E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লিগ পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন তৈয়ব

২০২৪ মে ০১ ১৩:৪৮:৫৯
লিগ পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন তৈয়ব

স্পোর্টস ডেস্ক : সদ্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগে দুর্দান্ত খেলেছেন তরুণ মিডফিল্ডার মো. তৈয়ব আলী। দেশের পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী ঊষা ক্রীড়া চক্রের জার্সিতে মূল একাদশের নিয়মিত সদস্য ছিলেন।

মধ্যমাঠে দারুণ পারফর্ম করে বেশ কয়েকটি ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন। লিগে গোল করেছেন ৬টি; সতীর্থদের গোলে রেখেছেন ভূমিকা। এমন চোখধাঁধানো পারফরম্যান্সের পুরস্কার হাতে-নাতে পেলেন নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার ধরাইলের ছেলে তৈয়ব। আগামী ১৩ জুন থেকে ২৩ জুন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে জুনিয়র এএইচএফ কাপ হকি টুর্নামেন্ট। আন্তর্জাতিক এই আসর সামনে রেখে ৩৪ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে)। যাতে মিডফিল্ডার রয়েছেন ৮ জন। সেই ৮ জনের একজন হলেন তৈয়ব।

প্রথমবার বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত। এ ব্যাপারে তৈয়ব বলেন, ‘লিগে আমি যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। ঊষার জার্সিতে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি সেই চেষ্টায় আমি শতভাগ সফল। তা না হলে জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে আমাকে ডাকা হতো না। আমি এখন ৩৪ জনের দলে আছি। এবার আমার লক্ষ্য সেরা ১৮-তে জায়গা করে নেয়া। আশাকরি সেটা আমি পারব। ’

অল্পদিনেই হকিতে নিজের জন্য আলাদা এক জায়গা তৈরি করেছেন তৈয়ব। মাঠের খেলায় মেধা-যোগ্যতার স্বাক্ষর তো রেখেছেনই; সেই সঙ্গে নম্র-ভদ্র, সুশৃ্ঙ্খল আচরণে ইতোমধ্যে কোচ-অফিসিয়ালদের মনও জয় করেছেন। লিগে ঊষাতে থাকাকালীন কোচ আশিকুজ্জামানকে প্রায়শই তৈয়বের প্রশংসা করতে শোনা গেছে। সেই আশিক এবার সিঙ্গাপুর ট্যুরে কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন। তৈয়বের মতো একজন শিষ্য পেয়ে খুশি কোচ। তৈয়বও আশিক স্যার, রাজিব স্যারদের অধীনে খেলার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। জুনিয়র এএইচএফ কাপ সামনে রেখে হকি ফেডারেশন থেকে আগামী ৬ মে খেলোয়াড়দের রিপোর্টিং করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়া তৈয়বও সেদিন দলের সঙ্গে রিপোর্টিংয়ে অংশ নিবেন বলে বিকেএসপি থেকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। লিগ শেষ হওয়ার পর বিকেএসপিতে এখন নিয়মিত অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন তিনি।

২০১৯ সাল থেকে মূলত হকির সঙ্গে তৈয়বের আনুষ্ঠানিক গাঁটছড়া। এর আগে নিজ জেলা নাটোরের প্রসিদ্ধ কোচ কামাল মাস্টারের অধীনে অনুশীলন করতেন। আপন বড় ভাই আইয়ূব আলীকে দেখেই মূলত হকিতে আসা তৈয়বের। বর্তমানে মালয়েশিয়া প্রবাসী আইয়ূব এক সময় হকি খেলতেন। বড় ভাই ছাড়াও নাটোরের হকি-বান্ধব পরিবেশ এই খেলার প্রতি তৈয়বকে আরো বেশি আকৃষ্ট করে। হকির জনপ্রিয় কোচ আলমগীর আলমের হাত ধরে নাটোর থেকে বিকেএসপিতে পা রাখেন। এরপর জাতীয় দলের কোচ জাহিদ হোসেন রাজু, মশিউর রহমান বিপ্লব ও মালয়েশিয়ান কোচ গোবিনাথান কৃষ্ণমূর্তিদের চেষ্টায় আজকের অবস্থানে নিজেকে নিয়ে এসেছেন তৈয়ব। এ ব্যাপারে তরুণ মিডফিল্ডার জানান, ‘শুরুতে আমি ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলতাম। গোবিনাথান স্যার আমাকে একদিন ডেকে বললেন তুমি ফরোয়ার্ড না মিডফিল্ডে খেলো সেখানে ভালো করবে। স্যারের কথা মেনে নিজেকে নতুন করে তৈরি করতে লাগলাম। এখন আমি মিডফিল্ডে সেট হয়ে গেছি। ঊষার জার্সিতে খেলার পর আমার ক্যারিয়ারে নতুন মোড় এসেছে। গত বছর ঊষার হয়ে প্রথম বিভাগ লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এ বছর একই টিমের জার্সিতে প্রথমবার ঘরোয়া হকির সর্বোচ্চ আসর প্রিমিয়ার লিগে খেললাম। ’

বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের দুই তারকা মিডফিল্ডার সারোয়ার হোসেন এবং রোমান সরকারের দারুণ ভক্ত তৈয়ব। তাদের খেলা নিয়মিত ফলো করেন। বিদেশি তারকাদের খেলাও দেখেন। রোমান-সারোয়ারদের মতো তৈয়বও লাল-সবুজ জার্সিতে দীর্ঘদিন খেলতে চান। দেশকে সাফল্যে রাঙাতে চান।

(ওএস/এএস/মে ০১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test