E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আলমগীর রেজা চৌধুরী’র কবিতা

২০১৫ জুলাই ০২ ১৬:৪৭:১৯
আলমগীর রেজা চৌধুরী’র কবিতা

মহাজন

 

বাড়িটি ভেঙে গেলে একটি পৌরাণিক ছবি মুছে যাবে ।
অনেক জুঁই ,চামেলি বকুলতলার ভোর ,
ধূসর বিকেলে এপেনটুর সারি ,
ফটোগ্রাফে বাড়িটির আঙিনার দৃশ্যকল্প ।
ওই বাড়িটি অনাবিষ্কৃত থেকে যাবে ।কেন যাবে?


বাড়িটির খিলানে কোনো কারুকাজ নেই
স্থাপত্যহীন একটি সাধারণ বঙ্গীয় বাড়ি ।
সামান্য বৃষ্টিতে মেঝেতে জল গড়ায়
পরিশুদ্ধ বৃষ্টি শেষে
গোল চাঁদ উঠে আসে
হারিকেনের আলোয় রুবা ঝুঁকে ঝুকে
পড়ে, বাবুরাম সাপুড়ে ।

ওই বাড়ির সন্তান তরুণ যুবা আসাদ ।
ওর আঙিনায় বেড়ে উঠেছে পুরাণের বীর;
ঠিক এভাবেই বাড়িটির সব অর্গল
খুলে যায় সুবিস্তৃত প্রান্তর -
আর আমি ওই বাড়ির আঙিনায় হেঁটে যাই ।

নিজকে পৌরাণিক ভাবি –
ভাবনায় কবি কালিদাসের মেঘকীর্তন ।
নিজকে বলি , আমি আসাদ ।
মহাজন ।রক্তের মহাজন ।
মাতৃভূমির মহাজন । ভোরের মহাজন ।


হোমোসেপিয়ন


চারদিক উর্ণনাভ
প্রলম্বিত ইন্দ্রজাল...
ওপাশের দেয়াল জুড়ে কতিপয় হেঁটে যায়
কেউ কেউ একাকী , কারো সঙ্গী পদ্মার ধীবর
জালে আটকা পড়া রূপালি ইলিশ ।
তার কিছু নেই, শূন্যতার নাবিক
যুদ্ধের পতাকা উড়িয়ে বলে ,’আক্রান্ত জননী,
আমি কী ডরাই মানুষ , বঙ্গের ছাওয়াল ।

চারদিক উর্ণনাভ
প্রলম্বিত ইন্দ্রজাল
ওপাশের দেয়াল জুড়ে সহস্র হোমোসেপিয়ন ।

জনকের মুখ

ওই মুখ আমার জনকের, যেন হুবহু আদল।
বাজারের ব্যাগ হাতে বাড়ি ফিরছেন। পুরু লেন্স
উচু করে পৃথিবী দেখেন। যৌবন বিক্রি করে
ঘুরছেন-ফিরছেন ।অলস মুহূর্তে বাড়ির আগাছা
মারছেন ।এতো বছর মার সঙ্গে পিটিস-পিটিস ।
সে এখন পত্রিকা হাতে জীবন দেখেন। ক্লান্তিতে
এক সময় ঘুমিয়ে যান ।


(এসি/এসসি/জুলাই০২,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test