E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নেইমার জাদুতে সেমিতে বার্সা

২০১৫ জানুয়ারি ২৯ ১৭:৩৩:০২
নেইমার জাদুতে সেমিতে বার্সা

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : বার্সেলোনা মাঠে নামার আগেই এগিয়ে ছিল। ন্যু ক্যাম্পে প্রথম লেগে এক গোলের ব্যবধানটা ছিল তাদের অনুপ্রেরণা। কিন্তু সেই প্রেরণা শেষ হতে এক মিনিটের বেশি সময় লাগেনি। ফার্নান্দো তোরেস মাঠে নেমেই ব্যবধান ঘুচিয়ে দেন।

এ অবস্থায় বার্সার ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন নেইমার। জোড়া গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। দ্বিতীয় লেগে বার্সা জয় পায় ৩-২ গোলে। আর প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল। ফলে দুই লেগ মিলে ৪-২ গোলে এগিয়ে থেকে কোপা দেল রে’র শেষ চারে পা রাখেন মেসি-নেইমাররা। ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জোড়া গোল করলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন লিওনেল মেসি। ফুটবল ভক্তদের কাছে তিনি সামনে থেকে গোল মেশিন হিসেবেই বেশি পরিচিত। তবে আর্জেন্টাইন তারকা জানিয়ে দিলেন, তিনি পেছন থেকেও প্লে মেকার হতে পারেন। অন্যকে দিয়ে গোল করানোর পাশাপাশি গোল খাওয়ার হাত থেকেও দলকে বাঁচানোর কাজ করতে পারেন।

মাদ্রিদে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা শুরুটা ভালোই করেছিলেন। প্রথম মিনিটেই ফার্নান্দো তোরেস গোল করে এগিয়ে নেন অ্যাটলেটিকোকে। সেই গোল শোধ করতে অবশ্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি বার্সাকে। খেলার ৯ মিনিটে মেসির দেওয়া বল থেকে গোল করেন নেইমার।

৩০ মিনিটে রাউল গার্সিয়ার গোলে আবারও এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। সমতা ফেরাতে অবশ্য বার্সার কিছু করতে হয়নি। ৩৮ মিনিটে মিরান্দার আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে বার্সা। তিন মিনিটের মধ্যেই নেইমারের ঝলকানি। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল করে ৩-২ গোলে এগিয়ে নেন দলকে।

দ্বিতীয়ার্ধে সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি অ্যাটলেটিকো। দ্বিতীয়ার্ধটা ছিল বাদানুবাদের। খেলোয়াড়, স্টাফ ও রেফারিদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি তো বটেই, ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে। যার ফলে অ্যাটলেটিকোর দুজন খেলোয়াড় গ্যাবি ও মারিও সুয়ারেজকে লাল কার্ড পেয়ে বেরিয়ে যেতে হয়। ১০টি হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে এই সময়ে। ভাষ্যকাররা যার নাম দেন ‘কুৎসিত দ্বিতীয়ার্ধ’।

(ওএস/পি/জানুয়ারি ২৯, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test