E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধাওয়ানের ব্যাটে ভারতের সহজ জয়

২০১৫ মার্চ ১০ ১৩:৫৫:৫৭
ধাওয়ানের ব্যাটে ভারতের সহজ জয়

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : শিখর ধাওয়ানের শতকে সহজ জয় পেয়েছে ভারত। আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয় পেয়েছে শিরোপাধারীরা। উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড নায়াল ও’ব্রায়ানের অর্ধশতকে এক সময় বড় সংগ্রহের দিকেই ছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারানোয় এক ওভার বাকি থাকতেই ২৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী জুটি উপহার দিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জয়ের দিকে নিয়ে যান ধাওয়ান-রোহিত শর্মা। শেষ পর্যন্ত ৩৬ ওভার ৫ বলে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

রোহিতের সঙ্গে ১৭৪ রানের চমৎকার একটি জুটি উপহার দেন ধাওয়ান। ১৪০ বল স্থায়ী জুটিতে রোহিতের অবদান ৬৪ রান। তার ৬৬ বলের ইনিংসটি তিনটি করে ছক্কা ও চার সমৃদ্ধ। বিশ্বকাপে উদ্বোধনী জুটিতে ভারতের সর্বোচ্চ রান ছিল ১৬৩। ১৯৯৬ এর আসরে কেনিয়ার বিপক্ষে এই রান করেছিলেন শচিন টেন্ডুলকার ও অজয় জাদেজা।

৫ ও ১০ রানে দুইবার জীবন পাওয়া ধাওয়ান ফিরেন শতরান করে। ৮৫ বলে খেলা ধাওয়ানের ১০০ রানের ইনিংসটি ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা সমৃদ্ধ। এটা বিশ্বকাপে তার দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক। অজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন বিরাট কোহলি। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়েন এই দুই জনে। কোহলি ৪৪ ও রাহানে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। এর আগে মঙ্গলবার হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ডকে ভালো সূচনা এনে দেন পোর্টারফিল্ড ও পল স্টার্লিং। ৮৯ রানের উদ্বোধনী জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন এই দুই জনে।

ভারতের তিন পেসার মোহাম্মদ সামি, উমেশ যাদব ও মোহিত শর্মাকে সহজেই খেলছিলেন পোর্টারফিল্ড-স্টার্লিং। তবে স্পিনারদের আনার পর খেলার চিত্রটা পাল্টে যায়। স্টার্লিংকে অজিঙ্কা রাহানের ক্যাচে পরিণত করে ভারতকে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১৫ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।

এড জয়েসকে বোল্ড করা সুরেশ রায়না করেন পুরো ১০ ওভার। অনিয়মিত এই স্পিনার ৪০ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। পোর্টারফিল্ডের সঙ্গে ৫৩ ও অ্যান্ডি বালবারনির সঙ্গে ৬১ রানের দুটি চমৎকার জুটি উপহার দিয়ে নায়াল বড় সংগ্রহের পথেই রেখেছিলেন আয়ারল্যান্ডকে। মোহিত শর্মার বলে উমেশ যাদবের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৬৭ রান করেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক। তার ৯৩ রানের ইনিংসটি ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো।

এক সময়ে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ২০৬ রান। অশ্বিন বালবারনিকে ফিরিয়ে দেয়ার পর দিক হারায় কোয়ার্টার-ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা দলটি। মাত্র ৫৩ রানে শেষ ৭ উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ড কোনোমতে আড়াইশ’ রান পার হয়। এই সময়ে ফিরে যান সর্বোচ্চ ৭৫ রান করা নায়ালও। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ৭৫ বলের ইনিংসটি ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা সমৃদ্ধ। ভারেতের প্রথমবারের মতো টানা পঞ্চম ম্যাচে প্রতিপক্ষকে অলআউটের কৃতিত্ব দেখানোয় দারুণ অবদান সামির। শুরুতে ভালো না করলেও শেষ পর্যন্ত ৪১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই শিরোপাধারীদের সেরা বোলার।

টানা পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে ভারত। পাঁচ ম্যাচে দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া আয়ারল্যান্ডের কোয়ার্টার-ফাইনাল স্বপ্ন এখনো বেঁচে আছে।

(ওএস/পি/মার্চ ১০, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test