E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রতীক্ষা

২০১৬ আগস্ট ২০ ১৫:১২:২৮
প্রতীক্ষা






 

দোলা আহমেদ

প্রতিটা রাতের শেষে একটা নোতুন দিনের আরাম্ভ হয় ।কি গভীর প্রতীক্ষা থাকে লুকাইতো সূর্য্য কিরণের ।পাখিরা অধীর অপেক্ষায় থাকে ।অভিমানী শিউলি ,বকুল,কামীনি ঝরে পড়ে অধীর অপেক্ষা করে ।কেউ গলার মালা হয় ।কেউ বা দেবতার চরণে স্থান পায়।কেউবা অবহেলায় মাটির সাথে মিশে যায় -----শুধু বয়ে চলে নিরব অপেক্ষার প্রহর ।

বিকাল থেকে তেমনই অপেক্ষার প্রহর গুনছে গোধুলী ।কখন রাতের আকাশের তারারা ঘুমাতে যাবে ঐ মহাশূন্যের মাঝে ।সাগরের বুক থেকে কখন রাঙা অরুণ হেসে উঠবে !!আর কখন সে দেখতে পাবে তার সেই প্রিয় মানুষের মুখ খানি । এত কল্পনা করে সেই মুখটা দেখতে কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারে না । তার প্রতিটা কথা কানের মাঝে অণুরণিত হতে থাকে সব সময় ।যেন এমন –সব সময় সে তার সাথেই কথা বলছে ।তাই তো তার ইদানীং এই নিরবতায় বাসার সবাই নানা প্রশ্ন করে । সবার মাঝে থেকেও সে আলাদা ।ভরা জনসমুদ্রের সে এক দ্বীপবাসিনী ।

মনে মনে গোধুলীর নানা কথা ।কেন এমন হলো !! কেন একটাই মানুষ তার জীবনের মাঝে এমন পরিবর্তন করে দিয়ে গেল ।কিন্তু এমন তো হবার কথা ছিল না ।না কি এমন হবে জন্যই সে সব কিছু হতে দূরে থাকতে চাইতো ইচ্ছে করেই ।কিংবা নিজের কাছে নিজের ভয়ে ?সে কিছুই জানে না ।কিছুই মেলাতে পারে না ।শুধু একটাই প্রশ্ন –কেন এমন হলো !এত গভীরে কেন এ মানুষটার বাস ??

পড়ন্ত বিকেলে সে তার ঘরের মাঝেই ছিলো ।জানালা দিয়ে আকাশ দেখছিলো ।ধীরে ধীরে আলোর ম্লান রুপের পরিবর্তনটা তার ভীষণ প্রিয় ।ধুলো উড়ানো একটা মাঠ ,নদীর ধার –কাশফুল এই গুলোই তখন তার কল্পনার সাথী হয় ।আর সেই জগতের মাঝে সে কথা বলে প্রতীকের সাথে ।
প্রতীক –যার সাথেই তার কল্পনার জগতে বাস ।যার সাথেই তার সব কথা ।রাগ অভিমান ,হাসি কান্না সব ,সব কিছুই তার সাথে ।আর কারো বাস নাই তার এই জগতে ।

চা খাইছিলো আর তার কথাই ভাবছিলো ।অতীতের প্রতিটা কথার মাঝে সে হারিয়ে থাকে ।গত ছয় মাসে তাদের না কোন কথা হয়েছে, না তাদের কোন দেখা ।শুধুই অনুভবে সে তাকে কাছে পায় –
ফোনটা বেজে উঠতেই গোধুলী নাম্বারটা দেখে শুধু আস্তে করে,

