E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাল্লা দু’দিকেই ওঠানামা করছে!

২০১৪ জুলাই ১০ ১৭:০৮:০৭
পাল্লা দু’দিকেই ওঠানামা করছে!

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা ১৯৮৬ বিশ্বকাপে জার্মানদের ৩-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলো। অবাক করা বিষয় হলো, পরের বিশ্বকাপেও (১৯৯০) ফাইনালে মুখোমুখি হয় এই দুই দলই। আর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জার্মানদের (ওই সময়কার পশ্চিম জার্মান) কাছে ফাইনালে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নেয় ম্যারাডোনা বাহিনী। সেই ছিল আর্জেন্টিনার শেষ ফাইনাল খেলা। এরপর আর কোয়ার্টার ফাইনালের বাধাই পেরুতে পারেনি আকাশী-সাদা বাহিনী। ঠিক তার ২৪ বছর পরে আবারো ফাইনালে গেল আর্জেন্টিনা, আর খেলবে সেই জার্মানদের বিপক্ষে। তাই ফলাফলটা ১৯৯০ এর পুনরাবৃত্তি নাকি জার্মানিকে প্রতিশোধের আগুনে পুড়িয়ে মেসির অবয়বে সেই ১৯৮৬ সালের ম্যারাডোনার ফিরে আসা- এটাই এখন ফুটবল বিশ্বের মূল আলোচ্য বিষয়। পাল্লা দু’দিকেই ওঠানামা করছে।

বর্তমানে পুরো শারীরিক, মানষিক আর ফর্ম সব দিক দিয়েই পুরো চাঙ্গা অবস্থায় আছে জার্মান দল। এর মধ্যে দলটি ইতিহাস গড়ে স্বাগতিকদের চোখের জলে ভাসিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে। সেমিতে ব্রাজিলকে রেকর্ড গড়া ৭-১ গোলে হারায় জার্মানরা। অপর ১৩ জুলাই দিনটা কার? মেসির না মুলারের?- এই প্রশ্ন এখন সারাবিশ্বে। শুধু শিরোপা জয় নয়, দুই দলই প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে জার্মানদের ৩-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। অবাক করা বিষয় হলো, পরের বিশ্বকাপে (১৯৯০) ফাইনালে মুখোমুখি হয় এই দুই দলই। আর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জার্মানদের (ওই সময়কার পশ্চিম জার্মান) কাছে ফাইনালে ১-০ গোলে হেরে চোখ মুছতে মুছতে বিদায় নেয় ম্যারাডোনা বাহিনী। সেই ছিল আর্জেন্টিনার শেষ ফাইনাল খেলা। এরপর আর কোয়ার্টার ফাইনালের বাধাই পেরুতে পারেনি আকাশী-সাদা বাহিনী। ঠিক তার ২৪ বছর পরে আবারো ফাইনালে গেল আর্জেন্টিনা, আর খেলবে সেই জার্মানদের বিপক্ষে। তাই ফলাফলটা ১৯৯০ এর পুনরাবৃত্তি নাকি জার্মানিকে প্রতিশোধের আগুনে পুড়িয়ে মেসির অবয়বে সেই ১৯৮৬ সালের ম্যারাডোনার ফিরে আসা- এটাই এখন ফুটবল বিশ্বের মূল আলোচ্য বিষয়।

অন্যদিকে সেমিতে স্বাগতিকদের লজ্জায় ডুবিয়ে ৭-১ গোলে জয় নিয়ে দারুন উজ্জীবিত জার্মানরা। সুপার ফর্মে আছেন থমাস মুলার। ছয় ম্যাচে পাঁচ গোল করে গোল্ডেন বুটের দৌঁড়ে আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। পর্তুগালের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হ্যাট্রিক করেন ২৪ বছর বয়সী এ তারকা। তবে শুধু মুলার নয়, ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারানোর পর এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ইউরোপের এ দলটি একটি পূর্ণাঙ্গ দল। জামার্নির যেমন শক্ত রক্ষণভাগ, তেমনি ক্ষিপ্র আক্রমনভাগ। সুতরাং ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে যথেষ্ট ঘাম ঝরাতে হবে এ কথা বলাই বাহুল্য। আর ১৩ তারিখের ম্যাচে কে জ্বলে উঠবে- মেসি না মুলার সেটাও দেখার বিষয়।

অন্যদিকে ১৯৯০ সালের পরে আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা পেরিয়ে সামনে এগুতে পারেনি। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে পরাজিত হওয়া ছাড়াও ২০০৬ ও ২০১০ সালে জার্মানির কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়ে। এজন্য আর্জেন্টাইনদের কাছে ১৩ জুলাইয়ের মারাকানার ফাইনাল হবে প্রতিশোধের ম্যাচ। এ ম্যাচে নিজেদের সমগ্র শক্তি দিয়ে প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করবে সাবেলার শিষ্যরা। শিরোপা পুনরুদ্ধারে প্রাণপন লড়বে মেসি বাহিনী। তাই ফাইনাল লড়াইটা যথেষ্ট হাড্ডাহাড্ডি হবে বলেই মনে করছেন ফুটবল বোদ্ধারা।

ইতিহাস বলে জার্মানরাও ছেড়ে দেওয়ার দল নয়। তারাও ১৯৮৬ বিশ্বকাপে হারের প্রতিশোধ নিয়েছিল ১৯৯০ সালে। আর পুরো দলটি এখন সুপার ফর্মে। জার্মানি এ পর্যন্ত ফইনাল খেলেছে সাতবার। এরমধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৩টিতে এবং রানারসআপ হয়েছে ৪টিতে। ১৩ জুলাই ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওর মারাকানা স্টেডিয়ামে ফাইনালে এই জার্মানদের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ।

(ওএস/পি/জুলাই ১০,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test