E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ড. জাহিদা মেহেরুননেসা’র কবিতা

২০১৬ অক্টোবর ৩১ ০৯:৫১:১৩
ড. জাহিদা মেহেরুননেসা’র কবিতা







 

ধর্ষিত দৈবশিশু পূজার জন্য আর্তনাদ

হলুদ ক্ষেতের ভিতর থেকে ভেসে আসে
কচি শিশুটির গোঙানি আর যন্ত্রণার অস্ফূট আর্তনাদ,
তারপর আর সাড়া নেই তার ।
আদিম উল্লাসে উন্মত্ত দুটো ভয়ঙ্কর দানব,
যাদের শরীরে নেই হৃদপিণ্ড ! মনে নেই মায়া,
এতটুকু ভালবাসা, শিশুটির জন্য স্নেহ কাতরতা,
এসবের কিছুমাত্র লেশ নেই তাদের !
এরা দু’জন হামলে পড়েছে
হরিণশাবকের কচি মাংসের উপর-
টেনে টেনে, নখের তীক্ষ্ণ আঁচড়ে,
ছিঁড়ে ফেলেছে কোমল মাংস তার !
উন্মত্ত উল্লাস নিবৃত্ত হয়নি তাতে ।
তারপর ধারালো ব্লেডে মাংস কেটে কেটে,
আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠবার জায়গা আবিষ্কার করে
পৈশাচিক উন্মত্ত নৃত্যে,
আনন্দে সে কচি শিশুটির শরীরের ভিতর খেলেছিল
তারা হোলিখেলা ।
কী এমন অপরাধ ছিল ঐটুকু শিশুর ?
যে শিশুটি সারা দিনরাত খেলতো
প্রজাপতি, রঙীন ফুল আর পাখিদের সাথে,
যে শিশুটি জন্মেই দেখেছে
এই নরপশুদের নিজের পিতার খুব কাছে,
যাদেরকে সে দেখেছে বাবার মত, বড়বাবা রূপে !
বড়বাবা কী করে হয়ে উঠেছিল হায়েনা সেদিন?
তাহলে কী বড়বাবাদের মনে ঘুমিয়ে থাকে
পিশাচ আর শ্বাপদের তীক্ষ্ণ দাঁত?
নিশপিশ করে তাদের নোংরা থাবা ?
যে শিশুটি এখনো ফুলের কুড়ির মতই কোমল,
যে শিশুটি এখনও জানে না পৃথিবীটা কেমন,
যে শিশুটি এখনও
কেউ আদর করলেই
কোলে উঠে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে বুকে,
নির্ভাবনায় স্বপ্ন দেখে ।
যে শিশুটির গাল এখনও নরম তুলতুলে ,
হাজার গোলাপ ভিড় করে ,
যে শিশুটির হাতদুটো স্বর্গের দ্যুতি বয়ে আনে।
যে শিশুর হাসি দেখলেই শুভ হয়ে যায় দিন,
যে শিশুটি সহস্র স্বর্গের সৌরভ বয়ে আনে ,
যে শিশুটি ঝড় দেখলেই মায়ের বুকের ভিতরে
মুখ লুকিয়ে রাখে,
যে শিশুটি ঘুমঘোরে এখনো মাতৃদুগ্ধ পান করে,
সে শিশুটিকে হলুদ বনের ভিতরে নিয়ে
কারা আজ কোন সাহসে ক্ষত বিক্ষত করে?

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test