E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রানের বন্যা ফরহাদ রেজার ব্যাটে

২০১৪ এপ্রিল ১৩ ১১:৪৭:০১
রানের বন্যা ফরহাদ রেজার ব্যাটে

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ওয়ালটন জাতীয় লিগের ৬ষ্ঠ রাউন্ডের প্রথম দিন কক্সবাজার ছাড়া রানের মধ্যেই কেটেছে। শনিবার ৪ ভেন্যুর ৩টিতে ৪টি সেঞ্চুরি হয়ছে। সেঞ্চুরিয়ানরা হচ্ছেন ফরহাদ রেজা, সানজামুল ইসলাম, শাহরিয়ার নাফিস ও নাঈম ইসলাম। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ১৮ রান দূরে রয়েছেন ফরহাদ রেজা।

ফরহাদ রেজার ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়েছে রাজশাহী বিভাগ। ফরহাদ রেজার ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৪২৪ রান করেছে রাজশাহী। যদিও ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অল্প রানেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল দলটি। সেখান থেকে ফরহাদ রেজার ১৮২ ও সানজামুল ইসলামের ১৭২ রানেই ম্যাচে ফিরেছে রাজশাহী।



ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করেই টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছিলেন ফরহাদ রেজা। কিন্তু জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ব্যাট-বলে নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এর আগেও হয়েছে তাই। টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার কারণে শেষের কয়টি ম্যাচে দর্শকের ভূমিকায় থাকতে হয়েছে রাজশাহীর এই ক্রিকেটারকে।



দল যখন ৭৭/৬ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায়, তখন ত্রাতা হিসাবে আর্বিভাব ঘটেছে ফরহাদ-সানজামুলের। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে তারা ৩৪৭ রানের জুটি গড়েছেন। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৮ রান দূরে রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের রেকর্ডও ভেঙেছেন তিনি। আগে সর্বোচ্চ ছিল ১৭২ রান। শনিবার তা ভেঙে দিনশেষে ১৮২ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। রানের ছড়াছড়ির মধ্যেও মুশফিকুর রহিম সাব্বির রহমান রুম্মন রানের খোঁজ পাননি।


রাজশাহীর আরেক নায়ক সানজামুল ইসলাম। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেওয়া হয়নি এখনও তার। দলের বিপর্যয়ে ব্যাট হাতে চট্টগ্রাম বিভাগের বোলারদের যেভাবে শাসন করেছেন তা ছিল রীতিমতো অসাধারণ। তিনি আউট হওয়ার আগে ১৭২ রানের ইনিংস খেলেছেন। এটিও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সানজামুলের সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২টি হাফসেঞ্চুরি ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এ ব্যাটসম্যানের।



চট্টগ্রামের মেহেদী হাসান রানা, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আলী আকবর ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া একটি উইকেট নিয়েছেন পুরনো আফতাব আহমেদ।


ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি পেয়েছেন নাঈম ইসলাম। তার সেঞ্চুরিতে দাঁড়িয়ে রংপুর বিভাগ দিনশেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান করেছে। নাঈম ইসলামের ১৪৪ রান ছাড়াও তানভীর হায়দার ৬২ রানে অপরাজিত রয়েছেন। সিলেট বিভাগের মাসুম আহমেদ একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। বাকি ২টি উইকেটের মধ্যে একটি একটি করে ভাগ বসিয়েছেন নাজমুল হোসেন ও এনামুল হক জুনিয়র।


চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন শাহরিয়ার নাফিস। আউট হওয়ার আগে ব্যাট হাতে খেলেছেন ১২৯ রানের ইনিংস। তার ইনিংসের ওপর ভর করে বরিশাল বিভাগ সব উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩২৩ রান। নাফিস ছাড়াও নুরুজ্জামান ৭৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। ঢাকা বিভাগের বোলারদের মধ্যে শুভাগত হোম ও নাজমুল অপু ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ২টি উইকেটের পাশে রয়েছেন নূর হোসেন। জবাবে দিনশেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪ রান তুলেছে ঢাকা বিভাগ। উইকেট আগলে অক্ষত রয়েছেন আব্দুল মজিদ ও রনি তালুকদার।



কক্সবাজার নবনির্মিত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে ঢাকা মেট্রো ও খুলনা বিভাগ। টসে জিতে ঢাকা মেট্রো ১৭২ রানেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। রাজ্জাক ও রিপনের বোলিং তোপে হালে পানি পায়নি ঢাকা মেট্রো। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান তুলেছেন সাদমান ইসলাম অনিক ৪০, তারপর শরিফউল্লাহ (৩৪)। জবাবে খুলনা বিভাগ ১ উইকেট হারিয়ে ৪৬ রান তুলেছে। রবিউল ইসলাম ২৩ ও ইমরুল কায়েস ১৩ রানে ফের বরিবার দলের হয়ে মাঠে নামবেন। খুলনার আব্দুর রাজ্জাক ৪টি ও নাজিমউদ্দিন রিপন ৩টি উইকেট নিয়েছেন।


(ওএস/পি/এপ্রিল ১৩,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test