E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোপার স্বপ্নে বিভোর স্কলারি

২০১৪ জুন ২৯ ১৮:২৪:৫২
শিরোপার স্বপ্নে বিভোর স্কলারি

স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : তিনি সে দেশের প্রেসিডেন্টের চেয়েও বেশি আলোচিত বা ক্ষমতার অধিকারী  হন যিনি ব্রাজিলের কোচ। কারণ, নিজ দেশ তো বটেই সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের মুখে হাসি ফোটানোর ভারটা তার উপরই ন্যস্ত থাকে।

সেলেকাওদের প্রত্যেক সাধারণ নাগরিক মাত্রই উত্তরাধিকার সূত্রে ব্রাজিল দলের কোচ। সেক্ষেত্রে কোচের জায়গাটা রীতিমত ‘হটসিট’। হাজারো প্রশ্ন আর সমালোচনার তীর তাক করাই থাকে।

লুই ফেলিপ স্কলারির অবস্থান বেশ ভাল। দীর্ঘদিনের শিরোপা খরা ঘুচিয়ে ২০০২ সালে ব্রাজিলকে পঞ্চম বিশ্বকাপ এনে দেওয়া ব্যক্তিটি তিনি। তিনি কিছু বললে সেলেকাওসহ গোটা বিশ্বই সেটিকে অতি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়।

শনিবার চিলির বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে (৩-২) জেতার পর সংবাদমাধ্যমে তার কোটি টাকার কথা, ব্রাজিল স্বর্গ থেকে মাত্র তিন ধাপ দূরে। এই স্বর্গ মানে যে বিশ্বকাপ জয়, তা ছেলে-বুড়ো সবাই বোঝে।

চিলির মত দলের বিপক্ষে ব্রাজিলের কষ্টার্জিত জয়ের পর অবধারিতভাবেই প্রথম প্রশ্নটা রণগুরু স্কলারির দিকে যায়। এভাবে খেলতে থাকলে হেক্সা জয়ের আশা কতটুকু?

স্কোলারির জবাব, শুরু থেকে এই চাপটা আমরা নিজেরা নিয়েছি। আমরাই বলেছি কাপ জিতব। এখন লোকে তো আমাদের কাছে বলবেই যে, তোমরাই তো আশা দিয়েছিলে।

সঙ্গে যোগ করেন, স্বর্গে পৌঁছুতে আর মাত্র তিনটি ধাপ বাকি।

নিজ দল ও সমর্থকদের জন্য এমন আশার বাণী শোনানোর পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে প্রশংসায় ভেজাতেও ভুল হয় না স্কলারির। এই না হলে তার নাম ‘বিগ ফিল’! তিনি এও বলেন, আস্তে ‍আস্তে ম্যাচগুলো কঠিনতর হচ্ছে। এখন ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে।

প্রিয় শিষ্য নেইমার প্রসঙ্গ আসতেই গর্জে উঠলেন স্কোলারি, ছেলেটাকে কী প্রচণ্ড মারল। সাত-আট মিনিট নাগাদ এমন লাথি মারে যে ওর থাই ফুলে যায়। আমি তো ভেবেছিলাম খেলতেই পারবে না। ওই অবস্থাতেও উঠে পুরো ম্যাচ লড়ল। তার চেয়েও অসহ্য, একটা কার্ড দেখাল রেফারি।ওটায় কার্ড হবে না!

এরপর এল নেইমারের সেই জাদুকরি পেনাল্টি প্রসঙ্গ। সব সেনাপতিই শেষ পেনাল্টি শটটি মারার জন্য তার সেরা সৈনিককে তুলে রাখেন। নেইমারের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি।

বিগ ফিল বললেন, নেইমার সতেরো বছর বয়স থেকেই বরফশীতল মাথার। ওর বয়স এখন বাইশ। কিন্তু আসলে যেন পঁয়ত্রিশ। এটা যে বিশ্বকাপের পেনাল্টি সে সব বোধহয় ও মাথাতেই আনেনি। ও ভাবছিল সান্তোসের মাঠে মারছি। বা পাড়ায় বন্ধুদের সঙ্গে বাগানে খেলছি। অনবদ্য এই ছেলেটা!

পেনাল্টি মারার সময় নেইমারের মনের কথা তো বললেন, ‍আর নিজের মনের কথা? দোভাষীদের অনুবাদ বুঝলেন কিনা কে জানে, রেগে গিয়ে বললেন- সবাই ভেবেছেটা কী? আমরা ভদ্র বলে সবাই ব্রাজিলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে? চিলির অ্যাসিসট্যান্ট কোচ সারাক্ষণ গালাগাল দিচ্ছে। ফোর্থ রেফারিকে এসে মিনিটে মিনিটে অসন্তোষ জানিয়ে যাচ্ছে। অনেক সহ্য করেছি। আর নয়। ব্রাজিলও এবার উগ্র হবে।

(ওএস/পি/জুন ২৯,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test