অসীম সাহার কবিতা
আজীবন একই চিঠি
নখরে জ্বালিয়ে রাখি লক্ষ্যের দীপ্র ধনুক
যেন এক শব্দের নিষাদ এই নির্মল নিসর্গে বসে কাঁদি, তবু
সেই নির্মম শব্দাবলী ছিঁড়ে আনতে পারি না বলে
সুতীক্ষ্ণ অনুযোগ হতে অব্যাহতি দিন; এই
শোকের শহরে আমি যার কাছে চাই ফুল, কিছু মনোরম
শোভা, যেসবের বিসতৃত বর্ণনা আমি আপনাকে লিখতে পারি, সে
আমার হাতে শুধু তুলে দেয় দুঃখের বিভিন্ন টিকিট।
আমি চাই প্রত্যহ আপনাকে লিখতে চিঠি, আমি চাই প্রতিদিন
লিখতে এই রক্তের গভীর ইচ্ছে, মর্তান্তিক অনুভবগুলি
আমার সবুজ সুখ, কোমল আনন্দ, নির্জন কান্নার স্বর
একাকী হাঁটতে পথে যেসব দুঃখ দিয়ে ভরে নিই যমজ পকেট
ঢাকার এইসব রঙিন দোকান হতে কিনতে পারিনে আমি
একেকটি সুখের সংসার, কাঠের ঘোড়া, সোনালি
চাবুক, তাই কাঁদি শৈশবের শ্যামল নদীর উপাখ্যান
ভেবে, যে স্বরে কাঁদি আমি সঙ্গিহীন মধ্যরাতে সরকারী গোরস্থানে কিংবা
আমার গোপন ঘরে ফিরে এসে জ্বালাই
দিব্যমোম, শোকের গর্তে শুয়ে কাঁদি, কিংবা যখন
পার্কের বেঞ্চে বসে ফেরেববাজ আড্ডা দিই, ফালতু ফক্কর
মিলে অনেকক্ষণ অযথা হাসি, টিটকিরি দিই, অনগৃল বিদ্রূপের
থুথু ছুঁড়ে উল্লসিত হই, তবু কিছুতেই
পারিনে আমি এইসব সুখদুঃখে আপনাকে লিখতে
চিঠি ; শুনুন জনক, আমি চিরদিন শব্দের কাঙাল।
আজীবন তাই আপনাকে লিখি শুধু একই চিঠি, ভালো
আছি, ইত্যাকার
কুশল সংবাদ অথচ প্রতিদিন ভুগি শিরপীড়া,
বুকে কাশি, অবিরাম জ্বর- আমার রুক্ষ চুলে বিলি কাটে
দুঃস্বপ্নের হাত, এসব খবর কি দৈনন্দিন
লেখা যায়! কী করে লিখবো বলুন, ঘরে একা
দুঃসংবাদে কাঁদবে জননী। আজীবন লিখেছি তাই
একই চিঠি, সেই মিথ্যে মর্মহীন একই চিঠি!
হে জনক, সেই নির্র্মম শব্দ নেই এখানে, যা দিয়ে
বাজাতে পারি কান্নার করুণ কণ্ঠ, নক্ষত্রবীথির সুদূর
নীলিমা হতে আমি
তুলে আনতে পারিনে অমল শব্দের বিভা, অন-রঙ্গ ধ্বনি
আত্মার নিঃসঙ্গ স্বর তাই আমি বোঝাতে পারিনে,
হে জনক, পূজনীয় জনক আমার, ইচ্ছের একটি চিঠি
আজো আমি লিখতে পারিনি।
স্পর্শ
তোমার শরীরে হাত আকাশ নীলিমা স্পর্শ করে
ভূমণ্ডল ছেয়ে যায় মধ্যরাতে বৃষ্টির মতন
মুহূর্তে মিলায় দুঃখ, দুঃখ আমাকে মিলায়
জলের অতল থেকে জেগে ওঠে মগ্ন চরাচর
দেশ হয় দেশ, নদী হয় পূনর্বার নদী
নৈঃশব্দ্য নিরুণ হাতে করতালি দেয়
নিসর্গ উন্মুক্ত করে সারাদেহে নগ্ন শরীর
কোন খানে রাখি তুলে দেহের বিস্তার
তোমার শরীরে হাত দীর্ঘতর আমার শরীর;
তোমার শরীরে হাত সূর্যোদয়, মেঘে রৌদ্র
জন্মান্তর আমার আবার;
তোমার শরীরে হাত একদিন, এই জন্মে শুধু একবার!
