E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রেফারিকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জার্মান কোচের

২০১৪ জুলাই ০৮ ১১:১৪:৫৭
রেফারিকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জার্মান কোচের

স্পোর্টস ডেস্ক : ব্রাজিল বিশ্বকাপে রেফারিংয়ের মান নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন আছে। শক্ত হাতে সব ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে রেফারিরা। ম্যাচে ফাউলের পরিমাণও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে স্বাগতিক ব্রাজিলের সঙ্গে কলম্বিয়ার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি এক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে। ৯০ মিনিটে ৫৪টি ফাউল হয়। যার ৩১টিই করে স্বাগতিক ব্রাজিল। কলম্বিয়ার সেনসেশন হামেস রদ্রিগেজকে স্বাভাবিকভাবে খেলতে দেয়া হয়নি। প্রতিনিয়ত দল বেঁধে অবৈধ ট্যাকল দেয়া হয় তাকে।

অবশ্য ব্রাজিলকেও তেমন ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। দলটির আক্রমণভাগের মূল তারকা নেইমারকে আঘাত করেন কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার হুয়ান জুনিগা। যে আঘাতে মেরুদণ্ডের অস্থিসন্ধি ভেঙে যায়। এতে বিশ্বকাপে খেলার আশা শেষ হয়ে যায় ২২ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান সেনসেশনের। সামগ্রিকভাবে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এই ম্যাচে রেফারি কঠোরহস্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বলে অভিযোগ জার্মান কোচ জোয়াকিম লোর। তাই সেমিফাইনালে রেফারিকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জার্মান টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে লো জানান, ব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচটি তিনি দেখেছেন। অত্যধিক ফাউলের কারণে খেলা স্বাভাবিক খেলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। লো বলেন, ‘আমি ব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচটি দেখেছি। যেখানে দুদল অসংখ্য ফাউল করে। তারা শুধু অন্যের খেলা বাধাগ্রস্ত করতে পিছন থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। বল দখলের জন্য স্বাভাবিক লড়াই তারা করেনি। বরং যে কোনো মূল্যে ম্যাচকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছে।’ কোয়ার্টারে ব্রাজিল কলম্বিয়া ম্যাচে ফাউল হয় ৫৪টি। অথচ রেফারি কার্লস ভালসকো প্রথমার্ধে কোনো হলুদ কার্ড দেখাননি। ৪১টি ফাউল হওয়ার পর প্রথমবার পকেট থেকে কার্ড বের করেন তিনি। সব মিলিয়ে সেমিফাইনালের পথে ব্রাজিলের খেলাকে খুব আক্রমণাত্মক মনে হয়েছে।

শুরু থেকে এ পর্যন্ত ব্রাজিল দলগতভাবে ৯৬টি ফাউল ও ১০টি হলুদ কার্ড পায়। অপরদিকে জার্মানি ৫৭ ফাউলের সঙ্গে তিনটি হলুদ কার্ড পায়। তাই পরিসংখ্যানে জার্মানির তুলনায় ফাউলের দিক থেকে ব্রাজিল এগিয়ে। জোয়াকিম লো মনে করেন সেমিফাইনালে রেফারিকে এর রাশ টেনে ধরতে হবে। অন্যথায় খেলা বিঘ্ন হওয়ার পাশাপাশি বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে। জার্মান কোচ বলেন, ‘ব্রাজিল পরিশীলিত ফুটবল খেলা দল হিসেবে পরিচিত। সেই শৈল্পিক ফুটবলের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। এটা নিশ্চিত এখনও ব্রাজিল দলে কুশলী অনেক খেলোয়াড় আছে। অথচ অন্য যে কোনো দলের তুলনায় শক্তি প্রয়োগ করে খেলেছে। শক্তি দিয়ে তারা প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দেয়ার চেষ্টা করেছে। দিন শেষে এর দায়ভার রেফারির ওপরই পড়ে। কারণ মাঠে শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও সে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়।’

জয়ের চেয়ে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলাটাকে কেউ বেশি গুরুত্ব দেয়নি। সেদিক থেকে জার্মানি খেলাটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বলে দাবি করেন লো। বলেন, ‘টুর্নামেন্টে কোনো দলই চমত্কার আক্রমণাত্মক খেলতে পারেনি। বরং শক্তির লড়াইয়ের ওপর জোর দিয়েছে। সুন্দর খেলা এখানে জয়ের জন্য যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি। সময় এসেছে সঠিক খেলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার।’

নেইমারবিহীন ব্রাজিলের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলবে জার্মানি। বিষয়টি তাদের জন্য ইতিবাচক হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে লো বলেন, ‘নেইমারকে ছাড়াও ব্রাজিল অনেক শক্তিশালী। সে বিশেষ প্রতিভাবান খেলোয়াড়। তবে দলের অন্য খেলোয়াড়রাও অনেক ভালো।’ গত আসরে স্পেনের কাছে সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিয়েছিল জার্মানি। এবার স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে সেমিফাইনালের বাধাটা পেরুতে পারে কি না তাই এখন দেখার বিষয়।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ০৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test