-হ্যালো !
পাশ থেকে প্রতীক –কেমন আছো ?
-ভালো ,তুমি ?এত দিনে তোমার সময় হলো ?
-কাল আসছি ।তুমি সেখানেই অপেক্ষা করবে যেখানে তোমাকে দেখেছিলাম প্রথম দিন।আর একটা কথা লাল একটা শাড়ী পরবে ।লাল বড় একটা টিপ।আর যা তোমার ইচ্ছে তাই –
-কেন এমন করো প্রতীক ?এত দিন আমি কেমন ছিলাম তা কি একবারের জন্য ও ভেবেছো কখনো ?আজ এত দিন পরে এসে খবরদারি করছো ?আমি যাবো না তোমার কাছে যাও ।গেলেও আমার যা পছন্দ তাই পরবো ।তোমার কোন কথা আমি এখন আর ভাবি না ।না ভাবি তোমাকে ।কত জনা আমাকে চায় !!আমি কি সহজলভ্য না কি ??
-আজ আর হাসবো না ।কারণ তুমি রেগে আছো ।অভিমানে তোমার চোখ দিয়ে জল পড়ছে আমি দেখতে পাচ্ছি ।এই যে আমার হাতের উপরে এক বিন্দু জল ।আমি আমার বুকের মাঝে রেখে দিলাম ।তোমাকে কেন এত ভালবাসি তা তো তুমি জানো কারণ তুমি আমাকে ভালবাসো ।ভালবাসতে শিখেছি তোমারই কাছে ।আমি তোমাকে কষ্ট দেই কারণ সব চেয়ে যে কাছের হয় তাকেই ভালবাসা যায় ভয়ংকর ভাবে ।তার উপরেই খবরদারি করা যায় ।আমি তো জানি তোমাকে –আমার ইচ্ছের গুরুত্ব কতটা তোমার কাছে ।আমার রাগ –জেদ –খবরদারি-পাগলামী সব তোমার প্রিয় ।
-খুব সুবিধা পেয়েছো তুমি না্ !!
-সুবিধা নয় গো ভালবাসা ।আমার চারিপাশে অনেক মানুষ।কিন্তু এমন করে তো কেউ আমাকে ভালবাসে না ।এমন করে কেউ আমায় পাগল হয়ে চায় না ।অনেক খুঁজে তোমাকে আমি পেয়েছি যে –
আজ আর কোন কথা নয় ।আমি কিছু জানি না ।কিছু শুনতে চাই না ।কাল দেখা হচ্ছে ঐ একই সময়ে।একই স্থানে ।এবং লাল শাড়ী পরেই ।এবার রাখি –এই বলে আর কোন কথা বলবার সময় দিলো না গোধুলীকে প্রতীক ।ঠ্যাস করে ফোনটা রেখে দিলো ।

গোধুলী চোখটা শুধু মুছে নিলো ।সে তো জানে প্রতীক তো এক উল্কা ।যে কি না গোধুলী নামক এই বসুন্ধরার দিকেই ধাবিত হয় –

কারো সাথে সে এমন করে না।কত ঝগড়া করেছে ।কত বার বলেছে’ কোন কথাই সে বলবে না প্রতীকের সাথে ।কিন্ত পরক্ষনেই আবার হাসি মুখে ছুটে গেছে ।ছুটে গেছে বললে ভুল হবে –পাগলের মতো চলে গেছে ,শুধু তাকে একবার দেখার জন্যই ।