ফিরে দাও রাজবংশ
দূতাবাসে উড়ছে পতাকা
অর্থাৎ স্বাধীন আমরা এ-কথা মানতেই
হয়, রাষ্ট্রীয় সনদ আছে দেশে
দেশে আমরা স্বাধীন;
তবু মনে হয় এ যুগে কোথাও কোনো স্বাধীনতা
নেই, বরং এ যুগে মানুষ যেন
পোষমানা দুর্বল মহিষ, নিজের যৌবন
আজ তার কাছে সবচেয়ে বড়ো অপরাধ, নিজের
বিরেক আজ তার সবচেয়ে
বিদগ্ধ কসাই;
যেখানেই বলো না কেন আমাদের
আজ কোনো স্বাধীনতা নেই,
না কথা বলার, না হাসার, কাঁদার
সবখানে সব দেশে মানুষ আজ স্বাধীনতাহীন
ভীষণ নির্জীব, বিষণ্ন বস্তিতে কিংবা বুর্জোয়া বিলেতে
এখনো প্রত্যহ দেখি গ্রেফতারী
পরোয়ানা হাতে ফেরে নগরপুলিশ;
মানুষ কি পারে তার যৌবনকে ভালোবেসে
বাগানে বেড়াতে
মানুষ কি পারে তার নিজের মনের
শব্দ টেলিগ্রামে ভরে ভরে দূরত্বে পাঠাতে?
মানুষ কি পারে তার নিজের আকৃতি
খুলে স্বচক্ষে দেখতে কখনো?
মানুষ কি আঁকতে পারে নিজের আদলে কোনো
জ্যান্ত বাঘের মুখ? এ যুগে
মানুষ বুঝি বড়ো বেশি কিছুই পারে না
কেবল আইনের হাত ধরে কিছুটা রাস্তা হাঁটা ছাড়া
এ যুগে মানুষ বুঝি
কিছুই পারে না;
অথচ এখথন কোনো রাজা নেই, রাজ্য নেই
কেবল আছে রাজ্যশাসন
আমরা এখন কারো প্রজা নই
প্রজাস্বত্ব সর্বত্র প্রবল
তাই কি আমরা এই প্রজাতন্ত্রে এমন বন্দী স্বাধীন?
তাহলে কি আমরা সবাই আজ বাস
করি পাথরের ঘরে
মানুষ কি কোনোদিনই পারবে না
জন্ম দিতে নিজের যৌবন?
নিজের বুকের মধ্যে পারবে না পুষতে
সে বিশ্বাসের বিশুদ্ধ মৌচাক?
তার চেয়ে আমাদের ফিরে দাও রাজবংশ, রাজকীয়
অলীক বিশ্বাস
রাজকুমার তোমার রক্তে জন্ম নিক
জান্তব যৌবন, যুদ্ধ করে মরি।
তোমাকে ছাড়া
তুমি যখন আমার কাছে ছিলে
তখন গাছের কাছে গেলে আমার ভীষণ আনন্দ বোধ হতো
লতাপাতার উৎসাহ দেখে আমি সারাদিন তার কাছে ঘুরে বেড়াতাম
কোনো কোনো দেন পাখিদের
বাষভূমিতে আমার অনেক উপাখ্যান শোনা হতো
তুমি যখন আমার কাছে ছিলে
তখন প্রত্যহ সূর্যোদয় দেখতে যেতাম তোমাদের বাড়ির পুরনো ছাদে
তোমার সেই যে দজ্জাল ভাই সারারাত তাস খেলে এসে
পড়ে পড়ে তখনো ঘুমাতো,
তুমি যখন আমার কাছে ছিলে
তখন আমার রোজ ভোরবেলা ঘুম ভাঙতো, যেতাম
প্রকৃতির কাছে মানবিক অনুভূতি নিয়ে
মানুষের দুঃখ দেখে আমার তখন ভীষণ কান্না পেতো
এখন আমার আর সেই অনুভব ক্ষমতা নেই
মানুষের নিষ্ঠুরতা ও পাপ দেখেও আমি দিব্যি চায়ের দোকানে
