হাসান মাহবুব এর গল্প
ধন্যবাদ, আবার আসবেন
(০)
ডিং ডং! কলিংবেলটা বেজে উঠলো। ববি তখন দুপুরের খাবার শেষ করে বিছানায় একটু গড়িয়ে নিচ্ছে কেবল। বাসায় কেউ নেই। কে আসতে পারে এই ভরদুপুরে? বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকিয়ে বিছানা থেকে নেমে দরজা খুলতে গেলো সে। পরবর্তীতে এটা তার জীবনের নিকৃষ্টতম ভুল হিসেবে নির্ণিত হয়েছিলো। দরোজার ওপাশে সরকারী পেটোয়া বাহিনীর মাথায় পট্টি, চোখে সানগ্লাস পরা কোনো ভয়াল চেহারার সদস্য চোখ রাঙিয়ে ভুয়া ওয়ারেন্ট নিয়ে আসে নি, যেরকমটা ইদানিং খুব হচ্ছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতের দলও আসতে পারতো। ওরা খুব ভালো করেই খোঁজ রাখে কোন বাড়িটা ফাঁকা আছে অথবা কোথায় নিরাপত্তার অভাব। দেশের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া তার পরিবারের সদস্যরা কি এত সাত তাড়াতাড়ি চলে আসলো? তাহলেই সেরেছে! হররোজ বাসার মধ্যে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা, তাস পেটানো, সিগারেট আর এ্যালকোহলের যে মিশ্র গন্ধটা সুযোগ পেয়ে আনন্দে উড়ে বেড়াচ্ছিলো, পরিবারের অন্য সদস্যদের এমন গর্হিত কর্মের হদীশ খুঁজে পেতে এক লহমা সময়ও লাগতো না। না, তারা কেউ আসে নি। যে এসেছিলো, সে ছিলো একাবোকা, নিরীহ আর হাস্যোজ্জ্বল। কে জানতো যে তার কাছ থেকেই ববিকে এক জটিল ঘটনাপ্রবাহের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ে বহুমাত্রিক অনুভূতির জের টানতে হবে?
(১)
ববিদের পাশের বাড়িতে নতুন এক ভাড়াটে এসেছে সম্প্রতি। তাদের একমাত্র মেয়ে, জেনি বেশ উচ্ছল, চঞ্চল। প্রজাপতির মতো বহুবর্ণের ডানা ঝাপটিয়ে চলে সে। বিকেলের দিকে ববি সিগারেট নিয়ে বারান্দায় গেলে মেয়েটার দেখা পায়। ছাদে বাচ্চাদের সাথে বরফ পানি অথবা ব্যাডমিন্টন খেলছে। ববির দেখতে বেশ ভালো লাগে। তবে মেয়েদের দেখলে যেমন একটা উড়ুউড়ু ভাব অথবা কামচেতনার উদ্রেক হয়, এই মেয়েটির ক্ষেত্রে ববির মোটেও সেরকম কিছু মনে হয় না। বয়সের ব্যবধান যদিও তাদের মধ্যে বেশি না, তারপরেও মেয়েটাকে নিজের থেকে অনেক ছোট মনে হয় তার। মেয়েদের ম্যাচুইরিটি নাকি ছেলেদের চেয়ে কম বয়সে পরিপূর্ণতা পায়। কিন্তু এই মেয়েটিকে দেখে কে বলবে সে কথা! মাঝে একদিন ভেবেছিলো ফ্লার্ট করবে মেয়েটির সাথে। বিটলসের গানের লাইন লেখা টিশার্ট আর রেক্স থেকে সদ্য কেনা জিন্সের প্যান্ট পরে নিজেকে আয়নায় দেখে খারাপ লাগে নি একদম! এখন জেনি যদি মর্জি করে তার দিকে তাকায় একটু! তা সে বেশ তাকিয়েছিলো বটে! ঘটনাটি যেভাবে ঘটেছিলো তা নিঃসন্দেহে নতুন এক সম্পর্কের সূচনা হতে পারতো! হয়েছিলো কী, জেনি ব্যাডমিন্টন খেলছিলো, হঠাৎ করে কর্কটা বেশি জোরে মারার ফলে ববির বারান্দায় এসে পড়ে। জেনি তা দেখে চিৎকার করে ওঠে, "এই যে ভাই, কর্কটা একটু দেন না!"। সম্বোধন শুনে ববির রোমান্টিক চিত্রকল্পিত বিকেলটা অল্প একটু পথ পেরিয়েই যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ে! কর্কটা ছুড়ে দিয়ে বারান্দা থেকে প্রস্থান করে ববি।
