E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

জন্মদিনে ১৫ হাজারের কীর্তি তামিমের

২০২৩ মার্চ ২০ ১৭:১৯:৫৬
জন্মদিনে ১৫ হাজারের কীর্তি তামিমের

স্পোর্টস ডেস্ক : ১০ হাজার, ১২ হাজার, ১৫ হাজার- সংখ্যাগুলো কেবল এক সময় দেখা যেতো শচিন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারাদের নামের পাশেই। এরপর সেখানে একে একে যুক্ত হতে থাকে রিকি পন্টিং, রাহুল দ্রাবিড়, সনাৎ জয়সুরিয়া, কুমারা সাঙ্গাকারা কিংবা বিরাট কোহলিসহ বিশ্বের সেরা সেরা ব্যাটারদের নাম। গর্বিত সেই ক্লাবে এবার যুক্ত হলেন বাংলাদেশের এক ক্রিকেটার। তিনি তামিম ইকবাল খান।

সেটাও আবার শুভদিনে। আজ ২০ মার্চ তামিম ৩৫ বছরে পা রেখেছেন। এমন দিনে ১৫ হাজারের গর্বিত ক্লাবে ঢুকলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ওপেনার।

ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিন ফরম্যাটে সব মিলিয়ে তামিম খেলেছেন ৩৮৩ ম্যাচ (টেস্ট ৬৯, ওয়ানডে ২৩৬ এবং টি-টোয়েন্টিতে ৭৮ ম্যাচ)।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছার জন্য তামিম ইকবালের প্রয়োজন ছিল কেবল ১৪ রান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচে ব্যাট করতে নামার সময় তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছিলো ১৪ হাজার ৯৮৬ রান। যার মধ্যে টেস্টে তিনি করেছেন ৫ হাজার ৮২ রান, ওয়ানডেতে ৮১৪৬ রান এবং টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১৭৫৮ রান।

আইরিশদের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে তামিমই ছিলেন কিছুটা মারমুখি। তবে ম্যাচের ৯ম ওভারে মার্ক অ্যাডেয়ারের কাছ থেকে ২ রান নিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ১৫ হাজার রানের গর্বিত মালিক হয়ে গেলেন তামিম ইকবাল। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ২৩ রান করে রানআউট হয়ে যান তিনি।

প্রথম বাংলদেশি ক্রিকেটার হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের আগে আরও ৩৯জন ব্যাটার ১৫ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেছেন। তামিম ইকবাল হলেন ৪০তম ক্রিকেটার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব মিলিয়ে ২৫টি সেঞ্চুরি রয়েছে তামিমের। হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে ৯৩টি। টেস্ট অভিষেক হয়েছে তার ২০০৮ সালে, ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে ২০০৭ সালে এবং টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে ২০০৭ সালে। এখনও পর্যন্ত ৬৯টি টেস্টে ব্যাট করেছেন ১৩২ ইনিংস, ২৩৬ ওয়ানডেতে ব্যাট করেছেন ২৩৪ ইনিংস এবং ৭৮ টি-েটোয়েন্টিতে ব্যাট করেছেন ৭৮ ইনিংসে।

এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন তামিম ইকবাল। না হয়, আরও অনেক আগেই ১৫ হাজারের মাইলফলক পার করে ফেলতে পারতেন তিনি।

তামিমের পর বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী মুশফিকুর রহিম। তার রান ১৩ হাজার ৭৬৬। টেস্টে করেছেন ৫৩২১, ওয়ানডেতে ৬ হাজার ৯৪৫ (চলতি ম্যাচ বাদে) এবং টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১৫০০ রান। মুশফিকও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন।

সাকিব আল হাসান রয়েছেন মুশফিকের পরই। তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে (চলতি ম্যাচ বাদে) ১৩ হাজার ৭১৭ রান। টেস্টে ৪ হাজার ৩৬৭, ওয়ানডেতে ৭ হাজার ৬৯ এবং টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার ২৮১ রান করেছেন সাকিব।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২০, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test