বসে হাসতে হাসতে চা খাই
সেলূনে চুল কাটার সময় পাশেই অবৈধ কতো কী ঘটে যায়
তুমি কাছে না থাকলে আমি দিন দিন অমানুষ হয়ে উঠি
আশেপাশে সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করি
মানুষ ও প্রকৃতির দিকে চেয়ে আমার হিংসা বোধ হয়
তুমি না থাকলে মেয়েদের রূপ কিংবা ফাহমিদা খাতুনের
রবীন্দ্রসঙ্গীত কিছুই আমাকে আকর্ষণ করে না
শিশুদের প্রতি মমত্ববোধ জাগে না আমার
একে একে সকাল দুপুর সারাদিন নষ্ট হয়
কোনোকিছুই করতে পারিনে আমি
তুমি না থাকলে বড়ো দুঃসময় যায়, সর্বত্র বন্ধুবিহীনভাবে
বাস করি
এই ঢাকা শহর ভীষণ রুক্ষ মনে হয়
কাউকি ডাকলে সাড়া দেয় না, সবাই আমার বিরুদ্ধাচরণ করে
তুমি না থাকলে এই বাড়িঘর শহরের লোকজন
সম্পূর্ণ আমার অপরিচিত মনে হয়
নিজেকেই নিজের অচেনা লাগে
মনে হয় দীর্ঘ দিন থেকে আমি যেন কোনো অজ্ঞাত অসুখে ভুগছি
তুমি না থাকলে বাস্তবিক আমি বড়ো কষ্টে পড়ি
বড়োই কষ্ট হয়।
আমার এ-ভয় অন্যরকম
তোমরা সবাই ভয় পাও এই বাইরে যেতে
দুয়ার খুলে বাইরে যেতে
পথ পেরোতে
গাড়ির ভিড়ে বড়ো রাস্তা পার হতে যেই পা বাড়ালে
ভয় পাও এই আগুন দেখে
বারুদ দেখে
দোজখ দেখে ভীষণ রকম গজব দেখে খোদাতালার
তোমরা সবাই ভয় পাও এই দাঙ্গা দেখে
মড়ক লাগলে মহামারী এমনি কিছুর
ভয় পাও ঠিক রাত-বিরেতে অন্ধকারে
যাকে তাকে দেখলে হঠাৎ
হয় পাও এই সাপের বাঘের
চোর-ডাকাতের দৈত্যদানা জলপুলিশের
অনেক কিছুর ভয় তোমাদের
ভয় তোমাদের বাইরে কেবল চেখের ওপার,
আমার এ-ভয় অন্যরকম
অন্য কিছুর
আমার কিছুর
আমার এ-ভয় বাইরে তো নয়
ঘরের ভিতর নিজের ভিতর
আমার এ-ভয় নিজেকে ভয়
আমার এ-ভয় শোবার ঘরে বাথরুমটির
ঠাণ্ডা জলের টবের ভিতর
দাড়ি কাটার লম্বা ক্ষুরে
চায়ের কাপে কাঁটা-চামচে
আমার এ-ভয় আলমারিতে
বইয়ের তাকে ফুলদানিতে
মুখ দেখবার আয়না খুলে ড্রয়ার খুলে
আমার এ-ভয়
আমার এ-ভয় শত্রুকে নয় প্রিয়ার চোখে
নরম ঠোঁটে
নিজের দুটি করে মাঝে নখের ভিতর
আমার এ-ভয় অন্যরকম অন্যরকম।
শহরে, এই বৃষ্টিতে
ঢাকার আকাশ আজ মেঘাচ্ছন্ন, মাধবী এখন তুমি বাইরে যেও না
এই করুণ বৃষ্টিতে তুমি ভিজে গেলে বড়ো ম্লান হয়ে যাবে তোমার শরীর
এই বৃষ্টিতে ঝরে যদি কারো হিমে তোমার কোমল দেহের আদল
