E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আজমলের মনোবল দৃঢ় রাখতে হবে : মুরালিধরন

২০১৪ সেপ্টেম্বর ২০ ১৬:৩১:২২
আজমলের মনোবল দৃঢ় রাখতে হবে : মুরালিধরন

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : সম্প্রতি পাকিস্তানী স্পিনার সাঈদ আজমলকে সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে আইসিসি অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। টেস্ট ক্রিকেটে সবেচেয়ে বেশি উইকেটশিকারী শ্রীলংকার মুত্তিয়া মুরালিধরন প্রায় ২০ বছর আগে ঠিক এমনই পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন। সে সময়ের তরুণ মুরালি কেবল সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলা শুরুর প্রাক্কালেই এমন ধাক্কা খেয়েছিলেন।

দলের অস্ট্রেলিয়া সফরে বার বার এই স্পিনারকে ‘চাকার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল। যা তার দেশ মোটেই ভালো চোখে নেয়নি। পুরো সিরিজেই মুরালিকে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে এবং ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জয়ের পর পুরো দলই মুরালির পাশে দাঁড়ায়।

নিজের বোলিং অ্যাকশনের জন্য বার বার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন মুরলি। কিন্তু প্রতিবারই তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এমনকি ‘দুসরা’র কারণে ২০০৪ সালে তাকে নিষিদ্ধও করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তাই মুরালির কাছ থেকে আজমল অবশ্যই শিক্ষা নিতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তান গ্রেট জাভেদ মিঁয়াদাদ ।

মুরালির মতে, এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসা নির্ভর করছে আজমলের নিজের উপর। কেননা এই কঠিন অবস্থা সে কিভাবে মোকাবেলা করবে তার উপর।

ভারতীয় পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে মুরলিধরন বলেন, ‘তিনি এটা কিভাবে মোকাবেলা করবে কিংবা করা উচিত সেটা বলা কঠিন। কারণ এটা নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিত্বের ওপর, হতে পারে দীর্ঘ সময় আপনাকে একাই এটা মোকাবেলা করতে হতে পারে এবং মোকাবেলা করার জন্য আপনি মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী তার ওপর। মানসিকভাবে শক্তিশালী হলে আপনি ঘুরে দাঁড়াবেন, দুর্বল হলে আপনি শেষ।’

টেস্ট ক্রিকেটে ৮০০ উইকেট শিকারি লংকান এ গ্রেট মনে করছেন- এই কঠিন অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসতে আজমলের সব চেয়ে ভাল পথ হলো, ‘তিনি কোনো ভুল করছেন না’ এটা জনগণকে বোঝানো।

পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়া দলের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করা মুরলি বলেন, ‘আমার বেলায়, প্রথমবার যখন আমার বিরুদ্ধে চাকিংয়ের অভিযোগ আনা হলো স্বাভাবিকভাবেই আমি তখন বেশ ভেঙে পড়েছিলাম। সবকিছুর পর আপনি তো একজন মানুষ। তবে নিজের ওপর আমার বিশ্বাস ছিল। আমি কোনো অন্যায় করিনি- আমি সেটা প্রমাণ করতে চেয়েছি। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে এটা পরিষ্কার করতে আমার ছয় থেকে সাতটি টেস্ট সময় লেগেছে। একবার যদি সে নিজকে সঠিক প্রমাণ করতে পারে এবং বোলিং করার সময় তার হাত ১৫ ডিগ্রির কম বাকে, তাহলে সে আবারো বোলিং করতে পারবে।’ আজমলকে মানসিকভাবে শক্ত থাকার আহ্বান জানান সাবেক লঙ্কান গ্রেট মুত্তিয়া মুরালিধরন।

(ওএস/পি/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test