E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাতার বিশ্বকাপে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক করলেই সাত বছরের জেল!

২০২২ জুন ২১ ১৫:৪৯:০৯
কাতার বিশ্বকাপে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক করলেই সাত বছরের জেল!

স্পোর্টস ডেস্ক : ইউরোপ-আমেরিকার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদই দিলো কাতার প্রশাসন। সাধারণত খেলাধুলাকে ঘিরে পার্টি ও অবাধ মেলামেশা করে থাকেন ইউরোপ বা আমেরিকার ক্রীড়ামোদিরা। কিন্তু আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে এসব বিষয়ে ভীষণ সতর্ক থাকতে হবে দর্শকদের।

রাশিয়া, ব্রাজিল বা দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া বিশ্বকাপের শেষ আসরগুলোতে মাঠের খেলা উপভোগের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও উদ্দাম জীবন উদযাপন করতে পেরেছেন দেশ-বিদেশের দর্শকরা। তবে ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া কাতার বিশ্বকাপে থাকছে না সেই সুযোগ।

এরই মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কাতারের রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী বিশ্বকাপ দেখতে গিয়ে কেউ যদি বিবাহ-বহিভূর্ত সম্পর্কে জড়ায় তাহলে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে সাত বছরের জেল পর্যন্ত দেওয়া হবে। এমনকি অ্যালকোহল পার্টির ব্যাপারেও সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির পুলিশ।

ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমে ডেইলি স্টারে পুলিশের এক সূত্র বলেছেন, ‘আপনি যদি স্বামী-স্ত্রী হিসেবে না আসেন, তাহলে আপনার জন্য শারীরিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ। এই টুর্নামেন্টে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড (টাকার বিনিময় যৌন সম্পর্ক) একদমই করা যাবে না।’

সেই সূত্র আরও বলেছে, ‘এই বিশ্বকাপে তেমন পার্টিও করা যাবে না। সবাইকে এ বিষয়টি নিজেদের মাথায় রাখতে হবে। অন্যথায় নিজেদের জেলে দেখার প্রস্তুতিও নিতে হবে। এ বছরের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো আবশ্যিকভাবে যৌন মিলন নিষিদ্ধ করা হবে। দর্শকদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

শুধু বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কই নয়, কাতারে সমকামিতাও নিষিদ্ধ। তাই বিশ্বকাপে সমকামি বা রুপান্তরকামিদের স্বাগত জানাতে রাজি নয় কাতার প্রশাসন। এরই মধ্যে সমকামি বা রুপান্তরকামিদের কাছে হোটেল রুম ভাড়া দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে তারা।

এবারের বিশ্বকাপে সমর্থকদের সতর্ক করে দেওয়া এক বিবৃতিতে কাতার ফুটবল সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানসুর আল আনসারি বলেছেন, ‘কাতার খুব রক্ষণশীল দেশ। এখানে অনেক কিছুই সম্ভব নয়। সমকামিতা নিয়ে আপনি আপনার মতাদর্শ যদি প্রকাশ করতে চান, তাহলে সেটা এমন জায়গায় দেখান, যেখানে এটা আইনসিদ্ধ।’

(ওএস/এসপি/জুন ২১, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test