E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাফ জয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলকে সংবর্ধনা দিলো ওয়ালটন

২০২৪ মার্চ ১২ ১৮:২৩:২০
সাফ জয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলকে সংবর্ধনা দিলো ওয়ালটন

স্পোর্টস ডেস্ক : গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে যৌথভাবে ‘সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’ এর শিরোপা জিতে বাংলাদেশ। সাফ জয়ী সেই নারী ফুটবল দলকে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিশেষ সংবর্ধনা দিয়েছে ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাসহ মোট ৩৩ সদস্যের দলের প্রত্যেককে একটি করে ওয়ালটনের ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি উপহার দেওয়া হয়।

দুপুরে বাফুফে ভবনে খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন ও বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। এ সময় বাফুফের অন্যান্য কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন।

ঈদের আগে ওয়ালটনের প্রতিশ্রুত ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি উপহার পেয়ে সাফ জয়ী বাংলাদেশ ফুটবল দলের সবাই বেশ খুশি হন। বিশেষ করে কিশোরী ফুটবলাররা। তাদের চোখে-মুখে সেই খুশির ঝিলিক দেখা যায়।

উল্লেখ্য, গেল ৮ ফেব্রুয়ারি ঘরের মাঠে ভারতের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের শুরুতেই (৮ মি.) গোল হজম করে পিছিয়ে পড়েছিল সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। এরপর যোগ করা সময়ে (৯০+৩) মোসাম্মত সাগরিকা আক্তারের গোলে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। তাতে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

সেখানেও চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। প্রথম পাঁচ শটে দুই দলই বল জালে জড়ায়। এরপর সাডেন ডেথেও চলে সমানে সমান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ১১ জন খেলোয়াড়ই গোল করেন। অন্যদিকে ভারতেরও ১১ জন টাইব্রেকার ও সাডেন ডেথে গোল করেন। এরপর টস ভাগ্যে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। পরে সেটা বাতিল করে বাইলজ অনুযায়ী ভারত-বাংলাদেশকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
অবশ্য ফাইনালের আগেই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড় সাগরিকার বাবা-মাকে টেলিভিশন উপহার দেয় ওয়ালটন। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে ওয়ালটনের কর্মকর্তাগণ জানতে পারেন- সাগরিকার বাবা চায়ের দোকানদার মোহাম্মদ লিটন আলীর ঘরে মেয়ের খেলা দেখার মতো টেলিভিশন নেই। প্রতিবেশীর কাছ থেকে টেলিভিশন ধার করে এনে দেখেন মেয়ের খেলা। যে ম্যাচে সাগরিকা জোড়া গোল করে গর্বিত করেন তার বাবা-মাকে। এরপর সাগরিকার বাবা-মাকে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থেকে মিরপুরের মাজার রোডস্থ ওয়ালটন কমপ্লেক্সে এনে টেলিভিশন তুলে দেয় ওয়ালটন।

(পিআর/এসপি/মার্চ ১২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

৩০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test