মাধবী বৃষ্টিতে তুমি বাইরে গেও না। মাধবী তুষারপাতে
বাইরে যেও না।
এ শহরে বৃষ্টি এলে আমি ভেসে যাই কান্নার করুণ ভেলায়
হাতে নিয়ে তোমার একদা দেয়া উপহারের গোপন অ্যালবাম
এই তুষর বৃষ্টিতে যদি সব ছবি মুছে গিয়ে লেগে থাকে জলের গভীর চিহ্ন
শুধু জল, আমার কান্নার মতো করুণ কোমল সেই জল,
সেই তুষারের দাগ
আমি যদি ভেসে যাই এমনি অথই তুষারজলে তুমি তবু নিরাপদে থাবো
সেই হৃদয়ের হৃতরাজ্যে কোনোদিন আর ফিরে যাবো না, যাবো না
সেখানে প্রত্যহ এক আততায়ী যুবকের বহুবিধ কঠিন শসন ;
শহরে বৃষ্টি এলে গলে গলে পড়ে সব ময়লা কফ বিভিন্ন অসুখ
শোকের তুষার জলে বড়ো ভয়, মাধবী তুমি তাই বাইরে এসো না
সেই ভালো আমার জীবনে তুমি সুবিখ্যাত কিংবদন্তী হয়ে থাকো আজ।
নিসর্গের খুন
এই প্রকৃতি একদিন আমাদের গ্রাস করবে
জিরাফের মতো গ্রীবা বড়িয়ে অকস্মাৎ,
কাঁঠালিচাপার বন, এই জ্যোৎস্নারাত
অমলিন নিসর্গের শোভা হানাদার দস্যুর মতো
ভয়ঙ্করভাবে ছুটে আসবে
আমাদের দিকে,অবরোধ করবে ঘরবাড়ি, শস্যের গোলা
খাদ্যভান্ডার লুট করে নিয়ে যাবে আমাদের মুখের গ্রাস
ভেঙে ফেলবে যাতায়াতযোগ্য স্থলপথ,
এই শান্ত চুপচাপ জলরাশি একদিন ধেয়ে আসবে আমাদের দিকে
নিশিডাকাতের মতো ডাক ছেড়ে হামলা করবে
চারদিক থেকে ঘিরে হত্যা করবে আমাদের ,
কেড়ে নেবে নগরকোটালের হাতের বাঁশি, বর্ম,
মাথার টুপি, শাদা পোশাক
সরল চাষার লণ্ডভণ্ড করবে খামার, শস্যক্ষেত
নিশিরাতে গোয়াল থেকে খেদিয়ে নেবে গরুর পাল
কালো খোঁয়াড়ে
বন্দী করবে একে একে,
লুটপাট করবে স্থানীয় মুদির দোকান, সারাগ্রাম
কাঠমিন্ত্রির সাজসরঞ্জাম তছনঝ করবে,
জলের স্বেচ্ছাচার ছিনিয়ে নেবে গৃহবাসী ভালোবাসা
গোঁয়ার ট্রাকচালকদের মতো নিসর্গ আমাদের
একদিন ফেলে দেবে গভীর খাদে
যেখানে ধসে পড়বে আমাদের এই দিনরাত্রি
শক্ত প্রাচীর, বড়ো বড়ো অট্টপালিকা
মহেঞ্জোদাড়োর মতো ধ্বংস হবে আমাদের নগরসভ্যতা
শাদা হাসপাতাল, পৌরসভা,
পার্ক ও খেলার মাঠ
বাঁধ ও সেতু ভেঙে আমাদের ভসিয়ে নেবে দুর্ধর্ষ প্লাবন,
আকাশ আমাদের বিরুদ্ধে একদিন ষড়যন্ত্র করবে
এই কাঁঠালিচাঁপার বন, জ্যোৎস্নারাত, পাখিডাকা নিসর্গ
সমুদ্রের বেলাভূমি সবাই,
এই আক্রমণকারী প্রকৃতির হাতে
একে একে ধ্বংস হবো আমরা
শিশু, বৃদ্ধ, যুবা
নিসর্গের প্লানে ভাসবো অন্তহীন লাশ!
