কবিতায় মুক্তিযুদ্ধ
বদরুল হায়দার
কবিতায় মুক্তিযুদ্ধ এ দেশের প্রতিটি বাঙালির কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও অনিবার্য অধ্যায়। সেদিক থেকে বলতে গেলে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বীরত্বগাথা বা মহাকাব্য রচিত হয়নি। যদিও যুদ্ধবিধ্বস্ত দুঃস্বপ্ন, সাহস ও বিক্রমের নতুন মাত্রার শিল্পিত বিবরণ, গৌরব ও আত্মদানের ফলাফল, যুদ্ধবিজয়ের বহুমুখী বর্ণনা প্রকাশিত হয়েছে কবিতায়। মুক্তিযুদ্ধের কবিতা এ দেশের কাব্যধারায় স্বতন্ত্র ও যথার্থ কণ্ঠধ্বনির আপসহীন কাব্য নিদর্শন।
আদিকাল থেকে পৃথিবীর এ অঞ্চল মোগল, পাঠান পর্তুগিজ, ইংরেজ সর্বশেষ পাকিস্তানের শোষণের শিকার হয়েছে। এ বদ্বীপভূমির মানুষ ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে প্রতিদিনই তৈরি করেছে স্বপ্নের বাস্তবায়ন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির ফলে বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানের শাসনে চলে যায়। বাংলা ভাষা অধ্যুষিত অঞ্চল দুই ভাগে এ দুটি অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায়। '৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে শহীদ হন বাংলার দামাল ছেলেরা। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার আন্দোলন, পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধে বহু আত্মত্যাগের ফসল হিসেবে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।
সিপাহি বিদ্রোহ, নানকার বিদ্রোহ, কৃষক বিদ্রোহ_ এরূপ বহু বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের মনে স্বাধীনতার সত্তা জাগ্রত হতে থাকে। বাঙালি জীবনের স্মরণীয় ও ত্যাগের অধ্যায় হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধ এক আলোকিত অধ্যায়। অস্তিত্বের লড়াই, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমের লড়াইয়ে লাখো আত্মদানের মধ্য দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে_ একটি লাল সূর্য। একটি পতাকা। একটি স্বাধীনতা।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের স্বাধীনতাকামী আপামর ছাত্রজনতা, সৈনিক, শ্রমিক-কৃষক, শিক্ষক, লেখক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে অংশ নিয়েছে। তেমনিভাবে এ দেশের কবিরা তাদের কবিতায় মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা ও পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে কলমকে শানিত রেখেছেন। দ্রোহ ও ঘৃণায় নরপশুদের কলঙ্কের বিরুদ্ধে কবিরা হাজারো পঙ্ক্তি রচনা করেছেন। অনেকে অস্ত্রহাতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।
কবি জসীমউদ্দীনের 'দগ্ধগ্রাস' কবিতায়_
'কী যে কী হইল পশ্চিম হতে নরঘাতকেরা আসি
সারা গাঁও ভরি আগুনে জ্বালায়ে হাসিল অট্টহাসি।
মার কোল থেকে শিশুরে কাড়িয়া কাটিল যে খান খান
পিতার সামনে শিশুরে কাটিল করিল রক্ত স্নান।
কে কাহার তরে কাঁদিবে কোথায়, যূপকাষ্ঠের গায়
শত সহস্র পড়িল মানুষ ভীষণ খড়গ ধায়'
