E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রিয়ালেই রদ্রিগেজ

২০১৪ জুলাই ২২ ১০:৪৩:৩৪
রিয়ালেই রদ্রিগেজ

স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো আসরে যে খেলোয়াড় সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে জিতে নেন গোল্ডেন বুট। সেই খেলোয়াড়কে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন সেরা ক্লাব আগ্রহী হয়ে উঠবে; পরে ঠিকানা হবে তাদেরই কোনো একটিতে— এটিই স্বাভাবিক। শেষ পর্যন্ত গোল্ডেন বুটজয়ী কলম্বিয়ান তারকা রদ্রিগেজের ঠিকানা হয়েছে স্প্যানিশ লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদে। তার বাজার মূল্য উঠেছে ৮৮ মিলিয়ন ইউরো, যা মোনাকোর সঙ্গে সমঝোতা করেই রদ্রিগেজকে নিয়ে আসছে রিয়াল মাদ্রিদ।

টাকার মাপকাঠিতে রিয়ালের ইতিহাসে রদ্রিগেজ হতে চরেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ফুটবলার। তার চেয়ে বেশি টাকা ব্যয় করেছে রিয়াল মাদ্রিদ আয়ান বেল ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে আসতে। বেলের পিছনে রিয়ালের ব্যয় ছিল ১০০ মিলিয়ন ইউরো। রোনালদোর পিছনে ব্যয় করেছিল ৯৪ মিলিয়ন ইউরো।

গত সপ্তাহে মোনাকোর সঙ্গে রদ্রিগেজ প্রসঙ্গে সমঝোতায় আসতে পেরেছে রিয়াল। সোমবার রদ্রিগেজের সঙ্গে ব্যক্তিগত শর্তাবলী চূড়ান্ত করার পরেই বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছে। এ নিয়ে এবারের মৌসুমে দ্বিতীয় খেলোয়াড় দলে নিল রিয়াল। এর আগে বিশ্বকাপজয়ী জার্মান তারকা টনি ক্রুসকে বায়ার্ন মিউনিখ থেকে দলে নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই ক্লাবটি। রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবের সভাপতি ফ্লোরেনটিনো পেরেজে মৌসুম শুরুর আগেই খেলোয়াড় চুক্তিভুক্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ক্লাব ফুটবলের ইতিহসে রদ্রিগেজের এটি পঞ্চম ক্লাব। তার প্রথম ক্লাব ছিল স্বদেশের এনভিগাডো। ২০০৭-০৮ মৌসুমে ৩০ ম্যাচ খেলে তিনি নয় গোল করেছিলেন। তখতন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬। এরপর তিনি যোগ দেন আর্জেন্টিনার বেনফিল্ড ক্লাবে। ২০০৭ থেকে ২০১০ মৌসুম পর্যন্ত তিনি এ ক্লাবের হয়ে ৪২ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। গোল করেছিলেন কম পাঁচটি। এরপরই তিনি যোগ দেন পর্তুগালের অন্যতম সেরা ক্লাব পোর্তোয়। এখানেই তিনি নিজেকে বিকশিত করতে থাকেন। ২০১০ থেকে ২০১৩ মৌসুম কাটান এখানে। মাঠে নেমেছিলেন ৬৩ ম্যাচে। গোল করেছিলেন ২৫টি। পোর্তোয় তার নৈপুণ্য নজর কাড়ে মোনাকোর। মোনাকো বেশ চড়া মূল্যে তাকে কিনে নেয়। মোনাকোয় এক মৌসুমে ৩৪ ম্যাচে মাঠে নেমে গোল করেন নয়টি। তারপরই আসে বিশ্বকাপ। শুরু হয় তার আসল উত্থান পর্ব। একে একে ছয় গোল করে নেইমার, মেসি, রোনালদো, মুলারের মতো সেরা স্ট্রাইকারদের পিছনে ফেলে জিতে নেন গোল্ডেন বুট। আলোর প্রাদপ্রদীপে তিনি চলে আসেন। বিশ্বকাপ শেষ না হতেই তাকে নিয়ে শুরু আলোচনা। রিয়ালের পাশাপাশি ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডও আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তবে তা রিয়ালের মতো জোরেসোরে নয়। তাই শেষ পর্যন্ত রিয়ালেই নোঙর করেন তিনি। এদিকে আরেক তারকা ফুটবলার রদ্রিগেজেরই স্বদেশি ফ্যালকাওয়ের প্রতিও আগ্রহ আছে রিয়ালের। বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। বর্তমানে লিগামেন্ট ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে থাকা ফ্যালকাওয়ের দলবদল অনেকটাই মেডিক্যাল রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে। তবে রদ্রিগেজ চলে আসাতে বেল-রোনালদোর সমন্বয়ে রিয়ালের আক্রমণ ভাগ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। ২৩ বছর বয়সী এই তারকার আগমনে সানতিয়াগো বার্নাব্যুতে হয়তবা ইসকো অধ্যায় শেষ হতে যাচ্ছে। তাকে বিক্রি করে দেবে রিয়াল। ইসকোকে দলে নিতে অবশ্য লিভারপুল ও ম্যানচেষ্টার সিটি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গতবার আয়ান বেলকে দলে নিতে রিয়াল এমনি করে বিক্রি করে দিয়েছিল দলের অন্যতম খেলোয়াড় মেসুদ ওজিলকে। রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেনটিনো পেরেজে এ বছর আরও কয়েক খেলোয়াড়কে দলে ভেড়াতে আগ্রহী। তালিকায় ফ্যালকাও ছাড়ও আছেন জামার্নির খাদিরা। ইতিমধ্যে তারা ক্রসকে দলে ভিড়িয়েছে। এ খেলোয়াড়দের ব্যয় মেটাতে রিয়াল মাদ্রিদ ইসকোসহ তিন খেলোয়াড়কে বিক্রি করার সিন্ধন্ত নিয়েছে। এদিকে রিয়ালের ডি মারিয়ার দিকে আবার নজর আছে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ২২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test