(২)
জেনি বিষয়ক লঘু মনতরীর সেখানেই সলিল সমাধি হতে পারতো। কিন্তু বন্ধুদের সাথে জমাট আড্ডার এককালে ববি যখন গাঁজা খেয়ে মাঞ্জা মারা সেই দিনটার কথা এবং তার বেদনাকে বহুগুন বাড়িয়ে কাঁদোকাঁদো স্বরে পেশ করলো, তখন আর তাদের পায় কে! ববি এবং তার বন্ধুরা বেশিরভাগই পরাশ্রয়ী। বাবা, বড় ভাইদের পয়সায় টঙএর দোকানে অলস সময় কাটানো, এবং একে অপরকে খোঁচাখুঁচি করাটাই আপাতত তাদের জীবনের মূল লক্ষ্য। সুতরাং, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এমন একটা ইস্যু পেলে তারা ছেড়ে কথা বলবে কেনো? তারা মহা উৎসাহে ববিকে জ্ঞান দিতে থাকে এবং "কী করিলে কী হইবে" এ ব্যাপারে নিজেদের অথবা অন্যের কাছ থেকে ধার করা অভিজ্ঞতা বয়ান করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, মেয়েটা প্রাপ্তিসিধ্য এবং ববির উচিত তার সাথে ফ্লার্ট করাটা চালিয়ে যাওয়া। তাদের মতে, মেয়েটা সহজ সরল এবং তার কোন অতীত সম্পর্ক না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। এমন মেয়ে হাতছাড়া করা ববির উচিৎ হবে না। সেদিন রাগ করে চায়ের কাপ ছুড়ে ফেলে বন্ধুদেরকে গালি দিয়ে বাসায় ফিরে যায় ববি। শীতল পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকার পর যখন তার নেশা কাটতে শুরু করেছে, তখন বন্ধুদের কথাগুলি পুনরায় বিবেচনা করতে গিয়ে সে ভাবে, তারা তো খুব একটা ভুল বলে নি! মেয়ে দেখতে সুন্দর, মিশুক, সদালাপী, প্রাণস্পন্দনে ভরা। এমন মেয়ের সাথেই তো প্রেম করলে জমে! মাঝখানে কয়েকদিন বিকেলে বারান্দায় যাওয়া হয় নি। কাল থেকে আবার যেতে হবে। বাকের ভাইয়ের মতো একটা সানগ্লাস কিনবে নাকি? আর চুলটা ব্যাকব্রাশ করলে কেমন হয়? নাহ, বিশ বাইশ বছর আগের ফ্যাশন, এখন করলে হাসাহাসি করতে পারে সবাই।
(৩)
ইদানিং ছাদে আসা হয় না তেমন জেনির। ওর খেলার সাথী ছিলো যারা, তারা এ বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে বলেই এই বিরতি। তবে ববি ঠিকই বারান্দায় বসে থাকে জেনির জন্যে। জেনি কেমন যেন আনমনা হয়ে থাকে। কিছুই খেয়াল করে না। স্থুলদৃষ্টিতে তাকালেও তার বুঝে যাওয়ার কথা একটা ছেলে হ্যাংলার মতো দাঁড়িয়ে থাকে শুধু তার জন্যে, প্রতিদিন। এমন করেই হয়তো চলতো, বাধ সাধলো তাদের বাসায় ঘুরতে আসা অতিথি, তার এক খালাতো বোন। জেনির সাথে ছাদে উঠে হাঁটাহাঁটি করার সময় তার চতুর চোখ ঠিকই চিনে নিলো প্রেমপিয়াসী রোমিও ববিকে।
- দেখেছিস জেনি, ঐ লোকটা কিভাবে তোর দিকে তাকিয়ে আছে! এতো পুরোই গন কেস! বজ্রপাত, একদম জায়গামত লেগেছে!
- কই! আমার তো সেরকম কিছু মনে হচ্ছে না। তুই না, সবসময় খালি বেশি বেশি বলিস।
- আমার চোখ ভুল করতে পারে না। নেভার! ঐ দেখ দেখ আমাকে তোর সাথে দেখে চান্দু অন্যদিকে উদাস হয়ে বাইরের দৃশ্য দেখার ভান করছে! হাহাহা! এসবই আমার চেনা বাছাধন! কম তো এক্সপেরিয়েন্স হলো না!
রাগে গা জ্বলছে ববির। এই সবজান্তা চেহারার আঁতেল মেয়েটা আবার কোথা থেকে এসে জুটলো! এহ! দুজনের কী হাসি! নির্ঘাৎ তার সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলে জেনির কান ভারি করছে, নয়তো তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। ববির ইচ্ছে করছে মেয়েটির চুলের মুঠি ধরে ঠাস ঠাস করে চড় মারতে।
ববির ভাবনাটা অমূলক না। ওদিকে আসলেই বেশ মজমা বসেছে হাসিঠাট্টার।
- ঐ দেখ, তোর রোমিও অভিমান করেছে। অভিমান করে চলে যাচ্ছে।
- চুপ করবি তুই রুবি? কী সব ছাইপাশ বলা শুরু করেছিস সেই কখন থেকে।
- এই এই! রাগ করিস না। বেচারা আসলেই অপমানবোধ করেছে। আমাদের এত আমোদ করার কোনো দরকার ছিলো না।
- তোর জন্যেই তো!
বলেই জেনি বুঝতে পারলো কী ভুলটা সে করেছে। কিন্তু ততক্ষণে বল বিপক্ষ দলের কোর্টে! এই সুযোগ সে ছাড়বে কেনো!
- হাহাহা! এইবার আর না হেসে পারলাম না রে জেনি! তোরও ঐ ছেলেটার প্রতি একটু হলেও ফিলিংস আছে। নাহলে এভাবে রিএ্যাক্ট করতি না।
জেনি গাল ফুলিয়ে বসে থাকে। রুবি তো মিথ্যে কিছু বলে নি!
(৪)
কিছুদিনের মধ্যেই ববি আর জেনির ভেতরে একটা ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, এবং অবশ্যই সেটা সাধারণ বন্ধুত্বের মতো ছিলো না, আবার তাদের মধ্যে প্রেমও ছিলো না। হৃদয়ের সুপ্ত আগ্নেয়গিড়ি লাভা উগলে দিতে চাইছিলো। শুধু একটা ডিনামাইটের বিস্ফোরণ দরকার ছিলো। তাতেই তাদের ছায়াঘটিত হৃদয়াঞ্চল ভরে উঠতো টগবগে লাভায়। কিন্তু দুজনেরই অতি রক্ষণশীল মনোভাবের কারণে তারা কখনও একসাথে রিকশায় চড়ে নি বা কোথাও কখনও একসাথে ঘুরতে যায় নি। তারা একে অপরের সাথে কখনও ফোনেও কথা বলে নি। তাদের দুজনেরই মনের ভেতর একটা অস্বস্তি কাজ করতো, "সে কি আমায় সত্যিই ভালোবাসে?"। দুজনেই প্রত্যাখানের ভয় পেতো। তাদের এই ভীরু মনোভাবের কারণে সম্পর্কটা কাদায় আটকে পড়া চাকার মতই স্থবির ছিলো। এগুচ্ছিলো না মোটেও। তাই জেনি ববিকে আপনি করেই ডাকতো, আর ববি জেনিকে তুমি।
দুজনেই বসে ছিলো হাত ধরবে বলে। কেউ মুখ ফুটে কিছু বলে নি। ভগবান তাই নেমে আসে নি।
(০)
দরোজাটা খুলে দিলো ববি। জেনি এসেছে। সাথে একটা বাটিতে করে কী যেন।
- স্লামালিকুম ববি ভাই। কেমন আছেন?
- এই তো আছি কোনোরকম।
- তোমার হাতে ওটা কী?
- গরুর মাংসের ভুনা। আমি রান্না করেছি। জীবনে এই প্রথমবারের মতো। ভাবলাম আপনাদেরকে একটু চাখতে দেই।
- বেশ ভালো। তুমি ভিতরে আসো।
এই কথায় জেনি বেশ একচিলতে হেসে ঘরে প্রবেশ করলো। সোফায় বসে নিউজপেপারটা উঠিয়ে পড়ার ভান করলো। আসলে তার ভাবনা অন্যদিকে। কেমন যেন অস্বস্তি বোধ করছে সে।
- খালাম্মা, মুন্নী, শম্পা এরা কেউ নেই?
- নাহ। ওরা সবাই দেশের বাড়িতে গেছে ঈদ করবে বলে।
- ও, মা! তো আপনি রয়ে গেলেন কেনো?
- একজনকে তো থাকাই লাগে। এত বড় একটা বাড়ি, মেইনটেন করতে নানান ঝামেলা। আমার কোনো অসুবিধা নাই। বন্ধুবান্ধব আসে। আড্ডা দেই। বিড়ি ফুঁকি।
জেনির মাঝ থেকে অস্বস্তি বোধটা কেটে গেছে এতক্ষণে। চটুল কণ্ঠে প্রগলভ হয়ে সে সুধোয়,
- বিড়ি খান খুব, তাই না?
- খাই আর কী টুকটাক।
- হু, টুকটাক! আপনি অনেক বেশি খান। আপনার ঠোঁট কেমন কালো হয়ে গেছে। সিগারেটটা কি ছাড়া যায় না?
অনুনয় ঝরে পড়ে তার কণ্ঠে। ববি একটু হাসে। সব মেয়েরাই কি এরকম? ওদের ডোমিনেশনের সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক এই সিগারেট নিয়ে দিকদারি। ববির গলা কেমন যেন শুকিয়ে আসছে। ফ্রিজে রাখা এক লিাটারের ঠাণ্ডা পানির বোতলটার অভাব সে অনুভব করে খুব। সে কেমন যেন অস্বস্তি অনুভব করে। অস্বস্তি ব্যাপারটা ক্ষেত্রবিশেষে সংক্রামক হতে পারে। কিছুক্ষণ ওরা চুপ করে থাকে, দুজনেই কিছু বলার খুঁজে পায় না। জেনিকেও অস্বস্তি পেয়ে বসে।
- আচ্ছা আমি যাই ববি ভাই।
- চলে যাবা? এত সাত তাড়াতাড়ি?
ববির চোখের ভেতর একদল কামুক হায়েনাকে দেখতে পায় জেনি। যারা হাহা করে হাসছে। নাহ, এখানে বেশিক্ষণ থাকা ঠিক হয় নি। ভুল হয়েছে। খুব বড় ভুল। তার আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করতে ববি এগিয়ে আসে। দুই হাত দিয়ে জেনির কাঁধা চেপে ধরে ঠোঁটে চুম্বন করে। ওড়নাটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে তার কামিজের বোতাম খুলতে থাকে। আহা! স্বর্গের অপ্সরাদেরও বুঝি এত রূপ নেই। নিজের ভেতর এক ভয়াবহ উত্থান টের পায়। ওদিকে আতঙ্কগ্রস্ত জেনি কায়মনোবাক্যে নিজের সম্মান বাঁচানোর জন্যে আকুতি করে। ববি ওসব শুনলে তো! জেনিকে সোফার ওপর শুইয়ে তার সালোয়ারের ফিতা খুলতে গিয়ে তার নিজেকে খুব জবরদস্ত পুরুষ মনে হয়। কিন্তু যখনই সে প্রবিষ্ট হতে যাবে, ঠিক তখনই সে টের পায় তার শরীর হালকা হয়ে আসছে। উদ্যত চামড়াপিস্তলের গুলিগুলো সব বেরিয়ে গেছে। বিষদাঁত তুলে নেয়া ফণা তুলতে অক্ষম গোখরা সাপের মতো তার শিশ্ন নেতিয়ে পড়েছে। হারিয়ে ফেলেছে তার ভেদনক্ষমতা।
ওদিকে জেনি, প্রচণ্ড আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে চিৎকার করছিলো। তার গহবরে প্রবিষ্ট হতে যাওয়া শিশ্নটি যেন হাজার হাতি ঘোড়া নিয়ে ছুটে আসছে তার ভেতরে চুরমার, রক্তপাত আর অগ্নি উৎসব করতে। প্রতিটি পুরুষের ভেতরেই একটি ধর্ষক বাস করে। কখনও তাকে দেখা যায়, কখনও যায় না। পুরুষেরা প্রভু। তাদের রয়েছে ভয়ানক মারণাস্ত্র চামড়াপিস্তল। নারী যখন পরাজিত, ব্যথিত, নগ্ন হয়ে প্রভুর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে,তখন রক্ত বীর্জ ঘাম শিৎকারের সাথে মিশে গিয়ে একটি আদর্শ যৌনমণ্ডল তৈরি করে, যেখানে নারী মাত্রই সেবাদাসী, আর পুরুষেরা মহান অধিপতি অথবা ঈশ্বর, অথবা তার চেয়েও বেশি কিছু। জেনি যখন দেখলো যে তার পক্ষে আর লড়াই করা সম্ভব না, তখন সে নিজের শরীরকে সমর্পণ করলো ববির কাছে। সে চোখ বন্ধ করে অপেক্ষা করছে কখন ঘটবে সেই পেনিট্রেশন। সে অপেক্ষা করেই থাকে। কই, কিছু ঘটছে না কেনো? সে সাহস করে বন্ধ চোখ আলতো করে আলগা করে ববির দিকে চায়। সে দেখতে পায় অল্প একটু দূরে সোফায় বসে ববি তার নেতিয়ে পড়া শিশ্নকে দলিত মথিত করে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। জেনি তা দেখে কিছুটা হতচকিত হয়ে যায়। সে বুঝতে পারে না এখান থেকে কি চলে যাওয়া উচিত, নাকি এভাবেই দুপা ফাঁক করে রাখবে? মনের অতল গহীন থেকে কে যান বলে, যাস নে, যাস নে, যাস নে। কখন যেন আবার শব্দগুলি পরিবর্তিত হয়ে বলে আয় আয় আয়...। কখনও কোন আদ্যিকালের বদ্যিবুড়ো যেন এসব দেখে হাহা করে হাসে। অল্প কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর সে সিদ্ধান্ত নেয় চলে যাবার। কাপড় চোপড় ঠিকঠাক করে যাবার সময় সে একটা অদ্ভুত কাজ করে বসে। ববিকে বিদায় জানায়, "যাই ববি ভাই"। ওদিকে ববির মুঠোচাপা শিশ্নটি ততক্ষণে অর্ধউত্থিত হয়ে গেছে। সে বোকার মতো ফ্যালফ্যাল করে জেনির দিকে তাকিয়ে থেকে বলে, "ধন্যবাদ, আবার আসবেন"।
পাঠকের মতামত:
- ‘প্রান্তিক মানুষকে মূলধারায় নিয়ে আসতে কাজ করছি’
- তিউনিসিয়া থেকে নিজ গ্রামে এসেছে রাজৈরের ৫ যুবকের মরদেহ