জ্যাকুলিনের দ্বিতীয় বিবাহের পর
তুমি বড়ো জীবনকে ভালোবাসতে, জ্যাকুলিন
সুখ কোথায় থাকে, ভালোবাসা কোথায় তার
ক্যাম্পখাট বিছিয়ে ঘুমায়
তোমার চেখের নিচে ভালোবাসার সবুজ ঠিকানা
তোমার গুপ্ত বুকে দক্ষিণ আমেরিকার সমস্ত সোনার খনি
ঐশ্বর্যে তোমার বড়ো সাধ
তুমি চাও জুয়েলারী, টয়লেট,
ছিমছাম সোনালি মোজেক ;
দুঃখকে তোমার বড়ো ভয় জ্যাকুলিন,
দুঃখকে তোমার বড়ো ভয়
দুঃখ কি দেখেছো খুলে তার কালো বাক্স থেকে দেখতে কেমন
তার সারা মুখে ব্রণের দাগ, নিগ্রোদের মতো ভাঙা গলার স্বর
দুঃখ বড়ো ভয়ঙ্কর, দুঃখকে পাশে নিয়ে তুমি কিছুতেই ঘুমোতে
পারবে না
বড়ো শকাত দুঃখের সাথে রাত জাগা
বিশেষত তোমার অভ্যাস নেই,
জ্যাকুলিন, তোমার চাই ভালোবাসার বাসস্থান,
সম্পদ, দম্পতির সুখভোগ
তোমার চোখের নীল সমুদ্রে চাই ওনাসীদের সমসন্ত জাহাজের মালিকানা
জাঁকজমক, যা কিছু ইচ্ছে খরচবরাদ্দ,
তোমার যৌবনে চাই ভুলচুক, প্রকৃতির রক্তমাংস
সন্মৃতির ঝাপসা আংনায় তুমি কারো ফ্যাকাসে মুখ দেখে
এক থাকতে পারো না,
কেনেডীর মৃত্যু যতো করুণই হোক, জ্যাকি, তুমি এক
থাকতে পারো না।
জ্যাকুলিন, তুমি দেখবে সমুদ্র ভ্রমণে গিয়ে
ব্যালকনি দেখে কেমন বাঁচতে আচ্ছে করে
যেঘ দেখতে দেখতে হায় যায় লতাপাতার মতো কাছাকাছি
তুমি কখনো পিকনিকে গেলে দেখবে নারীপুরুষের
পাশাপাশি সুখ ও ভালোবাসার অবস্থান
টকিহল, মন্ত্রীদের বসভবন কিংবা হোয়াইট হাউসের
পাশ দিয়ে যেতে যেতে
তুমি এসব দেখে অযথা দুঃখ পাবে
তোমার অনেক কিছু আচ্ছে করবে জ্যাকুলিন,
ভালোবাসা, সুখ, চুম্বন এরকম আরো কতো কি
ও তুমি সইতে পারবে না ;
তোমার চোখের নিচে ভালোবাসার ধারালো রেজার
তোমার বুকের মধ্যে সুখী দম্পতির সবুজ ভূস্বর্গ
তোমার কোনো দোষ নেই জ্যাকুলিন, তোমার কোনো দোষ নেই
তুমি তো নিজের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে
পারো না।
জলসত্র
শহরের চৌদিকে ওরা খুলে দেয় সুবিখ্যাত জলসত্র সব
তবু কানে আসে কলরব
ভীষণ পিপাসা এইখানে, জলচাই
মানুষের পিপাসার জল নাই
মিউনিসিপ্যালিটির এই বড়ো বড়ো ট্যাঙ্কের তলায়
বালি আর কঠিন কাঁকর সব জমে আছে। আমাদের বিশুষ্ক গলায়
একবিন্দু শীতল জলের স্বাদ দিতে পারে এমন প্রকৃত কোনো হ্রদ নেই
কাছে কিংবা যেখনেই
তাকাই কেবল আজ চোখে পড়ে ধোঁয়ার কফিন
সগর আর নদীর জল প্রতিদিন
বাষ্পীয় জাহাজে চড়ে চলে যায় দূরবর্তী চাঁদের শহরে
সেইসব প্রাণশূন্য ঘরে
বসে পৃথিবীর শ্যামল জলের বাজার
থরে থরে গজায় বৃক্ষবাড়ি, লোকালয় এখানে হাজার
মরে পিপাসায়, জল নেই শহরে কোথাও
শহরে কোথাও আজ শান্তি নেই, যদিও অনর্গল শান্তির ডঙ্কা পেটাও
খুলে দাও জলসত্র, তবু হায়
এ শহরে মরে লোক ভয়ে জলশূন্যতায় আর
পিপাসায়।
ফ্লাড
সীতা, তুমি এখন কলকাতায় বসে বসে
আমাদের বন্যার খবর পড়ছো
প্রতিদিন খবরের কগজের পাতায় দেখছো সেইসব
প্রতিদিন খবরের কাগজের পাতায় দেখছো সেইসব
বন্যাদুর্গত মানুষের দুঃস্থ ফটোগ্রাফ
বন্যায় যাদের ঘরদোর ভেসে যাচ্ছে
প্রকৃতি যাদের সাথে করছে ভীষণ শত্রুতা
জলদস্যুদের মতো বন্যা এসে যাদের ঘরে অকস্মাৎ হানা দিচ্ছে
