয়াছে, তা সকল নিম্নরূপ-
• বাড়িতেছে মৃগশাখাধামে
• কলসীর তলকানা
• পোকা আম স্বাদে মিঠা
• একমাত্র হালাল দল
• ডিমের রং সাদা
• গুরু কহিল মুরিদ ভাবিল
• কূর্ম সকল করিল দল
• ডাব গাছে নারকেল ধরে
• ব্যাঙের মাথায় ছাতা
নেতাজীর জন্ম ঠিকুজি বিষয়ে লেখক অদ্যাবধি অন্ধকারে অবস্থান করিতেছেন, নেতাও এতদ্বিষয়ে জানাইবার প্রয়োজন বোধ করেন নাই। উক্ত বিষয়ে প্রসঙ্গ উত্থাপনে তিনি বিব্রত হইয়া উঠিতেন এবং যথাযথ গাম্ভীর্য বজায় রাখিয়া কহিতেন,‘ মৃণাল পঙ্কজে প্রস্ফুটিত হইয়াছে অথবা মরুতে বিকাশ লাভ করিয়াছে তাহা অন্বেষণ করিও না। সে যথোচিত সৌরভ বিতরণ করিতেছে কিনা তাহার তত্ত্বানুসন্ধান কর।’ ইহাতে সংকট এই উৎপন্ন হইয়াছে যে, তিনি কোন গোকূলে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছেন তাহা লেখক জানিতে পারেন নাই। যাহা হউক, ইহা অনুধাবন করিয়াছি-কৃষ্ণ গোকূলে বাড়িয়াছেন, তথায় লীলাকার্য করিয়াছেন ফলশ্রুতিতে কংস বধ করিয়াছেন; নেতাজীও অনুরূপ প্রক্রিয়া দ্বারা তাড়িত হইয়াছেন, অতএব হিসাব মিলিয়া যাইতেছে যে তিনিও কংস বধ না করিয়া থাকিতে পারেন না। অন্যথায় বিধির বিধান উল্টিয়া যাইবার সমূহ সম্ভাবনা।
নেতার জীবনী কী করিয়া আরম্ভ করিলে তাহা যথোচিত তাৎপর্য মণ্ডিত হইয়া উঠিবে উহা বোধগম্য হইতেছে না; তাহার বৃত্তান্ত বন্দনা দ্বারা আরম্ভ হইতে পারিত কিন্তু তাহাতে তিনি জ্বলিয়া উঠিবেন, কেননা তিনি আপনাকে দেবতার আসনে সং সাজিয়া দর্শন দিতে ইচ্ছুক নহেন। উপরন্তু তাহা বিপ্লবী নীতির সহিত বিক্রিয়া করিতে পারে, এবং তাহার মানবিক গুণাবলী সকল অমানবিক হইয়া উঠিবার সমূহ সম্ভাবনা দৃষ্ট হয়।
‘ছোট্ট সেই ছেলেটি’-এই প্রকারে আরম্ভ হইতে পারিত কিন্তু ইহা ঠিক যুগোপযোগী হইবেক না যেহেতু ইহা বহু লিখিত এবং বহু পঠিত। ‘ নেতাজী সর্বদা মৃত্তিকা ভক্ষণ করিতেন’-এই প্রকারে আরম্ভ করিতে হইল। নেতা মৃত্তিকা ভক্ষণ করিতেন ইহাতে বিস্ময় ব্যক্ত করিবার কারণ নাই, উপরন্তু ইহা নতুন সংবাদ নহে; শৈশবে মৃত্তিকা ভক্ষণ করিত না এইরূপ ব্যক্তি খুঁজিয়া মিলিবে না। কিন্তু নেতাজীর বিষয়ে ইহা বিশেষ গুরুত্বের সহিত তুলিয়া ধরিতে হইল কারণ তিনি অপরাপর শিশু অপেক্ষা অধিক পরিমাণে মৃত্তিকা আহার করিতেন। অপরাপর শিশু- যাহারা ভবিষ্যতে তাহার পানে বিস্ময়-সহকারে চাহিয়া থাকিবে, তাহারা যখন দোলনায় দুলিতে থাকিত অথবা ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া মূল্যবান কালের অকারণ ক্ষেপণ করিত তখন তিনি থাবা ভরিয়া –আরাম করিয়া মৃত্তিকা উদরস্থ করিতেন। মাতৃদেবী তাহার আচরণে বিশেষ প্রীতিবোধ করিতেন না; এবং নেতাজীকে মৃত্তিকা হইতে দূরবর্তী স্থানে সংরক্ষণ করিতেন।
নেতার ঠাকুমা বাধ সাধিয়া বসিতেন। ঠাকুমা কোনকালে শহরাঞ্চলে গমন করিয়াছেন বলিয়া স্মরণ করিতে পারেন না, পুস্তকের কৃষ্ণবর্ণের অক্ষরগুলিকে তাহার নিকট কৃষ্ণকায় কীট বলিয়া বোধ হইত। আরো শ্রুতি আছে যে, টিপসই দিয়া দিয়া তাহার বৃদ্ধাঙ্গুলি চওড়া হইয়া পড়িয়াছিল। যাহা হউক বৃদ্ধার জীবনী লইয়া ঐতিহাসিকগণকে কদাপি সংকটে পতিত হইতে হইবে না।
