E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কমনওয়েলথ গেমসের কিছু সেরা মুহূর্ত

২০১৪ আগস্ট ০৫ ১৬:৫৯:২৯
কমনওয়েলথ গেমসের কিছু সেরা মুহূর্ত

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : পাঁচটি মজার ঘটনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন সভাপতির হাস্যকর কাণ্ড এবং ছোট্ট দ্বীপদেশ কিরিবাতির এক ভারোত্তোলকের ‘নায়ক’ হয়ে ওঠাসহ। গ্লাসগোয় ভারত ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলোর অবস্থা খুব খারাপ।

তবে নিজেদের ব্যর্থতা স্বত্ত্বেও এবারের কমনওয়েলথ গেমসকে নিশ্চয়ই মনে রাখবেন ৭১টি দেশের সব প্রতিযোগী। আসরে মনে রাখার মতো ঘটনা কিন্তু কম ঘটেনি! সেরকম কিছু ঘটনা থেকেই সেরা পাঁচ বেছে নিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। যা তুলে ধরা হলো :

সবাই উগান্ডার পক্ষে : রাগবি সেভেনে এবার সোনা জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু দুই দিনের এ ইভেন্টে দর্শকরা সবচেয়ে বেশি উৎসাহ জুগিয়েছেন প্রত্যেকটি ম্যাচে গো-হারা হারা উগান্ডাকে। আফ্রিকার এই দেশটির খেলোয়াড়দের প্রেরণা জোগাতে দর্শকরা সারাক্ষণ ‘উগান্ডা’, ‘উগান্ডা’ বলে চেঁচিয়েছেন।

কমনওয়েলথ গেমস আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান লর্ড স্মিথ বললেন, ‘উগান্ডা প্রায় প্রতি মুহূর্তেই নাস্তানাবুদ হচ্ছিল, অথচ গ্যালারির প্রায় সবাই ‘উগান্ডা’, ‘উগান্ডা’ বলে চিৎকার করছিল।’

ইউসেইন বোল্টের নাচ : পুরুষদের ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টের বিশ্বরেকর্ডধারী জ্যামাইকান অ্যাথলেট ইউসেইন বোল্ট কমনওয়েলথ গেমসে এবারই প্রথম অংশ নিলেন। চোটের কারণে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ না নিয়ে নেমেছিলেন শুধু ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে।

তার আকর্ষণে আসর শুরুর আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল এ ইভেন্টের সব টিকিট। কিন্তু পদক জয়ের দৌঁড় শুরুর দিনে গ্লাসগোয় শুরু হলো মুষলধারে বৃষ্টি। তারপরও হ্যাম্পডেন পার্কের গ্যালারির একটা আসনও শুন্য ছিল না। উপস্থিত দর্শকদের তুমুল করতালির মধ্যে প্রত্যাশিতভাবেই সোনা জিতে নেন বোল্ট।

তবে কারো কারো কাছে বেশি স্মরণীয় হয়ে থাকবে দৌঁড় শুরুর আগের কয়েক মিনিট। অন্যান্য প্রতিযোগীর মতো বোল্ট তখন গতানুগতিক নিয়ম মেনে ‘ওয়ার্মআপ’ করেননি। গা গরম করতে স্কটিশ ব্যান্ড ‘দ্য প্রোকেইমারস’-এর গান ‘আ অ্যাম গনা বি’-র সুরে সুরে নেচে বেড়িয়েছেন ট্র্যাকে!

‘ব্রেভহার্ট’ ওয়ালেস : ১৯টি সোনা জিতে পদক প্রাপ্তিতে চতুর্থ হয়ে এবার তাক লাগিয়ে দিয়েছে আয়োজক স্কটল্যান্ড। স্বাগতিকদের হয়ে সবচেয়ে বেশি পদক জিতেছেন ড্যান ওয়ালেস। একটি সোনা এবং দুটি রূপা জেতা এই সাঁতারু সবার নজর কাড়েন ৪০০ মিটার ইন্ডিভিজুয়েল মিডলের সোনা জিতে। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ‘ফ্রিডম’ বলে চিৎকার করে ওঠেন ড্যান। সেই থেকে তার ডাকনাম হয়ে গেছে ‘ব্রেভহার্ট’।

ব্যাটন হাতে ‘নাকাল’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তটিই সম্ভবত এ আসরের সবচেয়ে হাস্যকর স্মৃতি হয়ে থাকবে সবার কাছে। ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের হাতে কমনওয়েলথ গেমসের বাণী মোড়ানো ব্যাটন তুলে দিতে গিয়ে কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্রিন্স টুংকু ইমরানের কী যে অবস্থা হয়েছিল!

শত চেষ্টা করেও ভেতর থেকে লিখিত বাণী বের করতে পারছিলেন না। অবশেষে বাধ্য হয়ে স্কটল্যান্ডের কিংবদন্তী ক্রীড়াবিদ ক্রিস হয়-এর সহায়তা চনা প্রিন্স ইমরান। ছয়টি অলিম্পিক সোনা জেতা ক্রিস হয় না থাকলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যে আরো কতক্ষণ থমকে থাকতো কে জানে।

শাবাশ কাটোয়াটাউ!
এক হিসেবে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসের সেরা তারকা কিন্তু ইউসেইন বোল্ট নন, সেই মর্যাদা দেয়া উচিত ডেভিড কাটোয়াটাউকে। প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপদেশ কিরিবাতির এই প্রতিযোগী পদক জয়ের মহিমা এবং উদযাপনে বোল্টকেও ছাড়িয়ে গেছেন। দেশের ইতিহাসে প্রথম সোনাটি এসেছে তার হাত ধরে।

তাই ২০০ কেজি ‘কিন অ্যান্ড জার্ক’ ক্যাটেগরির সোনা জেতার পর কাটোয়াটাউ সত্যি সত্যিই আনন্দে ভাসছিলেন। এত ওজন তোলার পর ভারোত্তোলকরা সাধারণত হাত তুলে উল্লাস প্রকাশ করার পর ক্লান্ত পায়ে মঞ্চ ছাড়েন। কিন্তু কাটোয়াটাউ ইতিহাসে নাম লেখানোর আনন্দে মঞ্চ ছাড়ার সময়টায় শুধু নেচেছেন।

(ওএস/পি/অাগস্ট ০৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test