- নির্বাচিত হলে সততার সাথে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন মাসুদা বেগম
- ফরিদপুরে কবি মিনতি দত্ত মিশ্রকে সংবর্ধনা
- চেয়ারম্যান প্রার্থী ওদুদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ
- চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে সাতক্ষীরার এক নারীকে সৌদি আরবে বিক্রির অভিযোগ
- কাপাসিয়ায় ইউসিবি ব্যাংকের উদ্যোগে কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ
- মহম্মদপুরে বিভিন্ন মামলার ৬ আসামী আটক
- এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি
- দিনাজপুর পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২
- ‘মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চা পরিবেশগত সঙ্কট মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে’
- ব্যাকআপ না থাকায় ভোটে দাঁড়াবেন না হিরো আলম
- শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
- বরিশালে বাস চাপায় হেলপার নিহত
- সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
- আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু ভাট্টির দল থেকে পদত্যাগ
- এবার বলিউডের গানে আসিফ
- ‘সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে ওরাল ক্যানসার অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব’
- নগরকান্দায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই চারটি দোকান
- ফরিদপুরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত
- উত্তরায় নিবন্ধিত রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ
- ধামরাইয়ে ২য় ধাপের উপজেলা নির্বাচন ২১ মে
- কাপাসিয়ায় নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু
- পাংশায় বাস ও ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৮
- নোয়াখালীতে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা
- বশেমুরবিপ্রবি’তে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
- গোপালগঞ্জে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বাসমতি চাল উৎপাদিত
- যশোর-নড়াইল মহাসড়কে পিচ গলে যাওয়ার ঘটনা তদন্তে দুদক
- নিখোঁজের একদিন পর নদী থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
- ‘জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন’
- ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম লক্ষ্য সিরিজ জয়’
- ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
- শুধু অভিযোগ নয়, করুন প্রশংসাও
- আজ বিশ্ব মুক্ত-গণমাধ্যম দিবস
- চট্টগ্রাম থেকে হজ ফ্লাইট শুরু ১৪ মে
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত
- ১০ টাকার টিকিটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
- ‘বিক্ষোভের অধিকার সবার আছে, বিশৃঙ্খলার নয়’
- ‘প্রধানমন্ত্রীর উদারতার জন্যই বেগম জিয়ার শাস্তি স্থগিত রয়েছে’
- এসএসসি পরীক্ষার ফল ১২ মে
- 'পূর্ব বাংলায় অতি সাংঘাতিক মাত্রায় ত্রাস, বর্বরতা ও গণহত্যা চলেছে'
- কাপ্তাইয়ে ঝড়ে চলন্ত গাড়ির ওপর ভেঙে পড়ল গাছ, আহত ২
- মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় কামাল হোসেন ফের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- পটুয়াখালীতে সাংবাদিক-রাজনীতিক আব্দুর রশিদের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম
- ‘দেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা আছে’
- ‘তাপপ্রবাহে শ্রমজীবীদের বাঁচাতে সরকার কিছুই করছে না’
- ‘শাকিবের পরিবার বিরক্ত হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে’
- কাপাসিয়ায় স্কাউটসের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- সাভারে পৃথক অভিযানে ৫ আসামি গ্রেফতার
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !