E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খুচরা বাজারে চালের দাম কমেছে, আরও কমবে

২০১৭ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৩:০৮:২৫
খুচরা বাজারে চালের দাম কমেছে, আরও কমবে

স্টাফ রিপোর্টার : পাইকারি বাজারে চালের দাম কমার পর কমতে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও। সামনের দিনে আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পাইকারিতে যে হারে দাম কমেছে, খুচরা বাজারে সেভাবে কমেনি।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রকার ও মান ভেদে দুই থেকে পাঁচ টাকা কমেছে। গত তিন-চার দিনে পাইকারি বাজারে মোটা চালের দাম কমেছে কেজিপ্রতি প্রায় পাঁচ টাকা, কিন্তু খুচরায় কমেছে মাত্র দুই টাকা।

অন্যদিকে মিনিকেট বা চিকন চালের দাম পাইকারিতে প্রায় তিন টাকা কমলেও খুচরায় কমেছে এক টাকা। রাজধানীর মিরপুর, আগারগাঁও, শান্তিনগর, তালতলা ও মোহাম্মদপুর বাজারেরে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম কমতে শুরু করেছে, সামনের দিনে আরও কমবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারে দামের পার্থক্য কিছুটা কমেছে। গত তিন-চার দিনে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের এই পার্থক্য তৈরি হয়েছিল। পাইকারি বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৭-৫৯ টাকায়, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ৬৫-৬৬ টাকায়। তবে আজ (রোববার) দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৬৩ থেকে ৬৪ টাকায়।

নাজির শাইল চাল পাইকারিতে ৬৪-৬৬ টাকায়, খুচরায় বিক্রি হচ্ছিল ৬৬-৭০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১-২ টাকা কমে। রাজধানীর বাবু বাজার ও বাদামতলীতে পাইকারি বাজারে আটাশ চাল খুচরাতে বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৬ টাকায়, ঊনত্রিশ চাল ৫৪-৫৬ টাকায়, স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়, মোটা চাল (হাইব্রিড) খুচরা বাজারে ৪৫-৪৬ টাকায়।

মিরপুরের মুসলিম বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন বলেন, পাইকারিতে দাম কমেছে, কিন্তু পরিবহন ব্যয়সহ অন্যান্য কারণে সেভাবে আমরা দাম কমাতে পারিনি। তবে ক্রেতাদের জন্য এটা ভালো সংবাদ যে দাম কমতে শুরু করেছে। সামনে হয়তো কমে যাবে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে দেখা যায়, খুচরা বাজারে শনিবার মাঝারি চালের দাম কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা ও মোটা চাল কেজিপ্রতি দুই টাকা কমেছে।

ব্যবসায়ীদের মতে, খুচরা বাজারে চালের দাম কমতে একটু সময় লাগে। পাইকারিতে কমলেও খুচরায় হুট করে কমবে না। কারণ দাম বাড়ার সময় যেভাবে বাড়ে, কমার সময় সেভাবে কমে না।

মিরপুরের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ডেইলি মার্টের সাহাদত হোসেন বলেন, ঈদের পর মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে পাইকারি আড়তদাররা কেজিপ্রতি ৫-৬ টাকা দাম বাড়িয়েছিল। এরপর ধাপে ধাপে আরও দাম বেড়েছে। যার প্রভাবে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চালের দাম গড়ে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

তিনি বলেন, এখন খুচরা চালেল দাম একটু কমতে শুরু করেছে। তবে সেটা খুব বেশি না।

উল্লেখ্য, ঈদের পর এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে মোটা চালসহ বিভিন্ন ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। এতে দুর্ভোগ বাড়ে নিম্নআয়ের মানুষের। এরপর বাজার নিয়ন্ত্রণে গত রোববার থেকে দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরে খোলাবাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার।

এছাড়া মিল মালিকদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন। বৈঠকে দাম কমানোর শর্তে ব্যবসায়ীদের সবধরনের সহযোগিতা দেয়া আশ্বাস দেন তারা। ব্যবসায়ীরা দামও কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন। অন্যদিকে বিভিন্ন জেলার অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত রেখেছে সরকার।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test