E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আর্জেন্টাইনদের কটাক্ষ করে নাচল জার্মানরা!

২০১৪ জুলাই ১৭ ১৩:৪২:৩৮
আর্জেন্টাইনদের কটাক্ষ করে নাচল জার্মানরা!

স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপজয়ী কয়েকজন ফুটবলারকে উদ্দেশ করে দেশটির একটি পত্রিকা লিখেছে ‘ফুটবলে শুধু যে বোকাই আছে তা নয়, বোকার হদ্দও আছে’।

জার্মানিতেই এখন তুমুল সমালোচিত মারিও গ্যোৎসেরা বিশ্বকাপ জয় করার পর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আর্জেন্টাইনদের কটাক্ষ করে নেচে৷ গ্যোৎসের গোলেই ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারায় জার্মানি৷ তারপর থেকে আরেকটি উপমাও যোগ হয়েছে নামের আগে, গ্যোৎসে এখন ‘ওয়ান্ডার বয়' গ্যোৎসে৷ তবে মঙ্গলবার বার্লিনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ‘ওয়ান্ডার বয়' এবং তাঁর আরো পাঁচ সতীর্থ যে কাণ্ড করেছেন তাকে জার্মান সংবাদ মাধ্যম মোটেই ভালোভাবে নেয়নি৷ তাঁদের নাচকে ‘কুরুচিপূর্ণ' বলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ফুটবলার হিসেবে তাঁদের বুদ্ধি নিয়ে উল্টো কটাক্ষই করেছে পত্রিকাগুলো৷

বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের পেছনে বিশাল মঞ্চে ৫ লাখ সমর্থকের সামনে নেচে-গেয়ে বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করার এক পর্যায়ে অদ্ভুত ভঙ্গিমায় কুঁজো হয়ে নেচে বেড়াতে দেখা যায় গ্যোৎসেসহ ছয় জার্মান ফুটবলারকে৷ কী নাচ ছিল সেটা? খেলোয়াড়রা তা-ও বলে দিয়েছেন৷ নাচতে নাচতে তাঁরা তখন গাইছিলেন, ‘‘এইভাবে গাউচোরা (আর্জেন্টাইনরা) হাঁটে, গাউচোরা হাঁটে ঠিক এইভাবে৷'' তারপরই লাফিয়ে নাচের ভঙ্গি বদলে ফেলেন তাঁরা৷ সোজা হয়ে নাচতে নাচতে তাঁরা তখন গাইতে থাকেন, ‘‘আর এভাবে জার্মানরা হাঁটে, জার্মানরা হাঁটে ঠিক এইভাবে৷'' উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পুরো পরিবেশনাটি নিছক বিনোদনই মনে হয়েছিল৷ তাই নাচ দেখে তাঁরা প্রাণ খুলে হেসেছেন আর হাত তালি দিয়ে উৎসাহ দিয়েছেন বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরা ফুটবলারদের৷

কিন্তু সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়াটা হয়েছে উল্টো৷ ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং গ্যোয়েৎসেদের সমালোচনা করে লিখেছে, ‘‘ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের কাছে বিজয় উদযাপনের অনুষ্ঠানটা জার্মানদের জন্য যেন এক আত্মঘাতী গোল৷ ফাইনালের প্রতিপক্ষকে ভাঁড়ের মতো কটাক্ষ করে ফুটবলাররা একটি মুক্তমনা, সহনশীল জাতিকেই খাটো করেছে৷''

টাগেসস্পিগেল গ্যোৎসেদের নাচকে ‘রুচিহীন' আখ্যা দিয়ে লিখেছে, এর মাধ্যমে ফুটবলাররা ব্রাজিলের মাঠে যে সুন্দর আচরণ দেখিয়ে সুনাম কুড়িয়েছিল তার অনেকটাই মাটি করে দিল৷ পত্রিকাটি জনসমক্ষে একটি জাতিকে কটাক্ষ করার মতো ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের সমালোচনা শেষ করেছে এভাবে, ‘‘জার্মানদের শালীনতাবোধের নিজস্ব অহংকারটাও গেল৷ তাঁদের কাছে নিজেদের আনন্দটাই যথেষ্ট ছিলনা, বোঝা গেল, দুঃখে নুয়ে পড়া প্রতিপক্ষের ওপর আরেকটু অত্যাচার চালানোর পরই শুধু তাঁদের আনন্দ পূর্ণতা পায়৷ জার্মানির বাইরের অনেক মানুষের মাথায় বিশ্বকাপের স্মৃতি হিসেবে এখন হয়তো এ ব্যাপারটাই থাকবে৷ এটাও হয়তো ঠিক যে এভাবে নেচে তাঁরা হয়তো বিশেষ কিছু বোঝাতে চাননি৷ কিন্তু তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন, ফুটবলে শুধু যে বোকাই আছে তা নয়, বোকার হদ্দও আছে৷ ''

(ওএস/পি/জুলাই ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test