E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জাতীয় লিগের সময় দেশের বাইরে নির্বাচকরা!

২০১৪ এপ্রিল ১৯ ১৭:৪৯:৩৪
জাতীয় লিগের সময় দেশের বাইরে নির্বাচকরা!

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : জাতীয় ক্রিকেট দলের তিন নির্বাচকের কারোরই বাধা নেই বিদেশ যাওয়ায়। সাধারণ নিয়মে বছরে ৩০ দিন ছুটি পাওনাও আছে তাদের। কিন্তু ছুটি কাটানোর জন্য যে সময় বেছে নিচ্ছেন, তা নিয়েই ঘোরতর আপত্তি বোর্ডের।

যেমন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডের পরপরই ভারতে সেলিব্রিটি ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলেন ফারুক আহমেদ ও হাবিবুল বাশার। বিশ্ব টি-টোয়েন্টির পর পর থাইল্যান্ডে এক সপ্তাহ কাটিয়ে আসেন ফারুক ও মিনহাজুল আবেদীন। আর সবশেষ দুই সপ্তাহের ছুটি নিয়ে এখন কানাডায় ব্যক্তিগত সফরে রয়েছেন প্রধান নির্বাচক ও হাবিবুল। অথচ আজই মাঠে গড়িয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ পর্ব, যে ম্যাচে উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচকদের। তাদের ফেরার কথা রয়েছে ১ মে, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের চূড়ান্ত পর্বের শেষ দিনে।


নির্বাচকদের ভারত ও থাইল্যান্ড ভ্রমণের উদ্দেশ্য ছিল শৌখিন ক্রিকেট। আর দুজন এখন কানাডায় গেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে। দেশের ক্রিকেট নিয়ে যখন সবাই উদ্বিগ্ন, তখন নির্বাচকদের এ বিলাসভ্রমণের যৌক্তিকতার বিষয়টি ‘বিবেকে’র ওপর ছেড়ে দিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান, ‘এটা আসলে যার যার বিবেকের ব্যাপার।’ বাইরের কারো বিবেক নিয়ে বিসিবির বিচলিত হওয়ার ‘অধিকার’ নেই, কিন্তু বেতনভুক্তদের ‘বিবেক’ তো নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়! এবার কিছুটা প্রকাশ্য আকরাম খান, ‘উনাদের (নির্বাচক কমিটি) সঙ্গে আলোচনা করে পরিষ্কার একটি গাইডলাইন তৈরি করা হবে।’


শুধু ব্যক্তিগত কারণে বিদেশই যান না, ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচে যাওয়ার ব্যাপারটাকেও নিজেদের মর্জিমাফিক করে ফেলার অভিযোগ রয়েছে নির্বাচকদের বিপক্ষে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের দলও গড়ে এ নির্বাচক কমিটি। তবু বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপে মেয়েদের খেলা দেখতে সিলেটে না গিয়ে নির্বাচকদের ঢাকায় থেকে যাওয়াটা ভালোভাবে নেয়নি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি। ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচে দেরিতে যাওয়া এবং আগে চলে আসাটাও অনিয়মিত নয়। অথচ দেশের শীর্ষ ক্রিকেটারের সমান মাসিক বেতনের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে যাওয়ার জন্য দৈনিক ভাতা দেওয়া হয় নির্বাচকদের, যা প্রথম শ্রেণীর মানের।

(ওএস/পি/এপ্রিল১৯,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test