E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অনাপত্তিপত্র পাচ্ছেন না সাকিব!

২০১৮ অক্টোবর ২৩ ১৯:৪০:০২
অনাপত্তিপত্র পাচ্ছেন না সাকিব!

স্পোর্টস ডেস্ক : আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে ২০১৯ সালের ৩০ মে। অর্থাৎ ৭ মাসেরও বেশি সময় বাকি। কিন্তু আশার কথা হলো এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। ক্রিকেটারদের ফিটনেস, ব্যাটিং-বোলিংয়ে নতুন নতুন ক্রিকেটার সংযোজন নিয়ে ইতোমধ্যেই বিস্তর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই সংস্থাটি। ঘরের মাঠে চলতি জিম্বাবুয়ে সিরিজে নতুন ক্রিকেটার সংযোজন, তরুণদের দলে ফিরিয়ে যার প্রমাণ তারা ইতোমধ্যেই রেখেছে।

অর্থাৎ শুধু খেলার জন্য খেলা নয় বরং বিশ্বকাপ শিরোপার দিকেই যে বিসিবি’র দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে চাচ্ছে। আর সেই বিশ্বকাপ পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাতের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার জন্য সাকিব আল হাসানকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) না দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যেহেতু বিশ্বকাপে শক্তিশালী দল গঠনে প্রতিটি খেলোয়াড়কে বিসিবি পূর্ণ ফিট দেখতে চাইছে এবং সাকিব দলের কি প্লেয়ার। তাছাড়া তার বাঁহাতের কণিষ্ঠার ক্ষত এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি।

তবে শুধুই যে সাকিব তা কিন্তু নয়। নিয়মিত টাইগার স্কোয়াডে থাকাদেরও হয়তো বিশ্বকাপের আগে কোন টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই খেলার অনুমতি মিলবে না।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে তেমনই আলামত দিলেন বিসিবির সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন।

‘সাকিবের অনাপত্তিপত্রের ব্যাপারে বোর্ড এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। আপনারা জানেন বাংলাদেশ ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে কম্প্যাক্ট শিডিউলের মধ্যে থাকছে। এখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলছি, এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসবে, জানুয়ারিতে বিপিএলের পর নিউজিল্যান্ড সফর রয়েছে। এরপর কয়েকদিনের বিশ্রামের পর আয়ারল্যান্ড থেকে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে ইংল্যান্ড যাবে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ শক্তিশালী দলই পাঠাতে চাচ্ছে। সেক্ষেত্রে যেসব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রয়েছে তাদের ফিটনেসের বিষয়টা আরও বেশি গুরুত্ব দিতে চাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, কণিষ্ঠার এই চোটই সাকিবকে এশিয়া কাপের শেষ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিলো। আঙুলের ইনফেকশন বেড়ে যাওয়ায় তরিৎ দেশে ফিরেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনদিন পর মেলবোর্নে গিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। সেখান থেকে চিকিৎসকের দেয়া পথ্য নিয়ে দেশে ফিরে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘এটা আসলে এমন একটা সমস্যা যেটার আসলে কোনো সময়-সীমা নাই। হতে পারে যে সামনের মাসেও খেলতে পারি। এখন আমার হাতে ব্যথা নেই। খুব ভালো অনুভব করছি।'

'গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার হাতের শক্তি কতক্ষণে ফিরে আসে। রিহ্যাবের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারে। যদি আসে তাহলে সামনের মাসেও খেলতে পারি। আবার রিহ্যাবের পর যদি ব্যথা অনুভব করি তাহলে আবার ওয়েট করতে হবে যে কখন সার্জারি করতে পারব।’

অর্থাৎ এখন তার পুনর্বাসন চলছে। যদিও ব্যথা এবং ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু ম্যাচ খেলতে গিয়ে যদি তা বেড়ে যায় তাহলে তো বিপদ। আঙুলে অস্ত্রোপচার না করিয়ে তিনি মাঠে নামতে পারবেন না। সেটা করতে গেলে তাকে নুন্যতম ৭ মাস মাঠের মাঠের বাইরে থাকতে হবে। কেননা তার অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৬ মাস। এরপর পুনর্বাসন শেষে মাঠে নামতে আরও নুন্যতম এক মাস। মানে আসন্ন বিশ্বকাপে তাকে দলে পাওয়া যাবে না।

(ওএস/অ/অক্টোবর ২৩, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test