E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘শেষ তিন ম্যাচ জিতে প্লে-অফে খেলতে চাই’

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১৫ ১৭:৩৯:৫২
‘শেষ তিন ম্যাচ জিতে প্লে-অফে খেলতে চাই’

স্পোর্টস ডেস্ক : অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন দীর্ঘক্ষণ ধরে নেটে ব্যাটিং করে গেলেন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের বাইরের অংশে অনুশীলন করছিলো সিলেট স্ট্রাইকার।

পাশাপাশি দুটি নেটে ব্যাট করছিলেন মিঠুন আর শামসুর রহমান শুভ। একটিতে বোলিং করছিলেন নাজমুল ইসলাম, সামিত প্যাটেলসহ স্পিনাররা। অন্যটিতে বল করতে দেখা যায় রেজাউর রহমান রাজাসহ পেসারদের। মিঠুন এবং শুভ বারবার নেট পরিবর্তন করে স্পিনার এবং পেসারদের বিপক্ষে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করছেন।

অনুশীলনে বেশ সিরিয়াস দেখা গেলো সিলেট স্ট্রাইকার্স অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনসহ অন্যসব ক্রিকেটারদের। বিদেশি ক্রিকেটার বেনি হাওয়েল, সামিত প্যাটেলরাও বেশ ঘাম ঝরাচ্ছিলেন নেটে। শেষ চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জয় পাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্সের মধ্যে মরা ভাব কাটিয়ে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। সবার মধ্যে অন্যরকম অনুপ্রেরণা দেখা যাচ্ছে।

এর কারণও আছে। সিলেট যদি শেষ তিনটি ম্যাচ জিততে পারে, তাহলে বিপিএলের প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনাও থাকবে। সে কারণে সিলেটের ক্রিকেটাররাও মরিয়া। যে করেই হোক, শেষ দিকে জ্বলে ওঠা সম্ভাবনার বাতিটা যেন জ্বালিয়ে রাখা যায়।

সিলেটের অনুশীলন চলার মাঝেই মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন দলটির কোচ রাজিন সালেহ। তখন, তিনি দৃঢ়তার সঙ্গেই জানিয়ে দেন, তাদের এখন একমাত্র লক্ষ্য শেষ তিন ম্যাচ যে করেই হোক যেন জিততে পারেন। তাহলে প্লে-অফে খেলার জোর সম্ভাবনা টিকে থাকবে।

রাজিন সালেহ বলেন, ‘আমরা তো আসলে তিনটা ম্যাচ জিতেছি। এখনও আশায় আছি। বাকি তিন ম্যাচে জয়ের জন্যই খেলতে নামবো। আমাদের প্রথম টার্গেটই হল, কোয়ালিফাই করা (প্লে-অফে)। যেহেতু প্রথম দিকে কিছু ম্যাচ আমরা জিততে পারিনি, পিছিয়ে গিয়েছিলাম। এ জন্য হয়তোবা আমাদের জন্য কষ্ট হয়ে গেছে, কামব্যাক করার। তবে এখনও তিনটা ম্যাচ আছে। এখনও আশা করি যে, আমরা যদি এই তিনটা ম্যাচ জিততে পারি, তাহলে হয়তোবা কোয়ালিফাই করবো।’

শুরুতে টানা এতগুলো ম্যাচ কেন হারলো সিলেট? কোথায় ঘাটতি ছিল আপনাদের? কেন পারেননি আপনারা? রাজিন সালেহ বলেন, ‘দেখুন, এটা তো টি-টোয়েন্টি খেলা। এই খেলাতে মোমেন্টামটা একটা খুব জরুরি বিষয়। শুরুতে আমরা মোমেন্টামটা ধরতে পারিনি। আপনি যদি দেখেন, বেশিরভাগ ম্যাচে আমাদের টপ অর্ডাররা ব্যর্থ হয়েছিলো। এ জায়গাতেই আমরা আসলে পিছিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা এখন একটু থিতু হতে পেরেছি। আপনারা দেখবেন, শেষ তিনটা ম্যাচে ব্যাটাররা একটু ভালো খেলেছে, এ কারণে আমরা ওই তিনটা ম্যাচ জিততে পেরেছি।’

তাওহিদ হৃদয় গত বছর ছিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের ক্রিকেটার। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও করেছিলেন তখন। এবার তিনি খেলছেন কুমিল্লার হয়ে। মিরপুরে শেষ দিকে সেঞ্চুরি করেছেন। চট্টগ্রামে বুধবার খুলনার বিপক্ষে খেলেছেন, অপরাজিত ৯১ রান। এমন এক ক্রিকেটারকে মিস করছে কিনা সিলেট স্ট্রাইকার্স?

জবাবে রাজিন সালেহ বলেন, ‘তাওহিদ হৃদয়কে সবসময় অভিবাদন। ও ভালো খেলছে। আমাদের দলে সবসময় ওকে মিস করি। সে অবশ্যই ভালো খেলোয়াড় এবং সে আরও এগিয়ে যাক ও আরো ভালো খেলুক। বাংলাদেশ টিমকে আরও ভালো সার্ভিস দিক, এটা সব সময়ই চাই। ’

চট্টগ্রামের উইকেটে শুরু থেকে ২০০ প্লাস স্কোর হচ্ছে। সে হিসেবে, সিলেট স্ট্রাইকার্সের দলীয় লক্ষ্য কী হবে? দলটির প্রত্যাশা এবং সে হিসেবে কী সম্ভাবনা আছে?

জবাবে রাজিন সালেহ বলেন, ‘ক্রিকেটটা ভাই রানের খেলা। সত্যি কথা আমাদের ব্যাটারদের রান করতে হবে। আমার আশা থাকবে আমাদের ব্যাটাররা রান করবে। আাপনি যদি বড় রান করে দেন, যে কোনো দলের জন্যই হোক, এটা সবসময়ই প্রেসার। আমাদের টার্গেট থাকবে, আমরা যেন রান করতে পারি। ব্যাটাররা যেন রানে ফিরে আসতে পারে।’

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test