মুক্তিযুদ্ধের কবিতায় ব্যক্তিগত উপলব্ধির সঙ্গে জাতীয় জীবনের প্রতিচ্ছবি প্রতিফলিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাত থেকে বাংলাদেশ দাউ দাউ করে জ্বলছে। সমগ্র দেশ যখন হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত অত্যাচারের দুঃস্বপ্নে প্রোথিত, বাংলাদেশের কবিতায় এর স্বরূপ ফুটে ওঠে সত্য হিসেবে। ফলে বাংলাদেশের কবিতায় মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে রচিত হয়েছে হাজারো পঙ্ক্তিমালা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতায় বিশ্বসাহিত্যে নানা ধরনের পরিবর্তন ও প্রভাব প্রতিফলিত হয়েছে। তেমনিভাবে মুক্তিযুদ্ধ কবিতায় এসেছে বিষয় উপমা মিথ উৎপ্রেক্ষা হিসেবে। দেশ ও সমাজের অঙ্গীকারে সোচ্চার হয়ে ওঠে কবিতা। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে নবচেতনার উন্মেষের আকাঙ্ক্ষা উজ্জীবিত হতে থাকে প্রবলভাবে। কবি হাসান হাফিজুর রহমান, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, মহাদেব সাহা, রফিক আজাদ, শহীদ সাবের, নির্মলেন্দু গুণ, হুমায়ুন কবির, শহীদ কাদরী, মুহাম্মদ নূরুল হুদা, হাবীবুল্লাহ সিরাজী, শিকদার আমিনুল হক, অসীম সাহা, দাউদ হায়দার, আবুল হাসান, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহসহ অসংখ্য কবির কবিতায় এসেছে মুক্তিযুদ্ধ। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, মনিরুজ্জামানের গানেও এসেছে মুক্তিযুদ্ধের চিত্র।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যে জাতীয়তাবাদী চেতনা, স্বদেশপ্রেম এবং মানবতাবাদী আবেগের স্ফূরণ ঘটেছিল তা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কবিতার বিষয়-আঙ্গিককে উপযুক্ত ও প্রয়োজনীয় বলে মনে করেছেন কবিরা। কবি জসীমউদ্দীন পাকিস্তানিদের ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হওয়ার পরেই 'দগ্ধগ্রাস' নিয়ে একটি কবিতা লেখেন। পরে 'মুক্তিযুদ্ধ' নামেও আরেকটি কবিতা লেখেন। সুফিয়া কামালের 'আজকের বাংলাদেশ' ও শামসুর রাহমানের 'স্বাধীনতা তুমি', নির্মলেন্দু গুণের 'স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের কীভাবে হলো', রফিক আজাদের 'একজন মুক্তিযোদ্ধার আত্মসমর্পণ', সানাউল হক খানের 'সাতই মার্চ একাত্তর', হাসান হাফিজুর রহমানের কবিতা সংকলন, উদ্যত সঙ্গীত, ড. মনিরুজ্জামানের শহীদ স্মরণে, অসীম সাহার 'শরণার্থী', আবুল হাসানের উচ্চারণবুলি শোকের, হুমায়ুন কবিরের বাংলার কারবালা, আসাদ চৌধুরীর রিপোর্ট ৭১, হেলাল হাফিজের নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর বাতাসে লাশের গন্ধসহ অসংখ্য কবিতায় প্রত্যক্ষভাবে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ।
স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলা কবিতায় মুক্তিযুদ্ধ এসেছে বিশাল এলাকাজুড়ে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি, যুদ্ধপ্রস্তুতি, যোদ্ধার ভূমিকা, বর্বর পাক হানাদারের নৃশংসতা, নির্যাতন, আর্তনাদ, অবরুদ্ধ বাংলাদেশের মানসিকতা, পাক বাহিনীর দালালি, মুক্তিবাহিনীকে সমর্থন, মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধ সংগ্রাম, মহান বিজয়_ এসব ঐতিহাসিক দলিল চিত্র অঙ্কন করেছেন প্রবীণ-নবীন কবিরা। সিকান্দার আবু জাফরের কবিতায়_
'তুমি আমার বাতাস থেকে নাও তোমার ধুলো
তুমি বাংলা ছাড়ো'
মুক্তিযুদ্ধের কবিতায় কবিরা বিচ্ছিন্নভাবে নয় মাসের ঘটনাপ্রবাহ ধারণ করতে পেরেছেন সার্থকভাবে। ফলে কবিতাগুলোতে অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের পরিচয় ঘটে।
মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান জাতিসত্তার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ছিল অধিকভাবে। ফলে মানবাধিকার অন্বেষণ ও মানবতা প্রতিষ্ঠাই ছিল কাব্যের লক্ষ্য। কবি শামসুর রাহমানের 'তোমাকে পাওয়ার জন্য' কবিতায়_
'তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা
তোমাকে পাওয়ার জন্য
আর কত ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?
আর কত দেখতে হবে খান্ড-ব দাহন?'