নেতা যখন থাবা পূর্ণ করিয়া আবর্জনা ভক্ষণ করিতেন তখন ঠাকুমা তাহাতে প্রীতিকর একটা কিছু খুঁজিয়া পাইতেন।মাতৃদেবী নেতার কারযে বিঘ্ন ঘটাইলে কহিতেন, ‘ মৃত্তিকা দ্বারা নির্মিত মানব মৃত্তিকা দ্বারা জীবনারম্ভ করিবে ইহা দূষণীয় নহে।তাহাতে ইহা একটা কিছুর ঈঙ্গিত দিতেছে।’ উপরন্তু তিনি ইহার পশ্চাতে মহান স্রষ্টার এক অব্যক্ত লীলা প্রত্যক্ষ করিতেন। তাহার অটল বিশ্বাস –এই শিশু একটা কিছু না হইয়া পারিবে না।আজি ঠাকুমা গত হইয়াছেন-নেতাজী একটা কিছু হইতে বৃহত্তর অবস্থানে বিরাজ করিতেছেন। দুঃখ তিনি দেখিয়া যাইতে পারিলেন না।
মহামানবের জীবনী অসমাপ্ত থাকিয়া যায় –তাহার তণু সৌন্দর্যের বর্ণন প্রদান না করিলে। নেতার বার্ধক্য কালের তণুচ্ছটা বঙ্গবাসী স্বয়ং প্রত্যক্ষ করিতেছেন, বিপরীত-ক্রমে তাহার বাল্য ও শৈশব লইয়া ঐতিহাসিকগণের মহা-বিভ্রান্তি- কূপে নিপতিত হইবার সম্ভাবনা। উহার শৈশব স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ না করিলেও তাহা কল্পনা করিয়া লইতে কেহ অদ্যাবধি বিঘ্ন ঘটায় নাই। উপরন্তু এই লেখক ঐতিহাসিক নহে। নেতার গাত্র বরণ এইরূপ প্রকার যে, তাদৃষ্টে কাহারও পক্ষে ইহা অনুমান করা সম্ভব হইয়া ওঠে নাই যে তাহার ধমনীতে সঠিক প্রকারে কোন জাতির শোণিত প্রবাহ বহমান রহিয়াছে। তিনি না কৃষ্ণকায় না অত্যধিক শুভ্র; জন্ম লগ্নে তাহার মুখ মণ্ডলাকার পরিদৃষ্ট হইলেও কালের প্রবাহে তাহা এরূপ আকার ধারণ করিতেছিল যে, উহাতেই তিনি আম ও কাঁঠাল জনতা হইতে পৃথক অবস্থান নিশ্চিত করিয়া লইয়াছিলেন। ইহাও প্রণিধানযোগ্য হইতে পারে যে, যেহেতু তিনি সকল জাতির নেতা হইয়া জন্মাইয়াছেন সেহেতু তাহাতে সকল শোণিত স্রোত আসিয়া মিলিত হইয়া এক মহান মিলন ক্ষেত্র রচনা করিয়াছে। তিনি কদাপি রৌদ্র হইতে দূরবর্তী অবস্থানে রহিতেন না আবার ছায়ার অলস প্রবাহেও আপনাকে কদাপি সঁপিতেন-ইহাতেই (বোধ করিতেছি) তাহার গাত্র বর্ণ সমন্বিত হইয়া থাকিবে।
আজি তিনি অশীতি বৎসরের দ্বার প্রান্তে উপণীত হইতেছেন-বৃহৎ সংগ্রামী জীবনে যদ্যপি তিনি বিলাসী আহার করিতেন না তথাপি তাহার নিম্ন-বক্ষ অবাধ্য হইয়া সম্মুখ পানে প্রসারিত হইয়া চলিয়াছে। ললাটোপরি কেশ সকল স্থান ত্যাগ করিতেছে, তাহাতে ললাট প্রসারিত হইয়া এক মহামানবীয় রূপ দান করিয়াছে।শুভ্র কেশ ও শুভ্র শ্মশ্রু উহাতে সৌন্দর্য বাড়াইয়া তুলিয়াছে।সমুদয়-সহকারে তিনি আসনোপরে অবস্থান গ্রহণ করিলে মুরিদবৃন্দ বলিয়া উঠিত, তাকাইয়া দেখ, কী শুভ্র রূপ! ইহা রমণীর রূপ নহে, ইহা যুবার কান্তি নহে-ইহার তুলনা নাই। ইহা কেবল মহামানবের দেহ মোবারক হইতে বিচ্ছুরিত হইয়া থাকে।
আজি সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের (পালামৌ) একটি বাক্য অন্তঃস্থলে উৎসারিত হইয়া উঠিতেছে, ‘ কে যেন বলিয়াছেন-মানুষ বৃদ্ধ না হইলে সুন্দর হয় না।–’ মানুষ বৃদ্ধ হইলে যদি সুন্দর হয় তাহা হইলে আশার আলো দেখিতেছি কেননা আমাদিগের তরীও বার্ধক্যের তট রেখায় শীঘ্রই ভিড়িয়া যাইবে।
নেতার আকিকা কবে হইয়াছিল তাহার সাল তারিখ কেহ লিপি বদ্ধ করিয়া রাখে নাই। তাহার মাতা কী নাম রাখিয়াছিল তাহাও কাল আসিয়া গ্রাস করিয়াছে। একশত আট নাম তাহার বেলায় ঘটিয়াছিল কিনা উহা জানিতে পারি নাই, তবে আশার কথা ইহাই যে, কালের তীব্র স্রোত হইতে কতিপয় নাম বিনাশ হইতে রক্ষা পাইয়াছে। উহা হইতেই আমাদিগকে একখানা বাছিয়া লইতে হইবে। তিনি পুরা কালের মানুষ; ব্রিটিশ-পাক আমল সমাপ্ত করিয়া সম্প্রতি বিদ্যমান আমলও প্রত্যক্ষ করিতেছেন এবং সকল সমস্যার অব্যর্থ সমাধান দিয়া চলিয়াছেন।