একদিনের কথা মনে হলে সে আজো এই পাগলামি অনুভব করে ।প্রতীককে ,খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো দুপুরে ফোন করে বলেছে তুমি আসো ।প্রতীক অনেক ভাবে তাকে বুঝাতে চেষ্টা করছে ,আজ তার কাজ আছে কিন্তু কিছুতেই সে মানতে নাজার । ঠিক বিকেলে সে বেরিয়ে পড়েছে ।আকাশ নীলই ছিলো কান্তু কিছুক্ষণ পরেই কালো মেঘে ভরে গেছে ।প্রতীকের বাসার সামনে গিয়ে সে ফোন করলো –
-তুমি কোথায় ?আমি তোমার বাসার সামনে ।নিচে নামো ।
-আমি তো বেরিয়ে পড়েছি একটা কাজে ।তুমি কেন বাহির হলে এই ঝড় বৃষ্টির মাঝে ?দাঁড়াও আমি আসছি ।কোথাও যাবে না ।একটা শুকনা স্থানে দাঁড়াও ।আমিবাড়ি পৌঁছে দিবো ।আর আমি এসে নেই কতটা যে রাগ করবো তুমি কল্পনাও করতে পারবে না ।নড়বে না একচুল।
-কোনো দরকার নাই । তুমি আসবে না ।আমি একাই যেতে পারবো ।যেমন একাই আমি পথ চলি।তেমনই চলে যাবো ।
-না তুমি আমার এই কথাটা শুন প্লিজ সোনা আমার ।আমি আসছি ....
-না তুমি আর আসবে না ।আসবে না কোন দিন।আর কোন দিন কোন কথা হবে না ।না হবে আর কোন দিন দেখা ....
এই বলে সে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলো ।

অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়েছিলো সে একটা স্থানে ।প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি তার সাথে বজ্রপাত।চারিদিকে অন্ধকার ।আমাদের দেশের অতি উৎসাহী মানুষের অভাব নাই ।এমন পরিস্থিতিতে সবাই শুধু ফায়দা নিতে চায় ।সহানুভূতির কোন শেষ নাই।অনেক ক্ষণ ভালই ছিল সে সেখানে কিন্ত মোরটসাইকেল নিয়ে যখন এক জন তাকে লিফট দিতে চাইলো তখন আর সে এক মূহুর্ত সেখানে দাঁড়ায় নাই, সোজা হন হন করতেকরতে ঐ বাজ বৃষ্টির মাঝেইপথে নেমে গেলো ।কোন রিকশা খালি নাই ।বাড়ীর পথ ও অনেক দূর।অন্ধকার চারিদিকে ।রাস্তার মানুষ গুলি মনে হচ্ছিলো –সে যেন চিড়িয়াখানার কোন জন্তু ।তাকে দেখাই তাদের কাজ।কিন্তু তার চোখের পানি কেউ দেখেনি শুধু দেখেছে ঐ মানুষ গুলি তার ভেজা শরীর ।কিন্তু ঐ দূর হতেই প্রতীক শুধু তার কষ্ট বুঝেছে । তাই তো অনেক বার ফোন করেও গোধূলী যখন ফোন ধরে নাই প্রতীক শুধু ছোট্ট করে একটা মেজেস দিয়েছিলো –মেরে ফেলবো তোমাকে ।

বাসায় এসে মনে মনে অনেক বার সে প্রতিজ্ঞা করেছিলো আর কোন যোগাযোগ সে রাখবে না প্রতীকের সাথে ।কিন্তু ফোনটা ছিলো তার হাতেই ।তাই তো গভীর রাতে চোখের জল মুছে আবার নিজেই প্রতীকের কাছে ফোন দিয়ে জানতে চাইলো –বাড়ি ফিরেছো কখন ?খেয়েছো না কি ?কারণ প্রতীক মহা আড্ডা বাজ আর ভীষণ চঞ্চল ।
ওপাশ থেকে যেই বললো না খাই না –গোধুলির তখন কিসের কষ্ট আর কিসের রাগ অভিমান ।শুধুই একটা কথা - খেয়ে নাও ।

