E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাংলাদেশ ১৫৩/৩, তামিম আউট

২০১৫ জুলাই ২২ ১৪:৪২:২২
বাংলাদেশ ১৫৩/৩, তামিম আউট

নিউজ ডেস্ক :মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৮৯ রানের জুটি গড়ে বিদায় নিলেন তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে এলগারের বলে বোল্ড আউট হয়ে গেছেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৩/৩। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার। কোনো উইকেট না হারিয়ে দলীয় স্কোরে যোগ করেছিলেন ৪৬ রান। এরপর হঠাৎ করেই ছন্দপতন ঘটে। বোকামিটা করে বসেন ইমরুল কায়েস। স্ট্যাম্প ছেড়ে খেলতে গিয়ে ভন জিলের ফাস্ট বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। এরপর মুমিনুল এসে একটি নান্দনিক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু বোল্ড আউট হয়ে সেই আশার গুড়ে বালি ঢেলে দেন টেস্টের অন্যতম এই সফল ব্যাটসম্যান। ব্যক্তিগত ৬ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হাশিম আমলা। তবে তার সেই সিদ্ধান্ত সার্থকতা খুঁজে পায়নি। মুস্তাফিজ-জুবায়েরদের সামনে ধসে পড়ে বিশাল ব্যাটিং লাইন। এই দুই তরুণের দুমুখো আক্রমণে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো মহাপরাক্রমশালী দল চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনেই মাত্র ৮৩.৪ ওভারে ২৪৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দিনের একেবারে শেষ বেলায় ২ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। তাতে কোনোরকম ক্ষতি ছাড়া ৭ রান তুলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন তামিম ও ইমরুল।

প্রথম দিনের শেষটা যেমন, শুরুটা হয়েছিলো তার একেবারে বিপরীত। ১ উইকেটে ১৩৬ রান তুলেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে পরের ১১২ রান তুলতেই ৯ উইকেট হারিয়ে অলআউট হলো সফরকারী দলটি।

টানা বৃষ্টির কারণে গত কয়েক দিন কাভার ঢাকা থাকায় উইকেট কেমন আচরণ করবে, তা নিয়ে সংশয় ছিল; কিন্তু ম্যাচের দিন সকালে রোদ উঠার পর সেই শঙ্কা কেটে যায়। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সুবিধা কাজে লাগাতে ভুল করেননি ডিন এলগার, স্টিয়ান ফন জিল ও ফাফ দু প্লেসি। উইকেটে বোলারদের জন্য খুব একটা সুবিধা ছিল না, তার ওপরে নিজেদের প্রথম স্পেলে ভালো করতে পারেননি শহীদ ও অভিষিক্ত মুস্তাফিজ।

দুই বাঁ-হাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এলগার ও ফন জিলকে থামাতে দ্বাদশ ওভারে মাহমুদউল্লাহকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন মাহমুদউল্লাহ। ফন জিলকে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। এটাই টেস্টে লিটনের প্রথম ডিসমিসাল।

মাহমুদউল্লাহ এসে ফিরিয়েছিলেন ৩৪ রান করা ওপেনার ভ্যান জিলকে। এরপর আবার একটা ভালো জুটি করলেন আরেক ওপেনার এলগার ও তিন নম্বরে নামা ডু প্লেসিস। দুই জনে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করলেন ৭৮ রান। এই সময় মনে হচ্ছিলো বাংলাদেশের সামনে দীর্ঘ একটা ক্লান্তিকর দিন অপেক্ষা করছে।

কিন্তু এই দুই জনকে পরপর দুই ওভারে এসে ফিরিয়ে দেন তাইজুল ও সাকিব। তরুণ বাবুমাকে নিয়ে মেরামতের একটা চেষ্টা করছিলেন অধিনায়ক হাশিম আমলা। আর এই সময়ই দানবীয় এক চেহারায় হাজির হলেন মুস্তাফিজুর রহমান। শর্টার ফরম্যাটের অভিষেকে রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়া মুস্তাফিজ চার বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরিণত করেন ৬ উইকেটে ১৭৩ রানে।

এরপর পরপর দুইটি জুটিতে দলের স্কোরে কিছু সংযোজনের চেষ্টা শেষ দিকের খেলোয়াড়দের নিয়ে করেছেন বাবুমা। একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে ফিফটি পারও করেছেন; কিন্তু সে কাজটাও খুব ভালো করতে পারেননি। কারণ, অন্য প্রান্তে আবার তত্পর হয়ে উঠে পরপর তিনটে উইকেট তুলে নেন জুবায়ের।

জোড়া আঘাতে সাইমন হারমার ও ডেল স্টেইনকেও ফেরান জুবায়ের। তার শর্ট বলে সজোরে মারতে গিয়ে শর্ট লেগে মুমিনুল হকের ক্যাচে পরিণত হন হারমার। আরেকটি শর্ট বল তুলে মারতে গিয়ে মিড-অফে তামিম ইকবালের ক্যাচে পরিণত হন স্টেইন। ৫৩ রানে ৩ উইকেট নেন লেগ স্পিনার জুবায়ের।

আর একেবারে শেষ বেলায় এসে ৫৪ রান করা ওই বাবুমাকেই আউট করে ইনিংস গুটিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান।




(ওএস/এসসি/জুলাই২২,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test