E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ওয়ার্নারের ক্যারিয়ার থামিয়ে দিতে পারে করোনার বিধিনিষেধ

২০২০ জুলাই ২৮ ১৫:৫২:১৬
ওয়ার্নারের ক্যারিয়ার থামিয়ে দিতে পারে করোনার বিধিনিষেধ

স্পোর্টস ডেস্ক : করোনাভাইরাসের লকডাউনের সময়টা টিকটক ভিডিও করে ভক্ত-সমর্থকদের বিষণ্ণ সময়টা মাতিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি একা নন, স্ত্রী ও মেয়েদের নিয়ে করেছেন এসব মজাদার ভিডিও। যা পেয়েছে বেশ দর্শকপ্রিয়তা।

পরিবারের সঙ্গে ওয়ার্নারের এমন সুসম্পর্কের কথা সবারই জানা। যেখানেই খেলতে যান ওয়ার্নার, সেখানেই তার সঙ্গী স্ত্রী ও কন্যারা। কখনও কখনও ক্রিকেট মাঠেও নিয়ে যান নিজেদের মেয়েদের। এক কথায় নিজের পরিবারের জন্য টান-ভালোবাসা অনেক বেশি ওয়ার্নারের।

কিন্তু করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধের কারণে আসন্ন সিরিজগুলোতে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েই খেলতে হবে ওয়ার্নারকে। কেননা এখন করোনাকালীন ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের নিয়ে যে বায়ো সিকিউর বাবল তৈরি করা হয় সেখানে পরিবারের সদস্যদের আসার সুযোগ নেই।

যে কারণে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা ইংল্যান্ড সফরে পরিবারের সদস্যদের নিতে পারেননি। আবার দুই ম্যাচের মাঝে নিজের বাড়িতে গিয়ে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ইংল্যান্ডের পেসার জোফরা। পরিবারের বিষয়ে এমন বিধিনিষেধ সহজভাবে নিচ্ছেন না ওয়ার্নার।

সামনের দিনগুলোতে অনেক খেলার রয়েছে অস্ট্রেলিয়া তথা ওয়ার্নারের। প্রথমে ইংল্যান্ড সফর, পরে আরব আমিরাতে আইপিএল এবং ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজ। এগুলোর পরে নতুন বছরে আরও খেলা। এসবের কারণে লম্বা সময় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে খেলোয়াড়দের।

যা মানতে পারছেন না ওয়ার্নার। প্রয়োজনে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেবেন এ বাঁহাতি ওপেনার, তবু পরিবারের বিষয়ে কোনো ছাড় দিতে রাজি নন তিনি। এছাড়া বয়সও যেহেতু ৩৩ হয়ে গেছে, তাই করোনাকালীন ক্রিকেট চালিয়ে নেয়ার জন্য যেকোন এক ফরম্যাট থেকে অবসরও নিয়ে ফেলতে পারেন ওয়ার্নার।

ক্রিকইনফোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই আমার তিন মেয়ে ও স্ত্রীর কথা ভাবতে হবে। তাদের প্রতি আমার অনেক দায়বদ্ধতা আছে। আমার খেলোয়াড়ি জীবনের অনেক বড় অংশ তারা। আপনাকে অবশ্যই সবসময় নিজের পরিবারের কথা আগে ভাবতে হবে। ক্রিকেট এবং এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সময়ে আপনাকে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এ মুহূর্তে আমি পরিবারের কথা ভাববো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখন অস্ট্রেলিয়ায় নেই, এখানে থাকলে খেলাটা সহজ হতো। কিন্তু এটি পিছিয়ে গেছে। আমাকে এখন ভারতে যখন এটি হবে, সে ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে হবে।’

‘আমাকে দেখতে হবে আমি নিজ কোন অবস্থায় আছি এবং আমার মেয়েদের স্কুলের খবর কী। আমার যেকোনো সিদ্ধান্তের বড় একটা অংশ ওরা। বিষয়টা এমন না যে কবে খেলা কিংবা কতদিন ধরে খেলা। আমার জন্য এটা অনেক বড় পারিবারিক সিদ্ধান্ত।’

‘প্রায় সময়ই দেখা যায় সফরে গেলে পরিবারের কথা অনেক মনে পড়ে। কিন্তু এখন এসব বায়োসিকিউরিটির বিষয় যেহেতু রয়েছে, আমরা নিজেদের পরিবার নিয়ে সবখানে যেতে পারব না। অদূর ভবিষ্যতে আমি এর কোনো সম্ভাবনাই দেখছি না।’

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৮, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test