সন্ধ্যা হতেই শুধু ভাবছে ,কি করবে সে ! এই রাতটা চলে গেলে কি কথা বলবে ?চোখ মেলে চাইতে পারবে তো ?নানা কথা ভাবতে ভাবতে প্রায় মাঝ রাত পার হয়ে গেল।আরমারির কাছে যেয়ে সে তার শাড়ী গুলি দেখতে লাগলো কোনটা পড়বে !!প্রতীকের লাল রং পছন্দ । সে ইদানীং যা কেনে তার বেশীই লাল রং।
প্রথম দেখা হওয়া দিনের কথা মনে হতে লাগলো ------
অনেক দিন হতে প্রতীক দেখা করতে চাইছিলো তার সাথে কিন্তু কিছুতেই সে রাজি হলো না ।মাঝে মাঝে শুধু ফোনে কথা হতো ।এই যা !কিন্তু কোন দিন গভীর ভাবে সে নেয়নি প্রতীকের এই আবদার।কত জনই তো কথা বলতে চায় তার সাথে ।কিন্তু সে সব সময় শক্ত একটা আবরনের মাঝে নিজেকে লুকিয়ে রাখে ।কারণ সে জানে যে মন যত বেশি নরম তার বাহিরের আবরণ তত বেশী শক্ত এবং মজবুত কিন্তু এটা যদি কেউ এক বার ভেদ করতে পারে তবে সেই পাবে ঐ নরম মনটা।যা প্রতীক পেয়েছে ।
ঐ দিন সে একটা লাল শাড়ি পড়েছিলো , কপালে লাল টিপ । চোখে কাজল ।এই সামান্য ।আর প্রতীক একটা নীল শার্ট ।সেভ করা ছিলো না ।খোচা খোচা নীলাভ দাড়ি ।সে সরাসরি তাকে দেখতে পারে নাই কিন্তু কখন যে আড় চোখে দেখেছিলো আজ আর মনে করতেই পারে না ।বাসা হতে যখন সে বাহির হলো আকাশ ছিলো মেঘমুক্ত ।মৃদু বাতাস ।নদীর ধারে দেখা হলো ।ঢেউ গুলি যেন হাসছিলো তাদের দেখে ।প্রতীক তার হাতে একটা মোমবাতি ধরিয়ে দিলো ।মোমটা পেয়ে সে খুব খুশি কারণ এই মোমের আলোর একটা তাৎপর্য আছে ।
টুকটাক কথা হতে হতেই সাঁঝ গড়িয়ে গেলো ।নদীতে ঢেউগুলো আরো জোড়ে জোড়ে বইতে লাগলো ।বাতাসের প্রচন্ডতা ।তার সাথে মেঘের গর্জন ।কোন ভাবে একটা রিকশা পেলো দুজনাতে ।
প্রতীক একটু সংকোচের মাঝেই ছিলো ,এভাবে রিকশায় বসতে কোন অসুবিধা হবে কি না ।পাছে আবার কি ভাবে গোধুলী ।কিন্ত গোধুলীই যখন রিক্সার হুড তুলে দিলো –প্রতীক যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো ।বৃষ্টি প্রতীকের ভীষন পছন্দ কারণ বৃষ্টি তো চঞ্চল এবং দুরন্ত পাগলা ঠিক প্রতীকের মতোই ।সেই দিন যত ক্ষন তারা এক সাথে ছিলো, পাশাপাশি দুটি মানুষের মতো।অন্য কোন আবেদন ছিলো না ।যদি চাইতো ঘনিষ্ঠ হতে তবে তো অবশ্যই তা হতে পারতো ।কারণ ম্যাচুইর দুটি মানব-মানবী এত কাছাকাছি আছে আর এই বৃষ্টি –ইচ্ছে করলেই প্রতীক তার হাতটা ধরতেই পারতো কিন্তু তা সে করে নাই ।তা যদি সে করতো তবে ঐ একদিনই আর তাদের কোন সম্পর্ক্য বেঁচে থাকতো না ।ঐ হতো তাদের প্রথন এবং শেষ দেখা ।যা অবশ্য গোধুলী বারে বারে প্রতীককে বলেছিলো ,এই আমাদের শেষ এবং প্রথম দেখা ।যত বার গোধুলী বলেছে প্রতীক ততবারই আস্তে করে বলেছে –শেষ হতেই আমাদের আবার শুরু ।সেই সাঁঝ বেলা ,সেই বৃষ্টির মাতোয়ারা পাগলামী আজো তার কাছে নোতুন লাগে যখনই মনে হয় ।
ঐ বৃষ্টির মাঝে তার উড়ন্ত চুলগুলি প্রতীকের খুব ইচ্ছে করছিলো মুখের উপর থেকে সরিয়ে দিতে ।বারে বারে সে আড় চোখে দেখেছিলো প্রতীকের ঐ চোখের চাহনী কিন্তু সে তাকে সামান্য স্পর্শ পর্যন্ত করে নাই ।রিকশায় প্রতীক নিজে ভেজেছিল কিন্তু তাকে ভিজতে দেয় নাই ।তাই বুঝি প্রতীক আজ তার কাছে জগতের মাঝে সব চেয়ে আপনের চেয়ে ও আপন ।কারণ গোধুলীকে সে পেতে চেয়েছে সম্মানের সাথে ।গুরুত্বের সাথে গুরুত্ব দিয়ে ।যে কোন সম্পর্ক্য যদি প্রথম দর্শনেই অনিয়ন্ত্রিত হয় তবে তার মাঝে শুধু ক্ষনিকের শারীরিক আবেদনই থাকে মন সেখানে বায়ুবীয় তাই তো হাওয়ার মতোই সেই সম্পর্ক্য গড়ে ওঠে এবং এক জটকায় মিলিয়ে য়ায ।সম্পর্ক্য তৈরী হয় ধীরে ধীরে ।একটা একটা মূহুর্ত যোগ করে ।একটা একটা ভাল লাগা যোগ করে ।সমষ্টিক ভাবে একটা সম্পর্ক্য ।

