E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফুটবলে নৈতিকতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ : ব্লাটার

২০১৪ সেপ্টেম্বর ২০ ১৬:৩৬:০৫
ফুটবলে নৈতিকতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ : ব্লাটার

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : খোদ ফিফার প্রধান সেপ ব্লাটার ডোপিং, ম্যাচ ফিক্সিংসহ নানা দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ফিফা সংস্কারের মাধ্যমে নৈতিকতার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন।

নিন্দুকেরা বলেন, খেলাধুলার জগতে আজকাল ‘এথিক্স’ বা নৈতিকতা নিয়ে কেউ আর তেমন মাথা ঘামায় না। টাকার জোরেই সব কিছু হাসিল করা যায়। ডোপিং, ম্যাচ ফিক্সিং ইত্যাদি দুর্নীতির নানা দৃষ্টান্ত এই ধারণাকে আরো জোরদার করে। অথচ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে কমিটি গঠন সহ নানা পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে।

ফুটবল জগতেও দুর্নীতির ঘটনা বিরল নয়। এমনকি খোদ ফিফার মধ্যেই বারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠে চলেছে। সেই আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান সেপ ব্লাটার শুক্রবার দাবি করলেন, যে ফিফা অন্য যে কোনো ক্রীড়া সংগঠনের তুলনায় নৈতিক মানদণ্ডের বিষয়টিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়। এমনকি একে দৃষ্টান্তমূলক হিসেবেও তুলে ধরেন তিনি। ক্রীড়াক্ষেত্রে নৈতিকতা সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সেপ ব্লাটার অনেকের কাছেই বিতর্কিত এক কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও তার আমলে ক্ষমতা ও অর্থের গুরুত্ব নিয়ে অনেক প্রশ্ন ওঠে।

ব্লাটার পরোক্ষভাবে অতীতের দুর্বলতা মেনে নিয়ে বলেন, সংস্কারের মাধ্যমে ফিফা এক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছে। দুটি চেম্বার গঠন করা হয়েছে, যার সভাপতিও নিরপেক্ষ। এমনকি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বা আইওসি’রও এমন কাঠামো নেই, বলেন ব্লাটার।

তিনি আরো মনে করিয়ে দেন, ২০১১ সাল থেকে ফিফার দুই এথিক্স চেম্বার প্রকৃত অর্থেই স্বাধীন। কংগ্রেস সরাসরি তাদের নির্বাচিত করে। প্রথম চেম্বার অভিযোগের তদন্ত করে, দ্বিতীয়টি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়।

ব্লাটার অবশ্য স্বীকার করেন যে, গোটা বিশ্বে ফুটবল যে মাত্রা লাভ করেছে, তার ফলে সবদিকে নজর রাখা কঠিন। ২০৯টি জাতীয় ফুটবল ফেডারেশন, প্রায় ৩০ কোটি সক্রিয় সদস্য, খেলোয়াড়, কোচ, তাদের পরিবার-সব মিলিয়ে প্রায় ১২০ কোটি মানুষ ফুটবলের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ, বলেন ব্লাটার।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে ফিফার একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজনের শাস্তি হয়েছে, বাকিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এমনকি ২০১১ সালে ফিফার শীর্ষ পদের প্রতিদ্বন্দ্বি মহম্মদ বিন হামামকে চিরকালের জন্য ফিফা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।

বর্তমানে ফিফার এথিক্স কমিটি ২০১৮ ও ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজক বাছাইয়ের বিষয়টি তদন্ত করছে। যথাক্রমে রাশিয়া ও কাতার এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে।

(ওএস/পি/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test