E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শূন্য মেরে ১০৪ বছর পুরোনো রেকর্ডে এবি!

২০১৬ জানুয়ারি ২৬ ১৩:৩৪:১৫
শূন্য মেরে ১০৪ বছর পুরোনো রেকর্ডে এবি!

স্টাফ রিপোর্টার :এবি ডি ভিলিয়ার্সঠিক কোন ব্যাপারটি কাল হলো এবি ডি ভিলিয়ার্সের জন্য? অধিনায়কত্ব? যে ডি ভিলিয়ার্স মানে চার-ছয়ের বন্যা, যে ডি ভিলিয়ার্স মানে রান দিয়ে একের পর এক রেকর্ড, সেই তাঁরই কিনা সর্বশেষ তিনটি টেস্ট ইনিংস—০, ০, ০!

জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হয়ে গেলেন। আর চলতি সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে তো টানা দুই ইনিংসেই শূন্য—ডি ভিলিয়ার্সের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ‘পেয়ার’! অধিনায়ক হিসেবে চার ইনিংসের তিনটিতেই শূন্য!

অথচ টেস্ট ক্যারিয়ার শুরুর পর টানা ৭৮টি টেস্ট ইনিংসে কখনো শূন্যের মুখ দেখেননি। টেস্টে প্রথম ‘ডাক’ মারার আগে সবচেয়ে বেশি ইনিংস খেলে ফেলার বিশ্ব রেকর্ড এটাই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জোহানেসবার্গ টেস্টে অধিনায়কত্ব নেওয়ার আগে ১১ বছরে, ১৭২টি টেস্ট ইনিংসে মাত্র চারবার রান না করেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। অথচ গত তিন ইনিংসে সেখানে ফিরলেন খালি হাতে। এই ডি ভিলিয়ার্স তো অচেনা!

অধিনায়ক হওয়ার আগে প্রায় ক্যারিয়ারজুড়েই যিনি শূন্যের সঙ্গে আড়ি পেতে চলেছেন (গড়ে প্রতি ৪৩ ইনিংসে মাত্র একটি করে শূন্য), সেই ডি ভিলিয়ার্সেরই কিনা অধিনায়ক হওয়ার পরের চার ইনিংসে তিনটিতে গোল্লা!

এবার ক্রিকেটের শূন্যের রেকর্ড-খাতায় একের পর অধ্যায়ে নাম লেখা হচ্ছে তাঁর। বেশ কটি রেকর্ড হয়ে গেছে এরই মধ্যে। অধিনায়ক হয়ে দুই টেস্টেই তিনটি ‘ডাক’ মারার ‘কৃতিত্ব’ দেখাতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। এই রেকর্ড ভিলিয়ার্সের একার। এর মধ্যে তো ছুঁয়েছেন ১০৪ বছর পুরো একটি রেকর্ডও! দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো অধিনায়কের শূন্যের 'পেয়ারে'র আগের রেকর্ড যে ছিল সেই ১৯১২ সালের, ওভাল টেস্টে লুইস ট্যানক্রেড দুই ইনিংসে প্রায় ‘ওভাল’ আকৃতির রান করেছিলেন।

অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে তিনটি শূন্য মারার রেকর্ডে ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গী মাত্র ছয়জন। এর মধ্যে টানা তিন ইনিংসে শূন্য মারার রেকর্ডটা আর আছে পাকিস্তানের ইমতিয়াজ আহমেদ (১৯৬২), দক্ষিণ আফ্রিকারই হ্যানসি ক্রনিয়ে (২০০০)।

দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি শূন্য মারার তালিকাতেও দ্রুত ঢুকে গেলেন এবি। অধিনায়ক হিসেবে ১৯১ ইনিংস খেলে সর্বোচ্চ ৯টি শূন্য গ্রায়েম স্মিথের। ৮৪ ইনিংসে ক্রনিয়ের আটটি, ১৮ ইনিংসে চারটি শূন্য হার্বি ওয়েডের। চার ইনিংস খেলেই তিনটি শূন্য নিয়ে জোর কদমে এগিয়ে চলেছেন ডি ভিলিয়ার্স!

টেস্টে এই প্রথম হতে পারে, তবে এভাবে ঘনঘন শূন্যে ‘ভেসে যাওয়া’র অভিজ্ঞতা ডি ভিলিয়ার্সের আগেও হয়েছে। সেটি অবশ্য ওয়ানডেতে! ২০০৭ বিশ্বকাপে ১৬ মার্চ বিশ্বকাপে হল্যান্ড ম্যাচে শূন্যের মুখ দেখেছিলেন এবি। যেটি তাঁর ক্যারিয়ারেরই প্রথম। এরপর ওই বিশ্বকাপে আরও তিনবার শূন্যতে আউট। আট ইনিংসের চারটিতেই শূন্য!

টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শূন্যটি এর পরের বছর। এই সেঞ্চুরিয়নেই ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর তাঁকে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ‘ডাক’ উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশ।

সেঞ্চুরিয়ন প্রথম ‘ডাক’ থেকে সাত বছর পর সেঞ্চুরিয়নেই প্রথম ‘পেয়ার’। এর মধ্যে কত সেঞ্চুরি, রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি, টেস্টের সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু তবু নামে ‘সেঞ্চুরি’ থাকা এই ভেন্যুটিই ডি ভিলিয়ার্সকে উপহার দিয়ে যাচ্ছে টেস্টে শূন্যের প্রথম যত অভিজ্ঞতা!

(ওএস/এস/জানুয়ারি২৬,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test