অবরুদ্ধ দেশে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে যুদ্ধজয়ের স্বপ্ন আবেগের উচ্চারণ রয়েছে কবির হৃদয়বিদারক আকুতি ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। হুমায়ুন কবিরের কবিতা 'কারবালা'য় গণমানুষের মানসিকতা ও মুক্তিচেতনার উপস্থাপনা একান্তভাবে এসেছে। কবির কণ্ঠে উচ্চারিত হতে থাকে মুক্তির বাণী, যুদ্ধের কলঙ্কজনক অধ্যায়। কারবালার সেই যুদ্ধের ভয়াবহতার মুক্তিযুদ্ধকে তুলনায় এনেছে_
'কারবালা হয়ে যায় সমস্ত বাংলাদেশ, হায়
কারবালা হয়ে যায়'
বাংলা কবিতার চিরায়ত ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত কবিতাগুলো সময়ের কবিতা দলিল হিসেবে থেকে যাবে। আধুনিক বাংলা কবিতায় কালক্রমিক অর্থবহতায় এ দেশের মুক্তিযুদ্ধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় রয়েছে বাংলাদেশের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস।
কবি রফিক আজাদের 'একজন মুক্তিযোদ্ধার আত্মসমর্পণ' কবিতায় বীরোচিত মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে_
'তোমার মুখে হাসি ফোটাতে দামি অলঙ্কারে সাজাতে
ভীরু কাপুরুষ তোমার প্রেমিক এই আমাকে
ধরতে হল শক্ত হাতে মর্টার, মেশিনগান_
শত্রুর বাংকারে, ছাউনিতে ছুড়তে হল গ্রেনেড
আমার লোভ আমাকে কাপুরুষ হতে দেয়নি'
মহাদেব সাহার কবিতায় হৃদয়ের রক্তক্ষরণের আক্ষেপ ফুটে উঠেছে জোরালোভাবে_
'এতো হত্যা রক্তপাত আমি থামাতে পারি না'
মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা, রক্তস্রোত, স্বজন হারানোর কথায় ব্যথিত চিত্রগুলোয় কবির বিক্ষুব্ধ চিত্তের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে অবলীলায়। যেখানে কবিরা হাজারো প্রতিকূলতা অতিক্রম করে দেশপ্রেমে আত্মত্যাগের মহিমাকে মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে যুদ্ধজয়ের অপার স্বপ্নকে লালন করে_
'বাঁচাও বাঁচাও বলে এশিয়ার মানচিত্র কাতর
তোমার চিৎকার শুনে দোলে বৃক্ষ নিসর্গ নিয়ন'
আল মাহমুদের কবিতায় মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্বহারা মানুষের করুণ কান্না ও এশিয়ার মানুষের মধ্যে আন্তরিক সহানুভূতির প্রতিফলনের চিত্র ফুটে ওঠে।
মুক্তিযুদ্ধকালে এ দেশের মানুষের জীবনের অনিশ্চয়তা, বিভীষিকাময় অবরুদ্ধ সময়, সমাসন্ন মৃত্যুর অপেক্ষা, অন্যদিকে মুক্তি ও মৃত্যুর মুখোমুখি সময়, পাক হানাদারের অমানবিক বর্বরতার দৃশ্যাবলি, জ্বালাও-পোড়াও, হত্যা ও দমননীতির রক্তচক্ষুর দৃষ্টির বিপক্ষে বাঙালির দামাল ছেলেরা অকুতোভয় সাহসীভাবে পাক হানাদারদের পরাস্ত করে নতুন মানচিত্র, নতুন পতাকা, নতুন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার দৃপ্তশপথ, নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের স্বপ্ন নিয়ে কবিতাগুলো নিজস্বতা ধারণ করেছে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে।
মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য শহীদ হয়েছে। হারিয়েছে স্বজন। মা হারিয়েছে সন্তান, ভাই হারিয়েছে বোন, সন্তান হারিয়েছে মা-বাবা_ এ দুঃখ-পরিতাপগুলো আবুল হাসানের উচ্চারণগুলো শোকের কবিতায় প্রতিফলিত হয়_
'তবে কি আমার ভাই আজ ওই স্বাধীন পতাকা?
তবে কি আমার বোন তিমিরের বেদিতে উৎসব?'
