E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেখর বরণের কবিতা

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ১৬ ১২:০৪:০৬
শেখর বরণের কবিতা





 

শেখর বরণের কবিতা


১.
মেঘ বলেছে যাবো যাবো

মেঘ বলেছে যাবো যাবো
ইচ্ছে হলো আমিও তাঁর সংগে যাবো
নীল আকাশে সাদা মেঘের সংগী হবো
অনেক দূরে আকাশ পারে হারিয়ে যাবো
মেঘ বলেছে যাবো যাবো ।
মেঘের সাথে যাবো বলে স্বপ্ন নিয়ে দিন গুনেছি
রঙীন সূতায় তোমায় নিয়ে যতœ করে জাল বুনেছি
হার মানা হার তোমার জন্য সেই যে কবে ধার করেছি
বৈরী বাতাস সংগে নিয়ে সুখের হাওয়া খুঁজতে যাবো
দু:খগুলো কুড়িয়ে নিয়ে সুখগুলো সব রেখে যাবো
অনেক দূরে আকাশ পারে হারিয়ে যাবো
মেঘ বলেছে যাবো যাবো ।
একলা তুমি একলা ঘরে আমার জন্য দিন কাঁটাবে
সুুখের জন্য দুঃখ নিয়ে আমার জন্য রাত কাঁটাবে
বসন্ত দিন আসবে যাবে সব কিছু হায় শুন্য রবে
তোমার কাছে সব হারিয়ে তোমার কাছে জীবন নেবো
হাসবে তুমি ভাসবে তুমি মেঘের ভেলায় রাত কাটাবো
অনেক দূরে আকাশ পারে হারিয়ে যাবো
মেঘ বলেছে যাবো যাবো ।
নীল আকাশে সাদা মেঘের সংগী হবো
অনেক দূরে আকাশ পারে হারিয়ে যাবো
মেঘ বলেছে যাবো যাবো ।
মেঘের সাথে যাবো বলে স্বপ্ন নিয়ে দিন গুনেছি
রঙীন সূতায় তোমায় নিয়ে যত্ন করে জাল বুনেছি
হার মানা হার তোমার জন্য সেই যে কবে ধার করেছি
বৈরী বাতাস সংগে নিয়ে সুখের হাওয়া খুঁজতে যাবো
দু:খগুলো কুড়িয়ে নিয়ে সুখগুলো সব রেখে যাবো
অনেক দূরে আকাশ পারে হারিয়ে যাবো
মেঘ বলেছে যাবো যাবো ।
একলা তুমি একলা ঘরে আমার জন্য দিন কাঁটাবে
সুুখের জন্য দুঃখ নিয়ে আমার জন্য রাত কাঁটাবে
বসন্ত দিন আসবে যাবে সব কিছু হায় শুন্য রবে
তোমার কাছে সব হারিয়ে তোমার কাছে জীবন নেবো
হাসবে তুমি ভাসবে তুমি মেঘের ভেলায় রাত কাটাবো
অনেক দূরে আকাশ পারে হারিয়ে যাবো
মেঘ বলেছে যাবো যাবো ।
২.
ফুল চাই ভুল করে

কিছু ফুলের অনেক কাছে যেতে হয়
কিছু ফুলর দূর থেকে গন্ধ নিতে হয়।
অামি অন্ধ গন্ধ নিতে ভুল করে ফেলি
তাই বন্ধ দরজা অার খোলে না
অযুত নিযুত বছর ধরে পথ খুঁজে ফিরি।
অামাকে হিরন্ময় আলো দেখিয়েছিলো কেউ
অন্ধকারের ভিতর সরল রেখায় চলে সে আলো।
একজন নদীর ঘাটে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলো
সেখানে পারাপার করে পুরানো দিনের মনমাঝি
ঘরে আর পারেতে যার নেই কোনো লেনাদেনা।
বাগানে একদল প্রজাপতি ঝলক তুলে বললো
ওদিকটায় যেওনা ওখানে গোলাপ রয়েছে
ওর গায়ে কাঁটাঁ বিধেঁ যাবে হদয়
আমি গোলাপের দিকে তাকিয়ে বিস্মিত হলাম।
কিছু ফুলের অনেক কাছে যেতে হয়
কিছু ফুলর দূর থেকে গন্ধ নিতে হয়।

৩.
রুদ্র

কিংবদন্তি হয়ে আছো তুমি অন্তরে
ভোরের শেফালী অঝোরে ঝরে যায়
ভরে ওঠে আগাছায় কালিন্দীর দিঘি
নীলাম্বর শেষ পেয়ালা তুলে নেয় নীলকন্ঠে
চলে যাও তুমি অমৃতের পুত্র অমর্ত্য ।
অপুষ্ট প্রেম হৃদয় করেছে কাঁটাছেঁড়া
ঐহ্যিক পাশাখেলায় কখন যে জিতে গ্যাছো
কখন যে চলে গ্যাছো সীমানার ওপারে
বাসমতি চালগুলি খেয়ে গ্যালো কবুতর
তবুও সিদ্ধ তুমি অন্তরে অন্তর বুনে যাও
অন্তর বুনে যাও জোয়ান মন্তরে
রুদ্রাক্ষের মালা পরে বজ্রে তোলো বাঁশি
শব্দে শব্দে বাঁশি বাজে সম্ভাবনার শীষে
মৃত্তিকার আমৃত্যু বুভুক্ষ বুকে
ঘুমাও তুমি শ্যামল রাজকুমার।
শোনো। শোনো বিবেক বয়ান
শোনো বিশ্বের নন্দিত নবীশ
এখানে শুয়ে আছে এক প্রেমিক শ্রমিক
যে ফলাবে শস্যদানা কবিতার বীজে
যে শোনাবে পংত্তিমালা‍
এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন
আমাকে কাতর করে আমাকে তাড়ায়।
৪.
শাহজাদীর কালো নেকাব

চকচকে কালো অ›ধকারে জ¦লজ¦েল দু’টি তাঁরা
চাঁদমুখ তাঁর ঢেকে দিয়েছিলো শাহজাদীর নেকাব
আলো আধাঁরে ডুবেছিলো শ্রাবণ রাতের পূর্নিমা
অঝোর ধারার বৃষ্টিও সফেদ করেনি সেই মুখ
হতাশ হদয়ে প্রতিদিন যখন ফিরে এসেছি ঘরে
ঘরের দাওয়ায় উদাস হাওয়ায় দেখেছি সেই মুখ
সেই ঘোরেতে গুমরে কেঁদেছে দু:খ দিনের ভোর
কি জানি কখন কে যেন এসে কাঁদালো আমার প্রাণ
চাইনি আমি এমন বাঁধন সাজানো ফুলের বাগান
যেখানে বন্দী ফুলের সুবাস যেখানে হতাশ প্রেম
সেখানে এসে আহাজারী করে ভালোবাসার ঝণ
কে এসে হায় পরালো তাঁকে আঁধারে জরানো বাঁধ
সেই আলোতে ঢাকা পড়ে গেলো সোনার বরণ চাঁদ
চারিদিকে হায় এতো কালো এতটুকু নেই আলো
শাহজাদী শুধু বলে যায় সেই ভালো সেই ভালো

পাঠকের মতামত:

০১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test