প্রসঙ্গে প্রত্যাবর্তন করা যাউক-পুরা কালের মানুষ হেতু তাহার নাম সমূহ আপনাদিগের পছন্দ না হইতেও পারে, উহা নেতাজীর দোষ নহে। অদ্য যাহা আদরণীয় তাহা আগামী-কল্য দূষণীয় হইবে না তাহা কে বলিতে পারে। কতিপয় নাম হইতে দু-চারিটি বাছিয়া লইলাম-ছদরুদ্দিন, হারু মিয়া, ভলভল, যোগেশ, বাতেন, রমেশ, কালিপদ প্রভৃতি। লক্ষ্য করিবেন, নেতা সনাতন-মুসলিম উভয় নামেই ধরণ করিয়াছেন।ইহা আমাদিগকে বিভ্রান্তি মধ্যে নিপতিত করিয়াছিল; তাহার পৈত্রিক ধর্ম বিষয়ে আমরা অন্ধকারে অবস্থান করিতেছিলাম। অতঃপর তিনি আলো জ্বালাইয়া অন্ধকার দূর করিলেন। কহিলেন, নেতার অবস্থান হুজুর কিংবা পুরুহিতের নিম্নে নহে। উহাদের সমন্বিত করিয়া দেওয়াই হইতেছে নেতার কারযো-সেহেতু তাহাকে সকল বর্ণ ধারণ করিতে হয়।
মনে পড়িতেছে কোন এক কালে নেতার সম্প্রদায় লইয়া বিবাদ উঠিয়াছিল, মৌলবাদীসব অভিযোগ করিতেছিল যে, হিন্দুস্থান হইতে এক কাফের আসিয়া –ইসলামী নাম নিয়া অনৈসলামিক ক্রিয়া করিতেছে। তিনি ইসলামী নাম লইয়া জনগণকে বিভ্রান্ত করিতেছেন, তাহাদিগকে নাস্তিক করিতেছেন, এবং বিপ্লব করিতেছেন। নেতাজী তৎকালে যে বিবৃতি দিয়াছিলেন তাহা ঐতিহাসিকগণ রচনা করিয়া লইয়াছেন, আজি উহা প্রণিধানযোগ্য নহে উপরন্তু বাক্য দিয়াছি যে,নেতার সংক্ষিপ্ত কাহিনী শুনাইব। যাহা হউক আমাকে একটি নাম বাছিয়া লইতে হইবেক। সম্প্রতি লক্ষ্য করিতেছি তিনি ‘সদরুদ্দিন’ নামটি অধিক পরিমাণে ব্যবহার করিতেছেন।তাহার সম্মানার্থে আমরা তাহাই গ্রহণ করিলাম।
সদরুদ্দিন ভাই কোন গোকুলে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছিলেন তাহা আজ তত্ত্বানুসন্ধানের অপেক্ষা রাখে। মানস চক্ষে দেখিতে পাই-বাঙ্গালার কোন এক প্রান্তে-ছায়াবীথি তলে পক্ষীর কূজনে-পুষ্পের সৌরভে সদরুদ্দিন ভাই বাড়িয়া উঠিতেছেন।শাখামৃগ সদৃশ বৃক্ষ শাখায় খেলিয়া বেড়াইতেছেন। পটে অঙ্কিত গাঁ- উহার নিকট দিয়া বহিয়া গিয়াছে সর্পিলাকার নদী। তাহারই বক্ষদেশে বৃক্ষ হইতে ঝাঁপাইয়া পড়িতেছে এক বালক-আমাদের ভাবি নেতা সদরুদ্দিন ভাই। বাংলার দামাল ছেলের সহিত সকল বিষয় মিলিয়া যাইতেছে-।
বাক্য দিয়াছিলাম-সংক্ষেপ করিব-যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছি।তথাপি কথা থাকিয়া যায়-রস চাহিলে তাল চিপিতেই হইবে। হাড়ি বাঁধিলে প্রতীক্ষা করিতেই হইবে।
পাঠকের মতামত:
- নড়াইলে বিএনপি'র উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- জামালপুরে আওয়ামী নেতা ফারুক চৌধুরীর সুস্থতা কামনায় দোয়া
- জামালপুরে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রুমি
- ‘বর্তমান সরকারই ভারতীয় পণ্য’
- শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মিলাদ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
- জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সভা ও কমিটি পুর্নগঠন
- নড়াইলে আ.লীগকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
- শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছেন সুন্দরবনের মৌয়ালরা
- কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স’র সাবেক চেয়ারমান আবুল কাশেমের মৃত্যুতে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল
- দিনাজপুরে ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার, মালামাল উদ্ধার
