E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুয়ারেজ দাপটে ফাইনালে বার্সা

২০১৫ ডিসেম্বর ১৭ ২০:৩০:২৮
সুয়ারেজ দাপটে ফাইনালে বার্সা

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : আগেই জানা গিয়েছিল, চোটের কারণে নেইমার অন্তত সেমিফাইনালে খেলছেন না। আর ম্যাচ শুরুর আগে নতুন দুঃসংবাদ—লিওনেল মেসিও ছিটকে গেছেন। কিডনিতে পাথর ধরা পড়েছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। ওদিকে প্রতিপক্ষ গুয়াংজু এভারগ্রান্ডে কোচ হিসেবে লুইস ফেলিপে স্কলারিকে পাওয়ার পর থেকে এক ম্যাচও হারেনি।

আজ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে নামার আগে লুইস এনরিকের কপালে কি ছিল বাড়তি ভাঁজ? থেকে থাকলেও সেই দুশ্চিন্তা দ্রুতই ‘নাই’ করে দিলেন আরেক লুইস—সুয়ারেজ। মেসি-নেইমারের অভাবটা একাই ভুলিয়ে দিলেন হ্যাটট্রিক করে। এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নদের ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেল বার্সা। সেখানে আগে থেকেই তাদের জন্য অপেক্ষা করছে রিভার প্লেট।

মেসি-নেইমার অভাব কিন্তু বার্সা ভুগছিল ভালোমতোই। ৩৮ মিনিট পর্যন্ত গোল নেই। নেই সে রকম ধারালো আক্রমণও। এমএন-কে ছাড়া একা ‘এস’ কি গুয়াংজুর রক্ষণ কী আদৌ ভাঙতে পারবেন? বল দখল বার্সেলোনার কাছেই ছিল, চীনের ক্লাবটিকে এ সময় মনে হচ্ছিল বরং ছায়ার পেছনে দৌড়াচ্ছে। কিন্তু তার পরও গুয়াংজুর বক্সে ঠিক ওভাবে আক্রমণ করতে পারছিল না। স্কলারির দলের রক্ষণ তো জমাট ছিলই, তার ওপর বার্সাও শেষ পাসটা সঠিকভাবে দিতে পারছিল না। ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টা তাই মূলত বার্সার এদিক-ওদিক পাস আর গুয়াংজুর দৌড়াদৌড়িতেই কাটল।

অবশেষে গোল এল প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ৬ মিনিট আগে। তাতে গুয়াংজু গোলরক্ষক লির 'অবদান'ও কম নয়। ইভান রাকিতিচের শটটা ধরতে পারা হয়তো খুব একটা কঠিন ছিল না তাঁর জন্য, তবে এ আপাত সহজ কাজটিই করতে পারলেন না লি। তাঁর হাত ফসকে বেরিয়ে গেল বল। পড়বি তো পড় সুয়ারেজের কাছেই! দক্ষ শিকারির মতো পোস্টের কাছ থেকে বলটাকে জালে জড়িয়ে দিলেন সুয়ারেজ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার গোল। প্রথম গোলটি নিয়ে বার্সা সমর্থকদের মধ্যে যদি 'নাহ, গোলটা বার্সার মতো হলো না' ধরনের কোনো অস্বস্তি থেকে থাকে, সেটি মুছে গেল এই গোলে। দ্বিতীয়ার্ধের ৫ মিনিটে দুর্দান্ত দলগত আক্রমণকে তার চেয়েও সুন্দর করে জালে জড়িয়ে দিলেন সুয়ারেজ। নিজেদের অর্ধ থেকে দ্রুত পাঁচটি পাসে গুয়াংজুর বক্সের কাছে বল নিয়ে আসে বার্সা। এরপর গুয়াংজু রক্ষণের ওপর দিয়ে ইনিয়েস্তার দুর্দান্ত চিপ পাস, বুক দিয়ে বলটাকে ধরে মাটিতে পড়ার আগে দুরূহ কোণ থেকে সুয়ারেজের ভলি—গোল! ফিফা চাইলে এই এক গোলের জন্য এখনই বার্সাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দিতে পারে!
জয় নিয়ে কোনো সংশয় এমনিতেই ছিল না, তাতে ৬৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের হ্যাটট্রিকের সঙ্গে বার্সার বড় জয় নিশ্চিত করে দিলেন সুয়ারেজ। বার্সা স্ট্রাইকার তো পেলেকেও মনে করিয়ে দিলেন একটা কীর্তি দিয়ে। এর আগে ক্লাব পর্যায়ে এই টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিকের একমাত্র কীর্তিটা ছিল কেবল ব্রাজিল কিংবদন্তিরই। ১৯৬২ সালে লিসবনে বেনফিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সান্তোসের পেলে। তখন অবশ্য টুর্নামেন্টের নাম 'ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ' ছিল না, তখনকার ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপ খেলা হতো না এমন ফরম্যাটেও।

এই সুয়ারেজকে সামলানো এখন রিভার কোচের মাথা ব্যথা। আগামী ২০ ডিসেম্বর ফাইনালে যে রিভারপ্লেটের সঙ্গে লড়বে বার্সেলোনা। সেদিন আবার নাকি নেইমারও ফিরবেন। মেসি ফেরার ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যাচ্ছে না।

(ওএস/পি/ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test