E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা

২০১৫ আগস্ট ১৪ ২৩:৫৩:০৩
বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা


 







 

জাতির পিতার প্রতি

বদরুল হায়দার

হাজার বছর জুড়ে বিজতীয় অধীনত থেকে
বাঙালি জাতির পিতা তুমি দিয়েছো মুক্তির মন্ত্র
ঘোষনা করেছো বাংলা দেশের স্বাধীনতা।
কোটি বাঙালির পিতা হয়ে
জেল জুলুম সংগ্রাম পরাধীনতায় তোমার
বজ্রকন্ঠে বেজে উঠেছিলো স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রাম।
তোমার মহান মানবতা প্রীতি অহিংস সম্প্রীতি
হৃদয় জোয়ারে বহে চলে ভালোবাসার
পদ্মা মেঘনা যমুনা মধুমতি।
বঙ্গবন্ধু তুমি অমর কবিতা গান
তোমার মহান আহবান চির জাগ্রত প্রাণ
মানব হৃদয় জুড়ে স্বধীনতা উদ্যান।
পিতা তুমিহীন সব বাধ্যতা আমার কাছে
অবাধ্যতা মনে হয়। তোমার অভাবে চলে
সমুদ্রে সিগনাল।নগর হৃদয়ে ভূমিকম্প।
বৃক্ষ ফুল মাছ ও পাখিরা দুঃখ পেয়ে
ডাক দিয়ে উঠে তোমার প্রতিবাদের ভাষা।
বঙ্গবন্ধু তুমিই জাতির জনক
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ঘোষক।
তুমিহীন স্তব্ধতার অবসাদ দুঃখ দরিয়া জুড়ে
শুরু হয় হতাশা। স্বাধীন বাংলার মানুষের
ভেঙ্গে যায় স্বপ্ন আশা।
পিতা তোমাকে যারা হত্যা করেছে
তারা কাপুরুষ ঘৃণ্য সীমার পাষান।

আমরা তোমাকে ভুলি নি পিতা

রাসেল আশেকী


এই কাক ও কোকিলের যুগে আমরা তোমাকে ভুলি নি পিতা।
তোমার জন্ম -মৃত্যু, প্রেম সংগ্রাম,চিন্তার ফুল হয়ে
নদীর ঢেউয়ের মতো আমাদের জাগায় পিতা।
আমরা আছি ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে
মানুষের মানচিত্রে উড্ডীন পতাকার সমান্তরালে
এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে।
হাজারও লোভ ওনির্যাতনে আমরা তোমাকে ভুলি নি পিতা-
আমরা তোমাকে ভুলি নি পিতা।

মহামান্য পিতা, তুমি যেনো আকাশছোঁয়া সেই কাপুরুষ
যার সমতুল্য কোনো বীর কোনো নেতা অবশিষ্ট নেই এখানে।
যেখানে তোমার লাশ,রক্তাক্ত সিঁড়ি,কফিনে জমা দুক্খোটুকু
আর শহীদ হবার নিটি;
আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় পিতা-
একাত্তরের ফুল ও আগুন ফোটানো সাহসী দিনের কথা।

রেসকোর্স থেকে যেদিন গর্জে উঠেছিল তোমার কন্ঠস্বর;
অবাক বিশ্ব-শাবাশ তর্জনি-দাঁড়ানো ্্্্্্্্উচ্চশির-তুলে জয় বাংলা।
স্বতঃস্ফূর্ত জনসমুদ্রের
তুমুল উন্মাদনায় সেদিন স্বপ্নের দিন শুরু
সেদিন আমাদের প্রথম স্বাধীনতা।
বাংলার মানুষ কি ভুলতে পারে
সেই আনন্দ-উত্থানে সেই অমৃতকন্ঠের দিন?
মহান পিতা, আমরা তোমাকে ভুলি নি ভুলবো না কোনোদিন।

তোমার রক্তের কসম, আমরা তোমাকে ভুলি নি পিতা-
আমরা তোমাকে ভুলবো না কোনোদিন।

পিতার মুখ

বীরেন মুখার্জী


সীমানাচিহ্ন কেটে বেরিয়ে যাওয়া রোদের দোতারা
স্রোতের বিপরীতে বাজেÑচক্রাকার।
বাতাসে ওড়ে প্রকৃতির ধুলোমলিন চোখ;
কখনও দূর জানালায় বৃষ্টির প্রতিবিম্বে দৃষ্টি রেখে
উত্তর আকাশে ওড়ায় বজ্রমেঘ।
কখনও একই পথে ভাসে গোলসড়ক
হিমালয়সম বুকের উচ্চতা।
জাগে জনপদ চারিধারে, ঘোর সন্তাপেও।
পরিণামের ঘুড়িতে ওড়ে রাত্রিদিন, মৃদুশব্দে বাজে
সেই আর্তস্বর। তবু মৃত্যুর নোনা জলে ডুবে যাওয়া
চাঁদফলক উঠে আসে ফেরÑচেতনার কর্কটে।
সৃজনের বেদনা নিয়ে আমিও জেগে থাকা জনপদ
প্রেরণা জোগানো তর্জনী আর দৃঢ় মুখচ্ছবির সঙ্গী।