- লিবিয়ায় আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, সালথায় যুবক গ্রেপ্তার
- নহাটা কালীবাড়ী কৃষ্ণ মন্দিরে মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান শুরু
- মেট্রোর ওপর দিয়ে টানা ইন্টারনেট ও ডিসের তার সরানোর নির্দেশ
- কাশ্মীরে গাড়ি খাদে পড়ে নিহত ১০
- ‘বাড়তি ভাড়া চেয়ে যাত্রীদের হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা’
- আ.লীগ নেতাকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন মাদক কারবারি
- ‘ডামি নির্বাচনের সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে’
- ‘বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে জিয়াউর রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পাচ্ছে’
- খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা সৈয়দ মুজাদ্দিদ আলী আর নেই
- জুনের মধ্যে প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ: প্রতিমন্ত্রী
- নেচে-গেয়ে বরণ নিয়ে যা বললেন বিএসএমএমইউ ভিসি
- সবজিতে স্বস্তি, চাল পেঁয়াজ আলু চড়া
- ধনবাড়িতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- টাঙ্গাইলে কাভার্ড ভ্যানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক নিহত
- ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন নিয়ে বিএনপির অন্দরে দ্বন্দ্ব
- ফাগুনের প্রকৃতিতে যেন আগুন লাগিয়েছে শিমুল ফুল
- ড. ইউনূসের মিথ্যাচারে বিস্মিত সুশীল সমাজ
- ‘নির্বাচনে যে টাকা খরচ হয়েছে সেটা আমি তুলব’
- দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
- ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে আতর সুরমা বিক্রি
- যশোরে কুড়িয়ে পাওয়া সাড়ে ৪ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিলেন ইজিবাইক চালক
- জীবিতকে ‘মৃত’ দেখানোয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
- জাতির পিতার সমাধিতে বিএসএমএমইউ ভিসির শ্রদ্ধা
- চিত্রনায়ক সিয়ামের জন্মদিন আজ
- ‘সবার সমর্থন পেলে শান্ত অসাধারণ অধিনায়ক হবে’
- যশোরে অস্ত্র ও মাদক মামলায় দুইজনের কারাদণ্ড
- যশোরে পাচারকারীর পায়ূপথে পাওয়া গেল ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণেরবার
- ষষ্ঠ দিনে ১ ঘণ্টাতেই শেষ রেলের ১৪ হাজার টিকিট
- উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, স্বস্তির হবে ঈদযাত্রা
- কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত
- পরিবহন সেক্টরে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে বিএমপির কঠোর হুঁশিয়ারি
- সাভারে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু
- ‘বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান’
- ফরিদপুরে ঐক্যের ডাক দিয়ে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় নেতা বিপুল
- দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫
- ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৪০
- জাতিসংঘে স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
- রমনা কালিবাড়িতে শতাধিক বাঙালি ইপিআরকে পাক সেনারা নৃশংসভাবে হত্যা করে
- আরও কমলো দেশের রিজার্ভ
- ‘যত জঙ্গি ধরেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন’
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !