E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বদরুল হায়দার এর গুচ্ছ কবিতা

২০১৬ আগস্ট ০৯ ১৩:২৯:৫৪
বদরুল হায়দার এর গুচ্ছ কবিতা







 



বৃষ্টিস্নাত হৃদয়ের কান্না- ১

বৃষ্টিস্নাত হৃদয়ের কান্না কখনো থামে না। যেন
প্রবাহিত এক বুক ডুবে থাকা উত্তাল যমুনা।
জল ও অতলে রেখাপাত করে অদেখা সম্পাত। তুমি
বোধের পাল্লায় ঝাপদিয়ে মাঝি মাল্লায় নিজেকে মগ্ন রাখো।
অন্তর বিরোধে বালা খানায় আশ্রয় খোঁজো প্রেমে।
চলমান যৌবনে আমি বাঘে হরিণে কাটাই দিন রাত।
বরখাস্ত ও বহাল চলে কর্মফলে।রোষানলে
আশার আগাম ছলেবলে পার্লার ক্লিনের মন ভুলে থাকে টেনশন।
হৃদয়ে আটকে থাকে আত্মভোলা নাটকের দৃশ্যপট।
উদ্ব্যত বাসনা যাচ্ছে-উদাসিনতা ও নিন্দার পেটে।মনে
ছলনার টানে শুরু হয় প্রহসন।
ম্লান হতে থাকে সভ্যতা,ইতিহাস ভূগোল ও পরিনীতি।
বৃষ্টি প্রকৃতির সৃষ্টি হয়ে মিষ্টি অভিমানে ঝরে পড়ে।
প্রতিটি কান্নায় দিনরাত আলো আঁধারের সাথে তুমি থাকো।

হৃদয়ের ভাগ ও বিভাগ -২

প্রিয় মুখগুলি অদৃশ্য জোসনা খেয়ে
নিজস্ব ঘরনা থেকে কালো মেঘে হতাশা অবাক।
অভিমান ভেঙ্গে গেলে প্রেজেন্টেশনের গুনাগুনে
শুনশান টোকা মেরে বোকামাছে বন্দিমন
ভিন্ন অপারেটে পোষে আন লিমিটেড রাগ।
ব্যর্থ তপস্যায় নতমুখে পৃথিবী হারায় সংহতি।
ব্রাত্য নীতির প্রীতিতে ঝরে শতভুলে বসন্ত রজনী।
উদ্বাস্ত প্রেমের ভীতি যোগ করে হতবাক।তুমি
বিদ্যাহ্রাসে হৃদয়ের যোগ বিয়োগের দোষে
আবেগের বিলিবন্টনের শেষে হারানো উদাসী।
আশার বাণীতে না কি হাটুপানি। আবহাওয়ার সেঞ্চুরীতে নাচে
স্বপ্নরাণী।লক্ষ্যমাত্রা আমদানি করে আমি ভুলে যাই মহাজনী।
হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি পা বাড়ায় প্রত্যাদেশে।দূরাবাসে
ভালোবাসার প্রকাশ্য অন্তমিলে দু”দীল আনন্দে টানো চিরদাসে।
হৃদয়ের ভাগ ও বিভাগ শুধু কাগজেই লেখা থাকে।

শহরের কান্না- ৩

প্রপাকাণ্ডা ছাড়া আমাদের শহর এখন অচল।
চক্রান্ত ও বিপদজনক নেটওয়ার্কে দুখের
ফিলিংয়ে চলে সর্বত্র হোমসার্কাস।
স্বপ্নের যাপিত সংকটে চলে প্রেমের নিধন।
জীবনের রক্ষাবাদে আতঙ্কের নীরব দহন
কৌশল ও আত্মসাতে যুক্ত করে প্রযুক্তির অভিমান।
সর্ণিবন্ধ সতর্কীকরণ হারমানে দরদামে।চালাকির
অপমানে চলে সম্পর্কের উঠানামা।
সাবধানতার সতর্ক আকাশে হাওয়ার প্রলোভন
তোমাকে উড়ার মনে ভাসায় দ্বিগুণ।
দৃষ্টিতে ডুবতে থাকে আনন্দের ডাউন পেমেন্ট।
প্যাকেজ বোনাসে নিশ্চিন্ত বছর মুখ খোলে।
সিমেন্ট বালির ব্যান্ড আইটেমে দালিলিক
সামর্থের শব্দ কোলাহলে বেদনার টাওয়ারে
দূষণ ও দূর্বিসহ নামে অন্তপুর।

দৃষ্টির আকাশে তুমি- ৪

কালো সানগ্লাসে আলোরা আটকে থাকে জালে।
মনের ফুটেজে আতন্কের হাতছানী।বিন্দু বিষর্গের মালা পরে
অবাধ্য অরন্যে ভালোবাসারা হারায় অভিযোগের শুনানী।
স্বপ্নের শাসনে দৌড়ঝাপ শুরু হয় মনে।মিথ্যা অজুহাতে তুমি
ডুবমারো নিজের ভেতর।বায়োমেট্রিকের হৃদছাপ শব্দের মাতালে
তালি বাজিয়ে সতর্ক করে লোক চক্ষুর আড়ালে।
প্রেমের উদ্যোগতা হাটে বিকল্প রুটের কাড়াকাড়ি।
ফাঁস হয়ে যাচ্ছে সতস্ফুর্ততার কিংবদন্তি।বেদনায় হেকারের আনাগোনা
নীরব আপত্তি।বৈষাবী আনন্দে ঝরে আবেগের কান্নার পাহাড়।
বাধার আঁধার কেটে গেলে পোড়ামন আত্মীয়তা মেখে সোনালী মাঠের ধানে
ফলায় বসন্ত।শুধু শান্তমন অশান্তির পরোয়ানা জারী করে হয়েছে অশান্ত।
দৃষ্টির আকাশে তুমি শিলাবৃষ্টির আদরে নামো অভিমানে।ব্যর্থতার ফ্লাটপর্মে
আমি মেঘাওয়াটের ঘাটতিতে জ্বলি অনাসৃষ্টির আগুনে।

ভালোবাসার ডাক নাম- ৫

ভালোবাসার অর্থ খোঁজো না। সে জানে না
আশা নিরাশার টকজাল।কতটা মুখরোচক হলে
ক্ষুধা বেড়ে হয় গ্যাসস্টিক।
অল্পবিদ্যা ভয়ন্কর জেনে নিজের অজান্তে
রেজিষ্টেশন করেছি হৃদয়ের সিম।প্রেমে
মুলা তোলা বন্ধ করো।ভবিষ্যতের তালাখুলে
ভুলে থাকো অপেক্ষার রাত দিন।
আমি আনন্দের ঋণ ভুলে বেদনার মিসকলে
সাধনা লুকাই।টেকসই মনের খেয়ালে টানি
প্রথা বিরুদ্ধ সমতাসিন।
ভাষাকে আশায় পরিনত করে শর্ত সামর্থের
আয়ু বাড়ে।ভালোবাসার অর্থহীন অপমানে
জন্ম নেয় কল্পনার পাষান অভিভাষন।
ভালোবাসার ডাক নাম বদনাম। তুমি প্রেম কাম
আমি ভালোলাগা অভিমান।

বেদনার ট্রানজিট -৬

ভাবনার জানালায় বসে বৃষ্টি আকাশে ভাসছি।
মনের দোতালা দরশনে ঘাসের ডগায় দুলে উঠি
অকারণে। তুমি মন মেলাও প্রেমের প্রহসনে।
দ্বিধা বিভক্তির ভক্তিগানে মুক্তির আহ্বানে টানে
প্রবহমান দুঃখ। জানার অধিক বাজনার ঘুম
কেড়ে নেয় স্বপ্নের পাষানে।
ভাদ্রের অঘোর বৃষ্টিমালার উদাসে থাকে
তোমার হৃদয় সিলগালা। লাগাতার ইশারায়
তুমি ভাসো ডুবো প্যারাসুট মনে।
মূল্য বিফলের আয়োজনে চলে প্রেমের সেলফি।
ঝটিকা আবেগে ঢেউ তোলে জরুরী মনের অলিগলি।
আমি দলাদলি ভুলে ভালোবাসি শান্তি -সম্প্রীতির প্রাণধনে।
প্রি-পেইড মনের ইন্ট্রারনেটে চলে সংকটের হিড়িক।
অপারের জালে তুমি মনের মাতালে টোপ গিলো মিসকলে।
বেদনার ট্রানজিটে সহস্র বিরতি নামে মনের বাহনে।
বন্ধুত্বের পারমিটে চলে ভাটা।তুমি নট- আউটের উইকেটে
ফরম্যাটের আউটপুটে ভুলে যাও অভিমানে।

শেষ কবে দেখা হয়েছিল মনে নেই -৭

শেষ কবে দেখা হয়েছিল মনে নেই। পরিবেশ পাল্টাচ্ছে মনে ও বনে।
শন্কার পালানো অভিমানে তুমি হারিয়েছো বহুজনে। আমি ব্যর্থতার
পরিহাসে পাঠ করি উপহাসের সীমিত সম্ভাবনা।
প্রতিদিন ছাটাই চলছে প্রেমের অসম আয়োজনে।মন পরিবহনের
ভাড়া বাড়ে দ্বিগুণ পাষানে। অজানার ডুব সাঁতারে বিরহী টানে
শুরু হয় বিচিত্র রোদন প্রযোজনা।
শক্তের ভক্তের কাছে জমা রাখি মনের ডায়েরী। বাহাদুরীর আদরে
আদি কারিগরি চলে লে-অপ প্রেমিকে। প্রযুক্তির জ্যামে পাষানের
কানে বেজে ওঠে স্মৃতিধ্ধনি।সন্মতির আগাম বাহানা মায়াফুলে
লুকায় কুয়াশা।
জীবনের সব রাগ ভাগ করে রেখেছি হৃদয়ে।হতবাক যায়দিন
ছায়ালোকে।সুখের প্রতিযোগিতায় চলে সুযোগের আরাধনা।
আমি বেদনার ইনডোরে পড়সীর অনাদরে ঢেকে রাখি মনের ঠিকানা।
শুরুটা শেষের দিকে হেটে চলে।বারোটা বাজার ঘাটে ছলেবলে
নাটের গুরুতে পিপাসা লুকাই। তুমি আলাদা কবুলে চোরাবালি ঠেলে
খোঁজো অবুঝ অচেনা।
বাই বাই টা টা ভাটার আঘাটা চলে প্রেমের বাতিলে।পোষ্য ভাবনায়
তোমার ঠিকানায় কানার হাতের বায়নায় যোগ হয় প্রেম ওবেদনা।

রাঙা প্রভাত- ৮

রাঙা প্রভাতের কাছে সমস্ত বেদনা অনুভব
শঙ্খচিলের ডানায় উড়ে যায় রাতে।
স্তব্দতা বিনিদ্র ঘুমে অমাবশ্যার গুণাগুনে
মনের বাহনে আনে আনন্দ ভুবন।
ভাঙ্গানদীর উজানে মা ও মাটির গানে
চির আবেগের টানে আনন্দেরা জেগেছে আঘাতে।
উদ্বিত্ত আকাঙ্খা উল্লাসের বাজিমাতে
কাভার্ট মনের কারসাজিতে তোমার
মোহ মুক্তির অতলে জীবনের উপমা ছড়ায়।
নিত্যদিন বিত্তমনের হাসিতে কুয়াশা লুকায়।

হৃদয় প্রহরী-৯

নিদ্রারত থেকে অপলক তোমার আঁতাত
আমাকে পৃথক সত্তায় করেছে তৈরী ।
শত সহস্র আঘাত আর অপবাদ অসংখ্য
স্মৃতির উননে ঢেলে দেয় হৃদয় প্রহরী ।
ফেলে আসা দিন ভালোবাসা মেখে
রেখে দেয় ভাষা হীন ণীতির কাহিনী।
আমি সুধাপানে জুদা দীলে মেখে দিই
তোমার বিরক্তি গ্লানী।
চির প্রভাত এসেছে ভীতির নগরে।
তবুও পরের নীতি ভালোবেসে তুমি
মন পাল্টাও হৃদয় বেঘোরে।

শীতের অতিথি -১০

গোল টেবিলের আড্ডায় ভূগোল ভুলে
পরিনীতি পাঠ শেষে দুপুর গড়ায় শীতের শরীরে।
সঙ্গীত মনষ্কতার বিপরীত ভাষায় তোমার
ঈঙ্গিত মনের কুয়াশায় ভাষান্তর করে শাপেবরে।
পাতা ঝরা স্বভাবের ঝরে পড়া মনের আবেগে
বাড়তি সৌজন্য বোধে রঙকরা বেদনার
ফুল ঝরে অকাতরে।
ঘিত কুমারীর অম্লরসে প্রাণের আবেশে
তোমার মনের স্বপ্নছোঁয়া আধাঁরের
তিক্তচাষে ঘুণেধরে প্রেমের পরশে।
সাফকথা বলে দাও হৃদয়ের সভাঘরে।
অপারগতার আদরে আমি স্বপ্নের সাগরে
খুঁজি আনন্দের প্রীতি।তুমি মিলন সন্ধির
শর্তমূলে টেনে আনো শীতের অতিথি।

শরৎ শ্রীমতি -১১

শরৎ এসেছে স্বপ্ন বিষন্নতার আড়ালে।মনের কৌশলে
তোমার অস্তিত্বে ফোটে রাতপদ্ম। প্রযুক্তির আড়ালে সংগোপনে
তুমি সমৃদ্ধ করেছো সীমাবদ্ধতার অবাধ্যতা।
নির্ভেজাল আড়িপাতা প্রলোভন মন মাতানো ছন্দের কাশবনে
হেলে দুলে ভুলের মাসুলে নিজেকে হারাই।
দুঃখের ওজন শনাক্ত করতে গিয়ে ব্যবহারিক জীবনে
এনেছি নিরপেক্ষতা।সত্তা আর কর্তা মিলে হৃদয় আগুনে
জলে খুঁজি চরম আপেক্ষিকতা।
একাকিত্ব বোবাস্বরে বেদনার ঘরে বাজেয়াপ্ত করে
দ্বিধার তুলনা। তুমি শংকামুক্তির বিফলে প্রেমের কপালে
লিখো আমাকে ভুলনা।
বেলাশেষের গানের কলি গেয়ে ওঠে গৌধুলির পাখি।
রাখী বন্ধনের তত্ত্বমিল তোমার অজান্তে করে
বিরল দৈস্যুতা।আমি সামাজিক জাতাকলে
বাকি সত্যতার কাছে রাখি মনষ্কতা।
নৈঃশব্দের দুঃখ অবসাদে সন্ধ্যা ও প্রভাত ধরা দেয় মনে।
শর্তমেনে ব্লাকমেইলের ঘাটতি পূরণে তুমি আবেগের
ভাগ বসাও মনের দোকানে।
শরৎ শ্রীমতি তোমার অবগতির কাছে আমি হারমানি।

ময়না- ১২

ময়না আমার গ্রাম হয়ে ওঠে তার সাথে দেখা হওয়ার পর।
নাম শুনে মনে হয়েছিলো প্রাণ পাখিটির ডাক নাম। ঝাকঝাক
জোনাকির আলো এসে আমাকে স্বজন করে নেয়।
চাঁদের কোপালে টিপ দিয়ে ছায়া সুবিমল ঢেউলাগা তালে
যার আলাদা স্বভাব।
দিনের সবুজ পাঠে হৃদপিণ্ডে খোলা মাঠের বাতাসে
প্রেমের পরশে আনে দ্বিগুণ প্রভাব।
ময়নাকে অনেক বায়না দিয়ে নিজের ভেতর আয়নায়
বহুবার ভালোবাসতে চেয়েছি । শত উৎকন্ঠায় সৌন্দর্যের
বাহারি শয্যায় সে ময়না বিছিয়ে রেখেছে হাজারো কল্পনা।
ময়নাকে মনে পড়ে বারবার। হারাবার ভয় নেই জেনে
টেনে চলি প্রতিদিন বেদনার কারাগার।
ময়না জানে না জীবনের সারকথা। অপারগতার বেদনা আনন্দে
ধরে রাখে মায়াময় অসংখ্য পারাপার।

স্মৃতির আড়ালে -১৩

স্মৃতির আড়ালে মুখ লুকিয়ে প্রীতির ঘরে জেগেছে সকাল।
ফলত গাছের চোখ ঝুল বারান্দার তারে চক্ষুশুল মসগুলে
শত সাধনায় তৈরী করে মহাকাল।
সোনার বরণ পাখি প্রানের উদাহরন শেষে
বারণ ও কারণের দোষে অবকাশে হারায় যৌবন।
বেলাশেষে বিচ্ছিন্নতার মনোবিকাশে চোখের আগাম
দূরাভাষে তুমি হতাশা পোষন করো বিনাচাষে।
মেয়াদপূর্তির চুক্তিসহ বিনিয়োগ প্রযুক্তির
অচল তুলনা চলে লাইফ-ষ্টাইলে।তোমার ছলনা
আঁড়ি পেতে বসে থাকে মনে।
নীলনকশার ব্যর্থতায় শঙ্কামুক্ত থেকেছি গোপনে।
তুমি যৌথ অভিমানে মনের ট্রাইব্যুনালে জারী করো
খেলাপী প্রেমের বানী।
প্রবণতা বাড়ছে প্রেম ও দাসত্বের । চলছে পরীক্ষা ছাড়া
ফিটনেস।অকাতরে ঘরে ঘরে চলে বাঁক বদলের প্রাইভেট।
কর্তৃত্ব তোমার ছলনায় বাসা বাঁধে প্রাণে। তুমি প্রেমের ডিজিটে
ফ্রি-ইন্টারনেটে টেনে আনো গ্লানী। আমি স্মৃতির আগুনে পুড়ে
হই বেদনা সন্ধানী ।

দুঃখের বিশ্বজয়- ১৪

আমার দুঃখগুলি সুক্ষ্মমাত্রায় অপার বিশ্বায়ন।
হৃদয়ানন্দ আগুনে পোড়ে,। সিডরের আনাগোনা
হানা দেয় অজানায়। গভীর মমতা মেখে জড়ো হয় বেড়াজালে।
বেদনারা সংঘাতের সাধনা শেষে আদিরসে
মনের বিরাগ বশে আত্মীয়তা গড়ে সেবাদাসে।
অপ্রেমের আধিখ্যেতা ব্যাখ্যাতীত সাফল্যের কাছে
জমা রাখে স্বার্থপরতা আর অসততা পাস্তুরিত সম্পর্কের মতো
যত্রতত্র সাময়িক সুবিধায় টানে বিরোধী আন্তরিকতা।
প্রেম হতাশায় নবায়ন করে আত্মরতি । গোপন মনের
অবরুদ্ধ কলে বলী হয় সমস্যা দূরাশা।তুমি জবাব দিহিতার
ছলেবলে পাশা খেলা শেষে জারী করো প্রেমের বিরতি।।
আল্টিমেটামে বিলুপ্ত অভিমানে তুমি ভাগ করো প্রিয়মন।আমি
নাটের গুরুর হারজিতে ব্যর্থ আয়োজনে খুঁজি হারানো আপন।
প্রতিদিন শেষ না হওয়া ইনিংসে চলে উত্তাল ঘোষনা
জীবনের আড়িপাতা প্রলোভনে আনে বেদনার টান।
সুখ দুঃখের দোলাচলে ঋণী হয় প্রেমিকের মূলধন।
তুমি অবাধ্য ফুলের রঙেঢঙে সাজো প্রকৃতির ভুল
আমি ফুল ভেবে চাষ করি রাশিরাশি হারানো নির্ভুল্।

নাম না জানা অজানা- ১৫

নাম না জানা অজানা দেখা হয় প্রতিদিন মনের অজান্তে।
কখনো স্মৃতির ঘরে অগােচরে প্রীতির চাদরে ঢেকে দেয়
স্বজাতির মনের জানালা। আর তুমি বিরহের সমাদরে
সম্প্রীতিতে টানো অমিলের চরম আপত্তি।
বেদনার নাম নেই জেনে অপমানে বহুবার প্রেমফুলে
বসিয়েছি হুল।নির্ভুল আনন্দ কূলে তোমার ব্যকুলে
হারিয়েছি জাতকুল।
শর্ত পূরণে রক্তের হলিখেলা চলে বাহুবলে। তুমি
ছলেবলে কলাকৌশলে স্তৃতির ফলাফলে যোগ করো
প্রেমের কোন্দল।
নীতি ও ভীতির জোড়াতালি চলে খড়সা অনুমোদনে।
প্রয়োজনে আনে গুড়েবালি। তুমি শতআড়ি দিয়ে ভুলে যাও
প্রেমের সুফল।
হেলেনের প্রেম থেকে শিখে নিই হারাবার অজানা দুকূল ।

মনতলা -১৫

মনতলায় তোমার আগমন শুনে অবেলায়
বৃষ্টি নামলো শহরে । ভেলায় ভেসেছে
বিরহের বহুতল ইটের ভবন।
ছিন্নমুল পথ স্বপ্নরা বাম্পার ফলনের
দ্বিগুন আশার কাছে নত হয় মেঘের আড়ালে।
দুগ্ধবতী সম্ভাবনার অবহেলায় বর্ষাও বিলীন হয়
তোমার ছলনা কলে। স্বপ্ন হারাবার সিলেবাসে
যোগ হয় ব্যর্থ কোলাহল। চুক্তি ছাড়াই খৈয়াছড়ার
ঝর্ণা হয়ে নেমে আসে মনে।
সন্দেহের তীর বিদ্ধহয় রুগ্ন ব্যবস্থাপনায়।
উৎকন্ঠার অন্তরে আবিষ্কৃত হয় প্রেমের হাজারো
লঘুচাপ।
শর্ত্ সাপেক্ষে মৈত্রীর পুণর্বহাল চলে মনবলে।
সুবিধা প্রাপ্তিতে তুমি চুক্তি ভিত্তিক শরিকে
যোগ দাও হট লাইন ডায়ালে। আমি আড়িয়াল বিলে
বর্ষা মিলে জোড়া লাগাই প্রেমের আড়ালে।

মায়াজাল -১৬

তোমার দুঃখগুলি তুমি লুকিয়েছো সুখের বাসরে।
আসরে মেতেছো নিরাবেগে।মেঘেঢাকা পন্যের চাহিদা ঘরে
সুদূর ওপারে সহস্র ব্যথার অনুরাগে ভাসিয়েছো স্বপ্ন তরী।
বিনীত আবেগে বাসা বাঁধে ভাবাবেগ। ঘোরলাগা সর্বনাশা
মনের দুয়ারে ভালোবাসার পাষানে টানে প্রেমের কুয়াশা।
সমঝোতার আড়ালে চলে শতাংশের গুণভাগ। আমি
রাগ অনুরাগ পৃথক আনন্দে রেখে প্রেমের সিটিতে সেন্সুরীতে
যোগ করি বিলিয়ন হুমকীতে।
সুখ দুঃখের সাথী নেই কোনো কালে।পালের বাতাসে
কিংশুক কর্তব্য বিমুখ আশালতা ধরে রাখে মায়াজালে।

আষাঢ়ের ইন্দ্রজিত -১৭

শতব্যথার সাগরে তুমি ডুব দিলে অনাদরে।
ভালোলাগার অভাগা আবেগের রসি টেনে ধরে
স্মৃতির ওপারে আমি নিঃসঙ্গ এক প্রীতির অতীত।
বর্ষা এসে বলে ছলেবলে সর্বনাশা বৃষ্টি জালে
নিয়তির কলে রাখে উপমা প্রেক্ষিত মীথ।
মায়ার আদলে দুভাষীর ফলাফলে দশ্যুমন
আপন জানার অকারণ খুঁজে হয় দিশেহারা।
বাহারি লতায় উড়ে আকুলতা স্বতন্ত্র কথারা
আমি বৃষ্টি ভিজে চির অবুঝে তোমার বিপরীত।
দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে রয়েছে দেখো রাতের পূর্ণিমা
তুমি আলো মাখো আমি ভরা আষাঢ়ের ইন্দ্রজিত।

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test