লুটে নিচ্ছে ঘরের আসবাব, ভাঙা বেঞ্চ, পৈতৃক পিঁড়ি,
পুরনো আমলের খাতাপত্র,
বন্যায় ভেসে যাচ্ছে বড়ো বড়ো কাঠের গুঁড়ি,
চালাঘর, ভেড়ে পড়ছে ভীষণ জলের তোড়ে কড়িবর্গা,
ভেসে যাচ্ছে শিশুর খেলনা হাতি, বুড়োদের সারাদিন
বসে থাকার হাতলভাঙা মলিন চেয়ার।
বন্যায় ধসে পড়ছে গ্রামের পোস্টাপিস, স্কুলঘর,
মানুষের সাজানো সংসার
এই ভয়ঙ্কর বন্যায় ভেসে যাচ্ছে বাংলার ভবিষ্যৎ
নিঃস্ব বাংলা আজ কোথায় দাঁড়াবে তার কিছুই জানে না,
এমন সময় হয়তো একদল সমাজকর্মী এসে
তাদের লাল সালুতে লেখা কোনো এক ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাবে
দুর্গত বাংলা আজ আশ্রয়শিবিরে করবে
সারারাত অজ্ঞাতবাস;
গতকাল আমরা যখন পল্টন থেকে ফিরছিলাম
কয়েকজন তরুণ আমাদের দিকে এগেয়ে এসে
তাদের চাঁদা তোলার কাপড়খানা মেলে ধরেছিলো
আমার সঙ্গী ওদের হতে দিয়েছিলো একটি আধুলি
আমার পকেটে কোনো পয়সা ছিলো না
আমি তইি ওদের দলে মিশে গিয়েছিলাম।
সীতা, সেবার তুমি ছিলে পূর্ববাংলার এক মফস্বল শহরে
সে-বছর ভীষণ বন্যার খবর দিয়ে তার পাঠিয়েছিলো ইদ্রিস
বন্যায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে অসংখ্য পরিবার
তোমার বোধহয় মনে আছে সীতা,
দুর্গাদা তখণ সদ্য জেল থেকে বেরিয়েছে
আমরা শহরে কতো বড়ো ভিক্ষা মিছিল বের করেছিলাম
তোমার হতে ছিলো সেই লাল ব্যানারেরা একটা অংশ
সে-মিছিল ছিলো
এই বন্যার বিসতৃতির চেয়ে অনেক বড়ো
বন্যা সেদিন আমাদের সীমানা বাড়িয়ে দিয়েছিলো।
সীতা, আজো তো তোমাদের বিহারে বন্যা
তুমি কি সেদিনের মতোই আজো মিছিলে নেমেছো
কলকাতার রাস্তায়
তাই ঢাকাতেও বেরিয়েছে এতো বড়ো মিছিল;
সীতা, এই ভয়ঙ্কর বন্যায় আমাদের সব
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে,
উল্টে গেরেছ টেলিগ্রাফের তারসুদ্ধ খুঁটি
রেললাইন, মালভর্তি ওয়াগন পড়ে আছে স্টেশনে
তবু আমার মনে হয় এই বন্যা বড়িয়ে দিয়েছে
আমাদের সীমানা
স্তলভাগের চেয়ে জলের দূরত্ব বোধ হয় অনেক কম
জলের ওপর দিয়ে মানুষের কন্ঠ অনেক দূর যায়
কিংবা দুর্যোগে দুর্বিপাকে মানুষে মানুষে কোনো ব্যবধান
থাকে না
খুলে পড়ে টুকরো টুকরো মানুষের অন্তর্গত
অসংখ্য লেবাস
তাই আমি যখন ঢকার রাজপথে
বন্যাত্রাণ মিছিলের পাশাপাশি
তুমি তখন কলকাতার রাস্তায়।
দুঃখ আছে কতো রকম
হায় আমাদের দুঃখ আছে কতো রকম
বুকের ক্ষত, মনের বারো গাঢ় জখম
মা যেমন দুঃখ করেন হলো না তার ঘটিবাটি সোনার বাসন
ন্যায্য আসন
ছেলেরা তার দিলো না কেউ
রইলো পড়ে বাইরে যেমন উড়োনচন্ডী
জোয়ারে ঢেউ ;
ঘর হলো না, নিজের কোনো ঠাঁই হলো না পায়ে দাঁড়াবার
হত বাড়াবার
বিপদ আপদ কতোই আছে
মা রাখলেন মনেই চেপে মনের দুঃখ
মনের কাছে,
আমি যেমন দুঃখ করি
দুঃখ করি
অনেক কিছু
ঠিক য়ে আমি চুটলি কখন কিসের পিছু
তাই জানি না
শীতের দিনে হাত বাড়িয়েও ঘরে একটু রোদ আনি না
কেন যে ঠিক দুঃখ করি তাই জানি না ;
এই তো আমি ইচ্ছে করলে খেতে পারি, ঘুমোতে পাই যখন তখন
অসুখ হলে কিনতে পারি অ্যাসপ্রো কিংবা চোখের জন্যে
দামী লোশন
বাসে চড়ে ঘুরতে পারি এখান থেকে অনেক খানি,
কিংবা যেমন কারো কারো প্রেমের জন্য প্যানপ্যানানি