এ দেশের মুক্তিসংগ্রামে, শত্রুমুক্ত করার ক্ষেত্রে
মুক্তিযোদ্ধারাই এ কোটি মানুষের ভরসা ও আশার আলো। হুমায়ুন আজাদ 'মুক্তিবাহিনীর জন্য' কবিতায় মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রতি অগাধ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন_
'তোমার পায়ের শব্দে বাংলাদেশে ঘনায় ফাল্গুন আর ৫৪ হাজার বর্গমাইলের এই বিধ্বস্ত বাগানে এক সুরে গান গেয়ে ওঠে সাত কোটি বিপন্ন কোকিল'
মহান মুক্তিযুদ্ধ হাজার বছরের বাঙালির অহঙ্কার। বাঙালি জীবনে প্রতিটি মানুষকে মুক্তিযুদ্ধ নানাভাবে স্পর্শ করে গেছে। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের মহিমায় আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধ এ ভূমির জাগ্রত অমর কাব্যের পটভূমি, যেখানে আপামর জনসাধারণের সঙ্গে এ দেশের কবিরাও তাদের কবিতায় মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
অসীম সাহার কবিতায় ন্যায়যুদ্ধ, শোকগাথার চিত্র, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যুদ্ধের ভাবনা এবং যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান গভীরভাবে ফুটে উঠেছে_
'এই যুদ্ধ ন্যায়যুদ্ধ, সকলেই তৈরি হয়ে নাও'
মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির গৌরবগাথার ইতিহাস। হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার নানা অনুষঙ্গ কবিদের কবিতায় ফুটে উঠেছে। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর 'বাতাসে লাশের গন্ধ' কবিতায় কবির স্বজন হারানোর ব্যথায় আকুতি অনুভবের প্রতিফলন ঘটে_
'রক্তের কাফনে মোড়া-কুকুর খেয়েছে যারে শকুনে খেয়েছে সে আমার ভাই, সে আমার মা, সে আমার প্রিয়তম পিতা'
মুক্তিযুদ্ধের কবিতাগুলো '৭১ মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাঙালির জীবন ও রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্যে আলোকিত চিরন্তন শিখা হয়ে নতুন উজ্জীবনের সন্ধান দেবে। প্রেরণা জাগাবে মননে মেধায়।
বাংলা কবিতার পাশাপাশি বিশ্বকবিতায় মুক্তিযুদ্ধ এসেছে ভিনদেশীয় কবিদের কবিতায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কবি অ্যালান গ্রিন্সবার্গ 'যশোর রোডে সেপ্টেম্বর' শিরোনামের কবিতায় প্রকৃত চিত্র, জনদুর্ভোগের জীবনযাপন উঠে এসেছে দৃঢ় বলিষ্ঠভাবে_
'লক্ষ লক্ষ আত্মা উনিশ শ একাত্তর
যশোর রোডে ঘরহীন উপরে সূর্য ধূসর
দশ লক্ষ মারা গেছে আর যারা পারছে
পূর্ব পাকিস্তান থেকে কলকাতার দিকে হাঁটছে।'
'৭১ মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বন্ধু-শিল্পী জর্জ হ্যারিসনের 'ও বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ'-এর গানে ভয়াবহতায় নিমজ্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের মৃত্যুঞ্জয়ী আত্মত্যাগ ও মহিমা ফুটে উঠেছে।
জর্জ হ্যারিসনের গানে_
'হাজার হাজার সহস্রলোক
মরছে ক্ষুধায়
দেখিনি তো এমন নির্মম ক্লেশ
বাড়াবে না হাত বল ভাইসব
কর অনুভব
বাংলাদেশের মানুষগুলোকে
ও বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ
এত দুর্দশা
এ যন্ত্রণার নাই কোনো শেষ
বুঝিনি তো এত নির্মম ক্লেশ'
মুক্তিযুদ্ধ এ দেশের প্রতিটি বাঙালির কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও অনিবার্য অধ্যায়। সেদিক থেকে বলতে গেলে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বীরত্বগাথা বা মহাকাব্য রচিত হয়নি। যদিও যুদ্ধবিধ্বস্ত দুঃস্বপ্ন, সাহস ও বিক্রমের নতুন মাত্রার শিল্পিত বিবরণ, গৌরব ও আত্মদানের ফলাফল, যুদ্ধবিজয়ের বহুমুখী বর্ণনা প্রকাশিত হয়েছে কবিতায়। মুক্তিযুদ্ধের কবিতা এ দেশের কাব্যধারায় স্বতন্ত্র ও যথার্থ কণ্ঠধ্বনির আপসহীন কাব্য নিদর্শন। কবিতাগুলোয় মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ, অনুষঙ্গ, ঐতিহাসিক ভিত্তিতে স্বকীয় সত্তায় গৌরবময় মহিয়ান হয়ে আছে। নয় মাসে জীবন ও মৃত্যুর সার্বক্ষণিক দেখা দেয় উপলব্ধিতে। শিল্প-সাহিত্যে এক নতুন ভাবনার উন্মেষ ঘটে চরম অভিজ্ঞতায়।
লেখক : একজন কবি।
পাঠকের মতামত:
- সোলসের গানে মুগ্ধ ডেনভার
