E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাফে বাংলাদেশের লড়াই শুরু আজ

২০১৫ ডিসেম্বর ২৪ ০৯:৫৪:২২
সাফে বাংলাদেশের লড়াই শুরু আজ

নিউজ ডেস্ক :২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার অন্তর্ভুক্ত হয় আফগানিস্তান। সেবার খেলতে এসে গ্রুপ পর্বেই আফগানিস্তান বিদায় নেয়। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৩ সাল। ১০ বছর পর। নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে বিদায় নেয়, আফগানিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়। সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই দিয়ে বাংলাদেশ আজ সাফের অভিযান শুরু করছে। আফগান শিরোপা ঘরেই রাখতে চায়। কাবুলে থাকা ট্রফি ঢাকায় আনতে চায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ে রেকর্ড নেই আফগান ফুটবল দলের। আশঙ্কা আছে আজ না সেই রেকর্ড হয়ে যায়। কিন্তু রেকর্ডের চেয়েও বড় কথা সেমিফাইনালে উঠতে হলে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিততে হবে। কোচ মারুফুল হক কেরালায় যাওয়ার আগে ঢাকায় একটা কথা বলে গিয়েছেন— প্রথম ম্যাচ জেতা মানেই অর্ধেক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সমান। আফগানিস্তান কঠিন দল। শক্তিশালী দল। তাদের একাধিক ফুটবলার ইউরোপের লিগেও খেলছেন। এই তুলনায় আফগানদের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলেও কোচ মারুফুল হক, অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম, নাসির চৌধুরী, জামাল ভুঁইয়া, জাহিদদের মনোবলটাই অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস এনে দেয়। এগিয়ে রাখে। ফুটবলারদের মনের শক্তিটাই বাড়িয়ে দেয়। আফগানদের বিরুদ্ধে জিততে পারলে অনেক দূর এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

অনেক অপেক্ষার পর ২০০৩ সালে আলফাজ, জয়, হাসান আল মামুন, পারভেজ বাবু, আমিনুল, মতিউর মুন্না, রজনীরা সাফে শিরোপা দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার ট্রফি স্পর্শ করতে পারেনি। ২০০৯ সালে সাফে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠলেও ভারতের (১-০) কাছে হেরে যায়। শেষ দুটি আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়ে ঘরে ফিরেছে বাংলাদেশ। আবার সাফের জন্য হাহাকার উঠেছে। বাংলাদেশ চায় আরেকটা ট্রফি। বর্তমান দলের ফুটবলাররা একটা ট্রফি উপার দেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু গ্রুপ পর্বের বাধাই তো টপকাতে পারছেন না। এবার সেটা হতে দেবেন না ঢাকায় জানিয়ে গেছেন। আফগানিস্তান শক্তিশালী দল হলেও বাংলাদেশের লক্ষ্য আফগানদের হারানো। হারাতে চাইলেও বাংলাদেশের শিবিরে শক্তির জায়গায় ভাঙ্গন রয়েছে। মাঝমাঠে মামুনুলের পাশে নির্ভরযোগ্য জামাল ভুঁইয়াকে পাওয়া যাবে না। স্ট্রাইকার এমিলি নেই। আক্রমণভাগে কোমল নেই। জাহিদ এমিলি জুটির ভাঙ্গন, জাহিদকে শাখাওয়াত রনির সাথে তাল মিলিয়ে খেলতে হবে। আরেক তরুণ স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবনকে নিয়ে কোচ মারুফ জুয়া খেলবেন না এটা সহজেই বোঝা যায়। রক্ষণভাগে ওয়ালী ফয়সাল, নাসির চৌধুরী, ইয়াসিন খান, ইয়ামিন মুন্না থাকবেন। জামাল না থাকলে মিশুকে একটু উপরে রাখতে পারেন। গোলকিপার সোহেল এবং লিটন ভালো, তারপরও কেরালায় যাওয়ার আগে নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচে রানাকে দিয়েছিলেন গোলপোস্ট আগলাতে। তাতে সফলও হয়েছেন তিনি। এভাবেই কোচ মারুফুল হক একাদশ সাজিয়েছিলেন ঢাকায়।

মামুনুলরা অস্ট্রেলিয়া, জর্ডান, তাজিকিস্তান, কিরগিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু ইতালীয়ান কোচ ফ্যাবিও লোপেজের হাতে পড়ে জাতীয় দলের টিম কম্বিনেশনটা নষ্ট হয়েছে। চীনের টুর্নামেন্ট মামুনুলদের খেলাটা আরো নষ্ট করেছে। মারুফুল হক সেই দলটাকে আবার সাজিয়ে তুলছেন, সাফের জন্য প্রস্তুত করেছেন। সবকিছু ছাপিয়ে কঠিন ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে জেতার সাহসটাই বুকে রাখছেন সবাই। কোচ মারুফুল হক এবং অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম, কেরালায় কণ্ঠে একই সুর তুলেছেন, আজ জিতলে সেমিফাইনালের দরজা পেরিয়ে যাওয়াটা অনেকটাই সহজ হবে। জানিয়েছেন জেতার লক্ষ্য নিয়েই লড়াই আজ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। কঠিন লড়াই মনে করছেন আফগানদের নতুন ক্রোয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত জার্মান কোচ পিটার সেগের্ট। ৫ বছরের জন্য এই কোচ নিয়েছে আফগানিস্তান। আফগানিস্তান বাংলাদেশ ম্যাচ সন্ধ্যা ৭টায় শুরু।




(ওএস/এস/ডিসেম্বর২৪,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test