E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হেরে গেলো রায়না ও বৃষ্টির কাছে

২০১৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৬:০২:০৪
হেরে গেলো রায়না ও বৃষ্টির কাছে

স্পোর্টস ডেস্ক :ভারত সফর জয়ের অভ্যাস ধরে রাখার আশা নিয়ে শুরু হয়েছিল। এক দিনের ম্যাচের সিরিজ শেষে সে আশা পূরণ হয়নি, ভারত ‘এ’ দলের কাছে ২-১-এ সিরিজ হার বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য বড় কোনো অঘটন নয়। তবে ‘এ’ দলের মোড়কে যাওয়া জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ৫০ ওভারের খেলায় ভুলে যাওয়া হারের স্বাদটা তো ফিরিয়ে দিল এই ভারত সফরই!

প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতা। শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছিল অলিখিত ফাইনাল। তবে সেটা কাগজে-কলমেই থাকল। বাস্তবে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কাল ফাইনালের মেজাজ বলতে কিছুই ছিল না। সুরেশ রায়নার সেঞ্চুরি (১০৪) ও সঞ্জু স্যামসনের প্রায় সেঞ্চুরির (৯০) সুবাদে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান করে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় স্বাগতিকেরা। দুই দুটি বৃষ্টির বাগড়া আর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে দূরত্ব আরও বাড়িয়েছে। প্রথমবার বৃষ্টিতে ২১ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৬ ওভারে ২৯০। ৩২ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪১ করার পর বৃষ্টি নামে আবারও। এর পর আর খেলাই হয়নি। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে জয়ের জন্য তখন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের স্কোর থাকতে হতো ২১৭। পরাজয়ের ব্যবধানটাই তাই অনেক বড়—৭৫ রান।

দলের সঙ্গে থাকা প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ অবশ্য এতে তেমন হতাশ নন। সিরিজ হারের দুঃখে ভারাক্রান্ত না হয়ে একমাত্র জয়টিকেই দেখছেন বড় করে। ঢাকা ছাড়ার আগে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কথা বলে গেলেও বেঙ্গালুরুতে তিনি আবিষ্কার করলেন নতুন বাস্তবতা। কাল সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলছিলেন, ‘দেশের তুলনায় বিদেশে সিরিজ খেলা কঠিন। তার ওপর ভারত “এ” বেশ শক্তিশালী। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা “এ” দলের সঙ্গেও তারা ভালো খেলেছে। এই দলের দুজন জাতীয় দলে ডাক পেয়েছে। ভিন্ন কন্ডিশনে এসে তাদের বিপক্ষে এক ম্যাচ জেতাও বড় অর্জন। ফলাফলে আমি সন্তুষ্ট।’ তবে একটু আফসোসও আছে, ‘যে দুটি ম্যাচে হেরেছি, সেই দুটিতে আরেকটু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারলে ভালো হতো।’
হতাশা আছে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স নিয়েও। ফারুকের ভাষায়, ‘ওপরের দিকের ব্যাটসম্যানরা ভালো করেনি। প্রথম ১০ ওভার দেখে খেলার পরিকল্পনা থাকলেও সেটা তারা পারেনি। দলের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তিন ম্যাচে ওপেনার সৌম্য সরকারের রান ৯, ২৪ ও ১, রনি তালুকদার ১৩, ০ ও ৯, এনামুল হক ০, ৩৪ ও ১। প্রথম দুই ম্যাচে ৩ উইকেট পড়েছে ৩৪ ও ৬৬ রানে। আর কাল তো ২৪ রানের মধ্যেই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন তিনজন! তবে ব্যর্থতার একটা ব্যাখ্যাও দিতে চাইলেন প্রধান নির্বাচক, ‘প্রথম ম্যাচ থেকেই দেখেছি, এখানে নতুন বলে ব্যাট করতে সমস্যা হচ্ছে আমাদের ব্যাটসম্যানদের। সমস্যাটা শেষ ম্যাচেও কাটিয়ে ওঠা যায়নি। উইকেটে অনেক ঘাস ছিল, বেশ বাউন্সও।’

২৯৭ রানের জবাব দিতে নেমে ২৪ রানে ৩ উইকেট পড়ে গেলে ম্যাচে ফেরা কঠিনই হওয়ার কথা। চতুর্থ উইকেটে মুমিনুল ও লিটনের ৪৪ এবং ষষ্ঠ উইকেটে নাসির ও সাব্বিরের ৪৮ রানের জুটির চেয়েও বড় কিছু লাগত জিততে। চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় সাব্বির অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে। তবে হেরে যাওয়া সিরিজেও সবচেয়ে বড় পাওয়া বোধ হয় নাসিরের ম্যান অব দ্য সিরিজের স্বীকৃতি পাওয়া। এক সেঞ্চুরি, এক ফিফটিসহ তিন ম্যাচে রান ১৭৬, দ্বিতীয় ম্যাচের ৫ উইকেটসহ মোট উইকেট ৮টি উইকেটের পতন হয়।


(এন.এস/এসসি/সেপ্টেম্বর২১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test