E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নতুন বিতর্কে বিপিএল!

২০১৬ জানুয়ারি ০২ ২১:৪৫:৪৬
নতুন বিতর্কে বিপিএল!

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : টুকটাক কিছু সমস্যা ছাড়া মোটামুটি সফলভাবেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসর। কিন্তু আসরের পর্দা নামার প্রায় সপ্তাহ দুয়েক পর আবারো আলোচনায় বিপিএল। টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বিদেশি খেলোয়াড়দের অর্থ পরিশোধের পদ্ধতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

বিদেশি কোন খেলোয়াড়ের পাওনা বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নেবার নিয়ম আছে। কিন্তু বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বেশিরভাগই সেই অনুমতি নেয় নি বলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। আর এই অনুমতি ছাড়া বিদেশি মুদ্রায় অর্থ পরিশোধের ব্যাপারটা পড়তে পারে মুদ্রা পাচার আইনের আওতায়।

বিপিএলে মোট ৬৫জন বিদেশি খেলোয়াড় ছয়টি দলের হয়ে খেলে গেছেন। এরমধ্যে মাত্র নয়জন খেলোয়াড়কে বিদেশি মুদ্রায় অর্থ পরিশোধের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নেয়া হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা। দেশের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ’১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেবল একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের ৯ বিদেশি খেলোয়াড়ের পাওনা বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে। আমরা অনুমোদন দিয়েছি।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার মাধ্যমে জানা যায়, উক্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিটি হচ্ছে বরিশাল বুলস। কেবল এই একটি দলই তাদের বিদেশি খেলোয়াড়ের পাওনা বাবদ মোট দুই লাখ ২৫ হাজার ডলার বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধের অনুমোদন চেয়েছিল।

শুভঙ্কর সাহা আরো বলেন, কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন না নিয়ে অর্থ পরিশোধ করলে সেটা মুদ্রা পাচার আইনের লঙ্ঘন হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবেই বলা আছে, কোনো বিদেশি নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে বিদেশি মুদ্রায় পারিশ্রমিক দেওয়া হলে ওই ব্যক্তিকে ৩০ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হবে। আর বাংলাদেশের যে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি ওই বিদেশিকে পারিশ্রমিক পরিশোধ করবে- তারা সরকারকে মূল্য সংযোজন কর বাবদ দেবে পরিশোধকৃত অর্থের ১৫ শতাংশ।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস জানান, ফ্র্যাঞ্চাইজিরা জানে কোন নিয়মে বিদেশিদের টাকা পরিশোধ করতে হয়। চুক্তির মধ্যেও পারিশ্রমিক পরিশোধের ব্যাপারটির উল্লেখ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রোপার চ্যানেলেই তাদের অর্থ পরিশোধ করার কথা। আশা করছি তারা সেভাবেই করেছেন।’

এ ব্যাপারে বরিশাল বুলসের মালিক বলেন, ‘বিদেশি খেলোয়াড়দের টাকা পরিশোধে ব্যাংকের অনুমোদন নেবার বিষয়টি আমাদের জানা ছিল। আমরা নিয়ম মেনেই এগোচ্ছি।’

বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের নিয়মানুসারে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই মোট পারিশ্রমিকের ৫০ শতাংশ পেয়ে যাবার কথা ছিল অংশ নেয়া বিদেশি খেলোয়াড়দের। টুর্নামেন্ট চলার সময় তাদের পাওয়ার কথা আরও ২৫ শতাংশ। আর বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ টুর্নামেন্ট শেষের এক মাসের মধ্যে খেলোয়াড়দের হাতে তুলে দেয়ার কথা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর।

গত ১৫ই ডিসেম্বর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং বরিশাল বুলসের মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে শেষ হয় বিপিএলের তৃতীয় আসর।

(ওএস/পি/জানুয়ারি ০২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test