E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাকার অভাবে ব্যাকফুটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

২০১৬ জানুয়ারি ০১ ২০:৩১:২৯
টাকার অভাবে ব্যাকফুটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী দলটা একসময় তাদের ছিল। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৫, টানা ১৫ বছর কোন টেস্ট সিরিজে তাদেরকে হারাতে পারেনি কোন প্রতিপক্ষ। কিন্তু সেইসব দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য এখন সোনালী অতীত। বর্তমান বলতে যেটা আছে, সেটা তাদের জন্য খুব কঠিন এক সময়।

জিম্বাবুয়ে এবং বাংলাদেশ বাদে সর্বশেষ কোন দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়েছিল ২০১২ সালে। সেই বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত হোম সিরিজের দুই ম্যাচেই জিতেছিল ক্যারিবীয়রা। সেই সিরিজের পর থেকে বড় কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত কোন সিরিজ জয় নেই তাদের। ইংল্যান্ডের সাথে ২০১৫ সালে একটা সিরিজ ড্র-ই গত আড়াই বছরে তাদের ‘বড়’ অর্জন।

অস্ট্রেলিয়ার সাথে চলমান সিরিজও ইতিমধ্যে হেরে গেছে তারা। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম দুটি টেস্টে বড় ব্যবধানেই হেরেছে জেসন হোল্ডারের দল। একদিকে হোল্ডার, স্যামুয়েলসরা যখন সিরিজ হারছেন, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই বিগব্যাশ খেলছেন আর ক্রিস গেইল, লেন্ডল সিমন্স, স্যামুয়েল বদ্রির মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রমাণিত খেলোয়াড়েরা। বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে টেস্ট ক্রিকেটকে উপেক্ষা করা এই খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিকেই অনেকে বর্তমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের এই অবস্থার জন্য দায়ী করেন।

এই ব্যাপারটা নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন সেই ‘ইনভিন্সিবল’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক, বর্তমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান ক্লাইভ লয়েড। তিনি মনে করেন, নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই অনেক টাকার বিনিময়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে খেলে বেড়াচ্ছেন গেইল, বদ্রিরা। লয়েড বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত পরিসরের এই খেলাগুলোতে খেলোয়াড়দেরকে যে পরিমাণ পারিশ্রমিক দেয়া হয়, তাতে এটা নিশ্চিত যে খেলোয়াড়েরা তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই সেখানে যাচ্ছেন। এ কারণে আমরা তাদেরকে পাচ্ছি না এবং এর ফলে আমাদের এখানে একটা শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। সেই শূন্যস্থানটা এখন আমাদের পূরণ করতে হবে।’

গেইল, রাসেল এবং সিমন্সদের নিয়ে নিজের ভাবনার কথাও বলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭৪ টেস্টে নেতৃত্ব দেয়া লয়েড। বলেন, ‘রাসেলের মতো একজনের সাথে আমাদের অবশ্যই কথা বলা উচিত। কিন্তু তার হাঁটুতে কিছু সমস্যা আছে, তাই সে শুধু ওয়ানডেতে খেলছে।’

সিমন্সকে টেস্ট দলে পেলে ভালো হতো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সিমন্সকে পেলেও খুব ভালো হতো যেহেতু সে একজন ওপেনার। সে খুব ভালো স্পিন করে, তাকে আমাদের ব্যাটিং অর্ডারে রাখা যেতো। কিন্তু সে যেহেতু নেই, তাই আমাদের অন্য কাউকে দেখতে হবে।’

হতাশ হলেও একেবারেই আশা ছাড়ছেন না লয়েড, ‘এটা বেশ খারাপ একটা পরিস্থিতি। কিন্তু আমি নিশ্চিত আমাদের ক্রিকেট সামনে ভালো করবে।’ কিছুদিন আগেই ক্রিস গেইল বলেছেন, ২০১৬ সালে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতেও পারেন তিনি। এ ব্যাপারে লয়েড বলেন, ‘টেস্ট দলে আসার আগে একজনকে অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেটে চারদিনের ম্যাচগুলোতে খেলতে হবে।’

(ওএস/পি/জানুয়ারি ০১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test