বঙ্গবন্ধু

সৌমিত্র দেব


তোমার মৃত্যুর পর কাঁদতে দেয়নি ওরা
বাংলার আকাশ কেঁদেছে।
এখনো শ্রাবণ মাসে
শোকার্ত মেঘের দল নীলাকাশ
কালো করে আসে।
যেদিকে তাকাই,দেখি তোমার মুখচ্ছবি

সবখানে অশরীরী তোমার আবাস
তোমার অস্তিত্ব চিনে
বাংলার প্রকৃতি
তুমি এই বাংলার উদার আকাশ

পিতা

[ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ]
তোমার স্বপ্নরা সত্য।

নাভেদ আফ্রিদী

স্বাধীনতার জগত সৃষ্টি ক'রে ক'রে হেঁটে যায়
হিমালয়---সুন্দরবন---বাংলা সাগর পার হয়ে
মানুষের চোখ থেকে চোখে---
বুক থেকে বুকে---
পৃথিবীর বেদনার ওপর তোমার মুক্ত প্রসারিত হাত
জলের চেয়ে তরুণ।
রক্তের ভেতর তুমি এক নির্ঘুম রক্ত পতাকা।
আত্মার গভীরে তুমি, নির্ঘুম পিতা।


পিতার অনুদিত কণ্ঠ : এসেছি শান্তির দূত

সমর চক্রবর্তী

আমি জন্মলোভে রাঙাতে এসেছি তরুণ মাটি প্রণয় চিহ্নে
যুদ্ধের অমর শিল্পী হতে শহীদ হবার লোভে আসিনি আমি,
পৃথিবীর সহস্রকোটি মাতৃ জরায়ূ ছিঁড়ে
শোধরাতে এসেছি বাংলায় আমার জন্মঋণ
এ কী জন্মলোভ আমার- পৃথিবীর সমান বয়সী মানুষ আমি !

পরাধীন স্বপ্নের যে সশস্ত্র পঅন্ধকার আমার প্রতিবেশী
বাংলার জলবায়ু তার চেয়ে ভালো জানে ইতিহাসের চোখের বর্ণনা
বিশ্ব সভ্যতার কাছে চিঠি লিখি প্রার্থনায় নয় মুদ্রিত অনুভব
জন্ম যেন না হয় বিজনক গৃহে,না হয় যেন প্রসবে কোনো সবুজ চৌচির !

শোষকের কাছে নতজানু নই আমি সাহসী বাঙালি
রক্তচিত্রের মৌন আলো
ওই দ্যাখো সাজায় কালের পাশে অসীম,
বন্দনাগীতে আঙুল তুলে কথা বলে তবু রঙিন উৎসব
শোকগুলো বেঢপ হাসে পরিবর্তিত জলবায়ূর ভাষায় !

আমার সমস্ত শক্তি সঞ্চয় রেখেছি হে প্রজন্ম তোমাদের জন্য
কত জন্ম আর ঋণ রবে - যুদ্ধ রবে পৃথিবীতে

হৃদয়ের ছুরিতে হারাবে হৃদয়

ধ্বংসের দুঃশাসন হাতে সোনার সিংহাসন লোভে আসিনি আমি,
সৃষ্টি লোভে বারবার এসেছি বাংলায় - আমি শান্তির দূত

শে খ মু জি বু র র হ মা ন

বত্রিশ নম্বর বাড়ি

দীনা আফরোজ


ঝরা পাতার মতো স্মৃতিরা ঝরে পড়ে
ধানম-ির বত্রিশ নম্ব^র বাড়িতে
যেখানে আগের মতোই হাস্যজ্জ্বল স্ট্যাডিরুম
টেবিল চেয়ারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা এক বজ্রকণ্ঠের
কাচবন্দি বইগুলোতে অভিমানের ধুলো
দেয়ালে ঝুলছে কালো কোটের সফল বিদ্রোহ
আর এক টুকরো আর্তনাদ ভেঙে গড়িয়ে পড়ছে
রক্তজবা হয়ে সসম্ভ্রমে...

বাংলার বিস্তীর্ণ অন্ধকার ছুঁয়েও জেগে থাকে রোজ
বত্রিশ নম্বর বাড়ি, যেখানে জেগে আছে অকুতোভয়
আদর্শের অমলিন মুখ ।


পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test