প্রেম হলো না, হলো না ঠিক আলাপ কোনো মেয়ের সাথে
দিনেরাতে
বাদশাজাদীর তসবী নিয়ে নরম বিলাস
ও-সব ছাই নেই কিছুরই কোনো আভাস
আমার মধ্যে, তবু আমি দুঃখ করি
কিসের জন্যে দুঃখ করি তাই জানি না
গাই বিয়োবার আশায় ঘরে ধান ভানি না
সবাই আমরা দুঃখ করি একটা কিছুর দুঃখ করি
ঘটিবাটি, বসতবাড়ি, ফুলদানি বা সোনার বাসন
নিজের জন্য হলো না ঠিক যোগ্য আসন
হাত বাড়াবার শক্ত লাঠি
পরিপাটি সোনার জীবন
হলো না ঠিক যেমনটি চাই দুঃখ করি
সবাই আমরা একটা কিছু দুঃখ করি
কেন যে ঠিক দুঃখ করি তাই জানি না
কেবল বুঝি বুকের নিচে সুনীল জখম।
তখন সুবর্ণ হবে ঘাস
যাই হোক, কুসুম ঝরিয়া যাক, খুলে যাক শিশুর পালক
উজ্জ্বলতা তাহাও নিভিয়া যাক, জলরাশি হয়ে যাক খাঁখাঁ বালিযাড়ি
যাই হোক তাহার বিশ্বাস রাখো, একদিন পরিত্রাণ হবে
পরিশুদ্ধ হবে মাটি, জল, জলের
কুচ্ছিত মুখচ্ছবি, ছায়া,
সেই পীত নষ্ট জরে ফিরে পাবে বণৃহীন ঘ্রাণ
তাহার বিশ্বাস রাখো
চক্ষুষ্মান হবে সভ্যতার এই অন্ধ রাজা
বিবর্ণ গোলাপ পুনরায় আয়ুষ্মতী হবে
তখন সুবর্ণ হবে ঘাস, ঘাসের মহল।
যাই হোক চারদিক ছেয়ে যাক ক্রূর অভিশাপে
পাহাড় টলিয়া যাক, যাই হোক, রাখো, শুদ্ধ বিশ্বাস রাখো
একদিন অন্ধকার ভেদ করে আশাতীত সূর্যোদয় হবে
পরিশুদ্ধ হবে জল, মাটি, তারও মধ্যকার মজা প্রাণ
তাহার বিশ্বাস রাখো,
অভিভূত আদিম মানব হয়ে দেখো,
দেখো তিনি তো আগুন, তাহাকে বিশ্বাস করো, অগ্নিকে বিশ্বাস
করো, নতজানু হও
তাহাকে বিশ্বাস করো তিনি জল, বৃক্ষকে বিশ্বাস করো,
আগুনে বিশ্বাস রাখো, জলে রাখো,
জলের অতীত আরো সুদর্শন তাহাকে বিশ্বাস রাখো
শুদ্ধ বিশ্বাস রাখো একদিন শাপমুক্ত হবে।
পাঠকের মতামত:
- ঝিকরগাছার মিঠুর নামে ব্যাপক প্রতারণার অভিযোগ
- কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক পদে লড়ছেন ৫ নারী
- এমপি পিন্টু ও সাবেক এমপি অসীম ঘনিষ্ঠ ৫ প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ
- আগৈলঝাড়ায় আনারস প্রতীকের নির্বাচনী জনসভায় মানুষের ঢল
- ওয়ালটন ৪২তম জাতীয় মহিলা দাবা প্রতিযোগিতা শুরু
- র্যাব হেফাজতে গৃহবধূর মৃত্যু ভৈরবের ৪ র্যাব সদস্যসহ নান্দাইলের এক এসআই প্রত্যাহার
- ধামরাইয়ে নির্বাচনের যাবতীয় সরঞ্জাম কেন্দ্রে প্রেরণ
- কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবুল হোসেন লিটন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- ফকিরহাটে প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় দুই ওসিকে রেঞ্জ অফিসে প্রত্যাহার
- সংসদ সদ্যস্য আনারের ফেরার অপেক্ষায় পরিবার
- নড়াইলে চালককে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে ইজিবাইক ছিনতাই
- বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক শান্তি পদক ঘোষণা
- টাঙ্গাইলের ৩ উপজেলায় ভোট গ্রহণ কাল
- নড়াইলে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- হাতিয়ায় ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ
- সুষ্ঠু নির্বাচনের শঙ্কায় কাঁদলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী
- ‘কোনো টাউট-বাটপার যেন সংগঠনে ঢুকতে না পারে’
- বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ
- রাত পোহালেই মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
- ‘ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জেতার চেয়ে অলিম্পিক পদক জেতা অনেক বড়’
- রাজবাড়ী, গোয়ালন্দ ও বালিয়াকান্দিতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম
- রাজৈরে নবচেতনা পত্রিকার ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
- দিনাজপুরে ‘ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট’র ডিলার উদ্বোধন
- শ্যামনগরে টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘরবাড়ি
- বোয়ালমারীতে বালু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ
- রাত পোহালেই সাতক্ষীরার তিন উপজেলায় ভোট
- টুঙ্গিপাড়ায় দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মাঝে সনদ বিতরণ
- স্নাতকস্তরে বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ চালুর পরামর্শ ইউজিসির
- ময়মনসিংহে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন মোহাম্মদ খোরশিদ আলম
- বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন
- ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক
- ‘ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নয়’
- ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- গণমাধ্যমকর্মী সুরক্ষা আইন ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা
- সারাদেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো
- দু’টি বিতর্কে বাইডেন-ট্রাম্প সম্মত
- নড়াইল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দ্বিমুখী লড়াইয়ের আভাস
- সালথা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন, মঙ্গলবার ভোট
- সিলেট-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবিতে সিলেটবাসীর মানববন্ধন
- আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) কে নিয়ে কিছু কথা
- জমে উঠেছে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন, বিপাকে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী সাংসদ নাহিদ
- ‘স্বর্গ থেকে আপনাদের বিদায় নিতে হবে’
- 'ফরিদপুরে শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে'
- ৫০ দিনের মধ্যে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
- ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবার
- কোপা থেকেও ছিটকে গেলেন ব্রাজিলের এদেরসন
- শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা
- ২৭ মে সারা দেশে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি অটোরিকশাচালকদের
- কানের লাল গালিচায় বেবিবাম্প নিয়েই হেঁটেছেন প্রিয়তী
- ‘সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতে বিএসটিআই কাজ করে যাচ্ছে’
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !