E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রোমার ‘অবাক’ গোলে বার্সার পয়েন্ট ভাগাভাগি

২০১৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৩:৫২:৩২
রোমার ‘অবাক’ গোলে বার্সার পয়েন্ট ভাগাভাগি

স্পোর্টস ডেস্ক :আলেসান্দ্রো ফ্লোরেনজি শটটা ভেবে-চিন্তেই মেরেছিলেন । বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার-স্টেগান গোলপোস্ট ছেড়ে সামনে এগিয়ে এসেছিলেন লক্ষ করেই ফ্লোরেনজির ‘সুযোগ নেওয়া’ সেই শট। রোম অলিম্পিক স্টেডিয়ামের দর্শকদের আনন্দে ভাসিয়ে সেই ‘সুযোগ নেওয়া’ শটটিই পোস্টে লেগে জড়িয়ে গেল জালে।

‘অবাক’ এই গোলেই জয় থেকে বঞ্চিত হল বার্সেলোনা। ২১ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে থাকা দলটি ফ্লোরেনজির ওই সমতাসূচক গোলের পর আর খুঁজে পায়নি রোমার গোলপোস্টের জাল।

লিওনেল মেসি চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের শততম ম্যাচটি জিতে শেষ করতে পারলেই খুশি হতেন । কিন্তু তাঁর সেই সুযোগ হয়নি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এই মুহূর্তে সর্বকালের সেরা গোলদাতা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে নিয়ে আসাও সম্ভব হয়নি ।

পুরো ম্যাচটা ভালোই খেলেছে বার্সেলোনা। রোমার ফুটবল-কৌশল ছিল চিরাচরিত রক্ষণাত্মক। কিন্তু সেই রক্ষণটাই দুর্দান্তভাবে বার্সেলোনার কাছ থেকে একটা পয়েন্ট কেড়ে নিয়েছে। রোমার রক্ষণাত্মক খেলা নিয়ে বিরক্ত হলেও কিছু বলেননি বার্সেলোনা কোচ লুইস এনরিকে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার দলের খেলায় সন্তুষ্ট। বার্সেলোনা পুরো খেলায় প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন রক্ষণে এককাট্টা, তখন ব্যাপারটা এত সোজা নয়।’

তবে জয়টা মনে-প্রাণেই চেয়েছিলেন এনরিকে, ‘জয়টা অবশ্যই অনেক বেশি তৃপ্তিদায়ক হতো। তিনি আরও বলেন, আমি বলছি না যে ড্র হওয়া খারাপ ফল। আমরা চেষ্টা করেছি। গোলের অনেক সুযোগ তৈরি করেছি। সম্ভব-অসম্ভব সব কিছু দিয়েই লড়াই চালিয়েছি। সফল হইনি। এটাই তো ফুটবল।’

শততম ম্যাচে মেসি ছিলেন তাঁর মতোই। পায়ে বল নিয়ে অনেকবারই রোমার রক্ষণে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। কিন্তু তাঁর দুর্ভাগ্য গোলের দেখা তিনি পাননি। ম্যাচের ২১ মিনিটে একটু বিভ্রান্তির মধ্যেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। নিজেদের বক্সে মেসির পায়ে বেজে পড়ে যান লুকাস দিগনে। রোমার দাবি ছিল দিগনেকে ফাউল করেছেন মেসি। রেফারির দিকে অতিরিক্ত মনোযোগ দিয়েই বোধ হয় সর্বনাশটা হয় রোমার। প্রায় বিনা বাধায় ইভান কিরিচের ক্রস থেকে গোলপোস্টের খুব কাছে দাঁড়িয়ে হেড করে গোল করেন লুই সুয়ারেজজ।

৩১ মিনিটে স্টেডিয়ামে দর্শকদের ফ্লোরেনজি উপহার দেন সেই ‘অবাক গোল’। প্রায় মধ্যমাঠ থেকে তাঁর নেওয়া শটটি গোলপোস্টে লেগে চলে যায় জালে। গোলরক্ষক টার-স্টেগানের বোকার মতো চেয়ে দেখা ছাড়া এই সময় করার ছিল না কিছুই।

প্রথমবার মেসির শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক সেজেনজি । পরের বার সেজেনজিই সুয়ারেজের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে রোমাকে বাঁচান নিশ্চিত হারের হাত থেকে।

(এস,এম,এস/এসসি/সেপ্টেম্বর১৭,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test