E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘মাঠে লড়াই করে আবারো বিজয় ছিনিয়ে আনবো’

২০১৬ অক্টোবর ০৩ ১৬:২৪:৩০
‘মাঠে লড়াই করে আবারো বিজয় ছিনিয়ে আনবো’

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা : বিপিএলে নতুন ফ্রেঞ্চাইজি নিয়ে বাজিমাত করা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলার হান্টে গ্র্যান্ড ফাইনালে নির্বাচিত হয়েছেন ১৫ জন বোলার। তবে তাদের নাম ঘোষণা করা হয় নি।

দুই একদিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে তাদের নাম। এই ১৫ বোলারের মধ্যে ১০ জন আগামী দুই মাস কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দলের সাথে থাকবেন মাঠে। সুযোগ পাবেন প্রশিক্ষণের। আর স্ট্যান্ডবাই থাকবেন ৫ জন। তারাও প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। তিনটি ভেন্যু থেকে নির্বাচিত ৭০ জন বোলারের মধ্যে এই ১৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। কুমিল্লার তিনটি ভেন্যুতে অন্তত সহস্্রাধিক বোলার অংশ নেন।

গ্র্যান্ড ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারম্যান নাফিসা কামাল। ৭০ জন বোলারের মধ্য থেকে ১৫ জন বোলার নির্বাচিত করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে দল গঠনের আগে এই ‘বোলার হান্ট’ কর্মসূচি দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

‘ভিক্টোরিয়ান্সদের সাথে তুমিও থাকবে মাঠে!’-এই শিরোনামে ‘ভিক্টোরিয়ান্স বোলার হান্ট’ কর্মসূচি হয় কুমিল্লার চান্দিনা, কুমিল্লা স্টেডিয়াম ও লালমাই ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমিতে।

লালমাই ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমিতে রবিবার দিনভর অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড ফাইনাল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারম্যান নাফিসা কামাল বলেন, আপনারা বলেন আমি কুমিল্লার গর্ব কিন্তু আমি বলি কুমিল্লা আমার গর্ব। যে দশজন ইয়েস কার্ড পেলেন তাদের পেয়ে আমরা আনন্দিত। সেই সাথে কৃতজ্ঞ তাদের কাছে যারা আমাদের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে এটি সফল করলেন।

তিনি বলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দশ জন বিদেশী খেলোয়াড়সহ দলের সব খেলোয়াড়কে নিয়ে আমরা কুমিল্লায় আসবো। আমাদের জন্য দোয়া করবেন আবারো যে গতবারের মতো ভালো কিছু দেখাতে পারি।

তিনি বলেন, লটারিতে আমাদের ভাগ্য খুব ভালো না, গতবার লটারীতে ৬ এ ছিলাম। এবার ৭এ। সে যাই হোক দলের অধিনায়ক মাশরাফি সন্তুষ্ট, কোচ সস্তুষ্ট। মাঠে আবার লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনবো ইনশাল্লাহ। ট্রফি পাই আর না পাই, আমরা চাই ভালো খেলতে যাবে সবাই আমাদেরকে মনে রাখে।

তিনি বলেন, বিপিএলের প্লেয়ার ড্রাফটে কুমিল্লার রাসেলকে পেয়েছি। আমরা তাকে নিয়ে নিয়েছি। আগামীবার যে এ তালিকায় কুমিল্লার তিন চারটা রাসেল থাকে যাতে আমরা তাদের দলে নিতে পারি।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট তার বক্তব্যে বলেন, গতবার দলের খেলোয়াড়ের তালিকা দেখে অনেকেরই মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু আমরা চ্যাম্পিয়ান হয়েছি। ক্রিকেট খেলায় মাঠেই হবে খেলা। নতুন ও তরুণ অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় পেয়েছি। গতবারের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবো।

‘ভিক্টোরিয়ান্স বোলার হান্ট’ কর্মসূচিতে নিবার্চক হিসেবে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ হাবিব মোবালেক জেন্স, সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ আল আমিন ভূইয়া। তাদের উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফর্মেন্স কোচ ইমদাদুল হক ইমদু।
কর্মসূচিটি সফল করতে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান রোমেল সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। সেই সাথে সর্বাতœক সহযোগিতা করেন সাবেক ক্রিকেটার ফখরুল আলম উল্লাস। আর
পুরো কর্মসূচিটির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন লালমাই ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমির ক্রিকেট চীফ কোচ আতিকুর রহমান।

উল্লেখ্য, নতুন ফ্রেঞ্চাইজি নিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে বরিশাল বুলসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলের শিরোপা জিতে নিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

(একেএইচ/এএস/অক্টোবর ০৩, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test