তার পরে খুব কমই দেখা হয়েছে ।প্রতীক চলে গেলো চাকরীর কারণে এই শহর ছেড়ে অন্যত্র ।যাবার আগে গোধুলীর হাতে হাত রেখে ভারী শান্ত ভাবে বলেছিল –আমরা যত দুরেই থাকি না কেন ,সব সময় পাশাপাশি থাকবো সারা জীবন ।তুমি কোন দিন ছেড়ে যাবে না আমাকে ।যখনই আমি ডাকবো তুমি যেখানেই থাকো না কেন আমার কাছে আসতেই হবে ।ঐ ছিল তাদের প্রথম পরশ ।ঐ ছিলো হৃদয়ের কথা ।যেখানে কথা হয় অনেক গভীরের সেখানে প্রকাশ থাকে না ।কারণ প্রকাশের কোন দরকার হয় না। এক টুকরা লোহার মাঝে শব্দ খুব অল্প কারণ পুরোটাই ভরা থাকে বস্তু দিয়ে কিন্তু আধা তরলে ভর্তি পাত্রের শব্দ অনেক বেশী ।দুটি মন এক সুতায় বাঁধা পড়লে সাহসের সাথে পথ চলা যায় । না থাকে তখন কোন দূরত্ব । না থাকে কোন মিথ্যে। না থাকে কোন ছলচাতুরি ।থাকে পারস্পরিক বিশ্বাস আর শ্রদ্ধা বোধ ।আর থাকে অসীম পাগলামী ------

প্রেম এমনই এক আলো যা মনের মাঝে ধীরে ধীরে প্রজ্জ্বলিত হয় ।সেই আলোর মাঝে আর কারো অস্তিত্ব থাকে না শুধু মাত্র ঐ মুখ ছাড়া ।প্রকৃত প্রেম সৌন্দর্য্য রক্ষা করে চলে ।তাই তো তারা কত বার সুযোগ পেয়েছে কাছে আসবার কিন্ত আসে নাই ।সামান্য চুম্বন টুকুও তাদের মাঝে আজো হয় নি ।কিন্তু আগামী কাল !!

পুব আকাশ ধীরে ধীরে আলোকিত হতে যাচ্ছে ।গোধুলী এক অজানা ভাল লাগায় হারিয়ে যেতে চলেছে তার ভাবনা শুধুই একটা –আজ কি হবে ?
















(ডিএ/এস/আগস্ট ২০, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test