- ধামরাইয়ের সাবেক চেয়ারম্যানের ছোটো ভাইয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
- জাতীয় সংসদে গ্রাম আদালত বিল পাস
- নগরকান্দায় কালবৈশাখী ঝড়ে বজ্রপাতের শব্দে ২১ ছাত্র আহত
- আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম
- দুই ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়
- গোপালগঞ্জে ২০ দিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন
- বাগেরহাটে ছাদ থেকে পড়ে সৌদি প্রবাসীর মৃত্যু
- মোংলা বন্দরে কাস্টমসের শুল্ক জটিলতায় আটকা ২০ অ্যাম্বুলেন্স, বারবিডা’র ক্ষোভ
- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর জন্মদিন আগামীকাল
- সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত
- ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাচনের ভোট কাল
- দিনাজপুরে আইইবি’র ৭৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
- শ্যামনগরের দুর্গম দুই দ্বীপ ইউনিয়নে আজই যাচ্ছে ব্যালট
- দিনাজপুরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ শুরু
- বাগেরহাটে দু’টি উপজেলায় নির্বাচন, ভোট কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী সামগ্রী
- দিনাজপুরে ৩ উপজেলায় নির্বাচন বুধবার
- ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ’ কর্মশালা
- মহম্মদপুরে হাজী বজলুর রহমান মাস্টার আর নেই
- পলাশবাড়ীতে মেয়র পুত্রের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ
- উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ভূঞাপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার
- ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
- মির্জাপুরে গজারি বনে আগুন ধরিয়ে ফায়দা লুটতে চায় দুর্বৃত্তরা
- টানা পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন
- বোয়ালমারীতে বজ্রপাতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ আহত ৮, দুই গরুর মৃত্যু
- শতবর্ষী জেলা পরিষদ ভবনসহ পুরাতন সকল ভবন রক্ষার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
- পলাশবাড়ীতে মাংস ব্যবসায়ীদের নিয়ে অবহিতকরণ সভা
- ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু
- হাসিনা সাহিদ মাধ্যমিক মডেল একাডেমীতে খোলা আকাশের নিচে চলছে ক্লাস
- ‘সতর্ক হতে হবে আইএমএফের পরামর্শে কর ছাড় প্রত্যাহারে’
- ‘ডেঙ্গুতে মাকে হারিয়েছি, আর কেউ যেন না হারায়’
- ‘৬ মাসের মধ্যে থার্ড টার্মিনালের পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে’
- ‘কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
- লালপুরে দুস্থদের মাঝে যাকাত ফান্ডের নগদ অর্থ বিতরণ
- জনগণের সেবা করার সুযোগ চাই: মন্নু
- কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম, ব্যালট যাবে সকালে
- ‘প্রকল্প কতটুকু জনকল্যাণে লাগবে আগে বিবেচনা করুন’
- ঈশ্বরদীতে খরায় পুড়ছে সবজি ক্ষেত, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
- রাত পোহালেই রাজবাড়ীর ২ উপজেলায় ভোট, কেন্দ্রে যাচ্ছে সরঞ্জাম
- জুমা আক্তার স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক
- থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে জানতে প্রয়োজন সচেতনতা
- গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার সাহসী প্রত্যাবর্তন
- লোহাগড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী তারিকুল ইসলাম উজ্জলের ব্যাপক গণসংযোগ
- অতিরিক্ত লবণ খাওয়া ক্ষতিকর
- রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- কাপাসিয়ায় উপজেলা নির্বাচন বিষয়ক প্রেস ব্রিফিং
- কালিহাতীতে কাভার্ডভ্যান-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত দুই
- মহম্মদপুরের নহাটা ইউনিয়নে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের অফিসের উদ্বোধন
- সাতক্ষীরায় অপরিপক্ক আম জব্দ, দুই ব্যবসায়িকে জরিমানা
- এবার দেশে সংবর্ধনা পেলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !