E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তোফায়েল তফাজ্জল এর ছড়া

২০১৫ ডিসেম্বর ২৮ ১২:০০:৫০
তোফায়েল তফাজ্জল এর ছড়া







 

জানতে

জানতে এ, তার কাছে যাওয়া
দৃষ্টিকটু নয়,
বরং দ্বিধা না থাকাটাই
এক ধরনের জয়।
ছোট, সমান কিংবা বড়
যার কাছেই এই ধন,
নিলেও দেনা দোষ দেখি না
মাসে কয়েক মন।

কেউ যদি তাও ভেংচি কাটে,
হাত পাতা এই শিক্ষা,
জানিয়ে দিও দোষ কিছু নয়
করতে এমন ভিক্ষা।
সাত সমুদ্র তের নদীর
ওপারেও তা পেলে
মায়ের দোয়ায় সেই সুদূরেও
যাবে পাখা মেলে।

সেই প্রাণীটা

কার না জাগে ইচ্ছে
বন-বাদাড়ের সবুজ ও ফুল
করতে উপভোগ
রঙ-বেরঙের প্রাণীর ওপর
মেলে ধরতে চোখ ?

খোকা সেদিন দেখতে পেলো
সকল পাখি সকল প্রাণী
হাসতে হাসতে মরে
একটি প্রাণীই গোমড়ামুখো
কেবল চোখে পড়ে।

সেই প্রাণীটা একা
উদাস চোখে তাকিয়ে থাকে,
চামড়া ভীষণ মোটা
হাসির হেতু তাই গুলিয়ে –
বুঝতে পায়নি গোটা।

বুঝলো ঠিকই দু'দিন পরে
ভাঙলো নিজের ভুল
কেউ হাসে না একাই সেদিন
হেসে পায় না কুল।

হাঁস

পাখি চলে দলবলে সারি বেঁধে আকাশে
হাঁসও সারি বাঁধে জলে সোজা আর বাঁকা সে।
ডিঙ্গি নায়ের ন্যায় ভেসে যায় বেড়াতে
বাক বাক ডেকে ওঠে কেউ এলে ফেরাতে।
আছে দৌড় ফালাফালি আর ঠোকাঠুকিতে
খেলে খেলে বেখায়ালে পড়ে জল ঝুঁকিতে।

খুব বেশি খুশি হয় জোরে জল নামলে
গা এলিয়ে ভেসে যায় পড়ে গিয়ে হামলে।
খিদে পেলে মাছ খায় বড় স্বাদ শামুকে
এগুলোর খোঁজ নিতে মা পাঠায় আমুকে।
দেখে এরা রঙিন কেউ সাদা জামাতে
আছে রঙ-তামাশায় নেই মাথা ঘামাতে।
কেউ আছে কাহিনীতে গলা শোভা মালাতে
আর কেউ কানাকানি করে চায় পালাতে।

পেটে কিছু পড়লেই না বসে, না দাঁড়িয়ে
মাথা পিঠে গুঁজে দিয়ে ঘুমে যায় হারিয়ে।
আড়মোড়া দিয়ে ওঠে ছোট ঘুমে ছাড়লে
বহু জল সাঁতরায় জুড়ি দিতে পারলে।
মাঝে মাঝে উড়ে যায়, নয় ততো পাকা সে
পাকা হলে মনে হয় উড়ে যেতো আকাশে।
বুনোহাঁস কতো ওড়ে মেপে দেখো মিটারে,
দু'পাখার সাড়া রব বোঝে বেশ গিটারে।

এরা প্রায়ই শৃংখল ওড়া, চলাফেরাতে
বড়কেই আগে দেয় ঝুঁকি সব এড়াতে।

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test