E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২০১৪ বিশ্বকাপে ১৪ গোল হজম করল ব্রাজিল

২০১৪ জুলাই ১৩ ১২:৪৩:৪৩
২০১৪ বিশ্বকাপে ১৪ গোল হজম করল ব্রাজিল

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : স্বাগতিক দল ব্রাজিল ব্রাজিল বিশ্বকাপ-২০১৪তে ১৪ গোল হজম করে৷ এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পরবর্তি চার বছর যথেষ্ট নয়৷ তার উপর যদি স্কলারির বস্তাপচা ফুটবল টেকনিক থেকে যায় তাহলে তো কথাই নেই৷ শেষ দিন পর্যন্ত এই দলকে দেখে একটাই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছিল এ দলে কেন নেইমারের পরিবর্তে কেউ নেই, কেন কাকার মতো প্লেয়ার নেই এ ব্রাজিল দলে?

তিনি কি বুঝলেন কোথায় ঠিক ভুলটি করে গেলেন? সেমিফাইনালের ক্ষোভ ভুলে ফুটবল পাগল মানুষগুলো আবার গ্যালারি ভরিয়েছিলেন দেশের জার্সি গায়ে৷ কিন্তু চোখের জলেই স্টেডিয়াম ছাড়তে হল তাঁদের৷ কিন্তু যেতে যেতে হাততালি দিয়ে রবেনদেরই শুভেচ্ছা জানিয়ে গেল ফুটবলের ব্রাজিল৷ রবেনের পায়ে বল পরলেই কেঁপে যাচ্ছিল ব্রাজিল ডিফেন্স৷

পেনাল্টি থেকে ভ্যানপার্সি নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে দেওয়ার ১৩ মিনিটের মাথায় এল দ্বিতীয় গোল৷ বল নিয়ে বক্সের বাঁদিক থেকে রবেনের ক্রস ডে গুজম্যান গোলে পাঠানোর একটা চেষ্টা চালিয়েছিলেন৷ কিন্তু প্রায় গোল লাইন থেকে আধা ক্লিয়ার করতেই সক্ষম হন লুইজ৷ বক্সের মধ্যে সেই আধা ক্লিয়ার করা বল সময় নিয়ে নিজের দখলে এনে গোলে শট নেন পুরোপুরি ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ডেলে ব্লাইন্ড৷

৯১ মিনিটে তৃতীয় কাজটি করে যান উইজনালদাম৷ বক্সের মধ্যে তখন অবাক দৃষ্টি ব্রাজিল ডিফেন্সের৷ যেন নড়তেই ভুলে গিয়েছেন তাঁরা৷ আর সিজার? ঝাপালেন, লাফালেন কিন্তু বলের নাগাল পেলেন না৷ ব্রাজিলের হয়ে যা একটু খাটতে দেখা গেল সেটা শুধু অস্কারকে৷ প্রথম দলে একগুচ্ছ পরিবর্তন করে স্কোলারি ভেবেছিলেন বদলে যাবে তাঁর ব্রাজিল ফুটবল দল৷ কিন্তু কোথায় কি?

সেমিফাইনালের দলে মোট ছ’টি পরিবর্তন করলেন ব্রাজিল কোচ৷ যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা৷ সেই থিয়াগো সিলভা সেদিন থাকলে নাকি জার্মানি গোলের মালা পরাতে পারত না ব্রাজিলকে৷ সেই থিয়াগো সিলভা এদিন কার্ড সমস্যা কাটিয়ে ফিরেই নেদারল্যান্ডসকে পেনাল্টি পাইয়ে দিলেন৷ সঙ্গে একটা হলুদ কার্ডও নিয়ে নিলেন৷ যদিও বক্সের বাইরে আর্জেন রবেনকে টেনেছিলেন সিলভা৷ রবেন স্বভাববশত লাফিয়ে ভিতরে ঢুকে পরলেন৷ এভাবে রবেনের পেনাল্টি আদায়ের রেকর্ড পুরনো৷

ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি থেকে নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে দিলেন অধিনায়ক ভ্যান পার্সি৷ দ্বিতীয়ার্ধে বক্সের মধ্যে অস্কারকে ফাউল করেন ব্লাইন্ড৷ কিন্তু রেফারি উল্টে অস্কারকেই প্লে-অ্যাকটিংয়ের জন্য হলুদ কার্ড দেখিয়ে দেন৷ রবেন বক্সের মধ্যে হ্যান্ড বল করলেও পেনাল্টি দেন না রেফারি৷ ভুলে ভরা রেফারিংয়ের মধ্যেই বিশ্বকাপে চতুর্থ স্থান পেয়েই খুশি থাকতে হল ব্রাজিলকে৷

তিন গোলে জিতে তৃতীয় নেদারল্যান্ডস৷ ভাঙা ভার্টিব্রা নিয়ে মাঠে এসেও দলকে চাগিয়ে তুলতে ব্যর্থ হলেন নেইমার৷ এদিকে, ম্যাচের আগে ওয়ার্ম আপের সময় পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে আর নামতে পারলেন না নেদারল্যান্ডসের ওয়েসলি স্নেইডার৷

স্নেইডার ছাড়া আর একটাই পরিবর্তন করলেন ডাচ কোচ ভ্যান গল৷ মাঝমাঠে নাইজেল ডে জংয়ের জায়গায় তিনি নিয়ে এলেন জোর্ডি ক্লাসিকে৷ ডার্ক কুয়েটকে পাঠিয়ে দিলেন উইংব্যাকে৷ দেশের জার্সি পরে কুয়েটের এটাই ছিল শেষ ম্যাচ৷ আগেই জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেবেন তিনি৷ স্কোলারির দলের পরিবর্তন কিন্তু চোখে পরার মতো৷

ব্যাক লাইন থেকে মাঝমাঠ এমনকি ফরোয়ার্ডেও শেষ পর্যন্ত বুকে পাথর রেখে ফ্রেডকে বেঞ্চে বসালেন স্কোলারি৷ ম্যাক্সওয়েল, পলিনহো, রামিরেজ ও উইলিয়ানকে প্রথম দলে আনলেন মার্সেলো, ফার্নান্দিনহো, হাল্ক ও বার্নার্ডকে বসিয়ে৷ ফ্রেডের জায়গায় এলেন জো৷ না তাতেও গোল এল না৷ বরং ছন্নছাড়া ফুটবল আর বিশ্বকাপের আসরে ১৪ গোল হজমের ভয়ঙ্কর স্মৃতি নিয়েই থামতে হল এই আনকোড়া ব্রাজিল দলকে৷

(ওএস/পি/জুলাই ১৩,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test