E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভারতের ঋণ চুক্তির অর্থ ছাড়ে অসন্তোষ অর্থমন্ত্রী

২০১৭ অক্টোবর ০৪ ১৩:৪৮:৫২
ভারতের ঋণ চুক্তির অর্থ ছাড়ে অসন্তোষ অর্থমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : ভারতীয় ঋণ চুক্তির অর্থ ছাড়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ভারতের লাইন অব ক্রেডিট ঋণের ১ বিলিয়ন এবং ২ বিলিয়ন চুক্তির পর অর্থ ছাড় সন্তোষজনক নয়। তবে এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে তৃতীয় ‘ডলার ক্রেডিট লাইন’ এগ্রিমেন্টের আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা) ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরের পর তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় ঢাকায় সফররত ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি উপস্থিত ছিলেন।

এরপর অরুন জেটলি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তৃতীয় ‘ডলার ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেন্ট’ চুক্তির আওতায় অগ্রীম ১৭টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সুতরাং এবার অর্থ ছাড়ে সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, অবকাঠামোগত গুরুত্বপূর্ণ খাতে এ অর্থ ব্যয় হবে। প্রোজেক্ট সিলেকশন, ল্যান্ডসহ অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে অর্থ ছাড়ে সমস্যা হয়। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সব দেশই হয়। আশা করছি- সরকার এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে।

অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশীদার হতে ভারত পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা বাংলাদেশকে ৮০০ কোটি ডলারের ৩টি ঋণ দিয়েছি। এ পর্যন্ত এটাই ভারতের কোনো দেশকে দেয়া স্বল্প সুদে দেয়া সর্বোচ্চ ঋণ।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রথম এলওসির ১৫ প্রকল্পের মধ্যে ১২টির কাজ শেষ হয়েছে। গত সাত বছরে এ সব প্রকল্পের বিপরীতে ৩৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার ছাড় করেছে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক। প্রথম এলওসির আওতায় ৮৬ কোটি ২০ লাখ ডলার ঋণ দেয়ার কথা। দ্বিতীয় এলওসির ১৪ প্রকল্পের ১২টিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ভারত। তবে এক্ষেত্রে এখনো তেমন কোনো অর্থ ছাড় হয়নি।

এদিকে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দু’দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সুরক্ষার চুক্তির উপর যৌথ ব্যাখ্যামূলক নোটসমূহ স্বাক্ষরিত হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্বাক্ষর করেন।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test