E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ৪ প্রতিষ্ঠান পেল জাতীয় রফতানি ট্রফি

২০১৮ জুলাই ১৫ ১৫:০৫:০১
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ৪ প্রতিষ্ঠান পেল জাতীয় রফতানি ট্রফি

স্টাফ রিপোর্টার : অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ ও সুসংহত করার জন্য রফতানি বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ৪ প্রতিষ্ঠান পেয়েছে জাতীয় রফতানি ট্রফি ও সনদ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রফতানির জন্য এ ট্রফি প্রদান করা হলো।

রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ট্রফি প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাণিজ্য সচিব সুভাশীষ বসু, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দীন), রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।

এ বছর এগ্রো প্রসেসিং পণ্য রফতানিতে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ তিনটি পদকই পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে প্রাণ ডেইরি লিমিটেড স্বর্ণপদক, প্রাণ এগ্রো রৌপ্য এবং ময়মনসিংহ এগ্রো (প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান) ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। এ ছাড়া ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড (প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান) রৌপ্য পদক পেয়েছে।

প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের প্রাপ্ত স্বর্ণপদক বাণিজ্যমন্ত্রীর হাত থেকে গ্রহণ করেন প্রাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এগ্রো প্রসেসিং পণ্য রফতানি করে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার (৫৫ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার আয় করেছে। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চোখে এটি একটি স্বচ্ছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। ২০০২ সালে নরসিংদীতে প্রতিষ্ঠিত প্রাণ ডেইরি এর আগে ২০১২-১৩ অর্থবছরেও জাতীয় রফতানি ট্রফি অর্জন করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে আড়াই হাজারের বেশি কর্মী কর্মরত রয়েছে।

প্রাণ এগ্রো লিমিটেড-এর প্রাপ্ত রৌপ্য পদক বাণিজ্যমন্ত্রীর হাত থেকে গ্রহণ করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ-এর পরিচালক (কার্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এগ্রো প্রসেসিং পণ্য রফতানি করে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার (৩৪ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার আয় করেছে। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চোখে এটি একটি স্বচ্ছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৯ সালে এগ্রোপ্রসেসড পণ্য উৎপাদান ও রফতানিকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত প্রাণ এগ্রো লিমিটেড এর আগে ২০০৭-০৮ অর্থবছর থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে জাতীয় রফতানি ট্রফি অর্জন করে।

ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেড-এর রফতানি ব্রোঞ্জ পদক গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার মো. মিজানুর রহমান। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এগ্রো প্রসেসিং পণ্য রফতানি করে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার (১৮ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার আয় করেছে। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চোখে এটি একটি স্বচ্ছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ময়মনসিংহ এগ্রোতে বর্তমানে ৩ হাজার কর্মী বছরে ৯ লাখ সাড়ে ৩৭ হাজার মেট্রিক টন বিবিধ জুস ও সফট্ ড্রিংকস উৎপাদন করছে।

ডিউরেবল প্লাস্টিকস লিমিটেডের প্রাপ্ত রৌপ্য পদক গ্রহণ করেন আরএফএল প্লাস্টিকের পরিচালক রথীন্দ্র নাথ পাল (আর এন পাল)। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এগ্রো প্রসেসিং পণ্য রফতানি করে ৭৪ লাখ ৩০ হাজার (৭ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার আয় করেছে। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১১১ শতাংশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চোখে সার্বিক বিচারে এটি একটি স্বচ্ছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। ২০০৯ সালে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদান ও রফতানিকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিউরেবল প্লাস্টিকস যাত্রা শুরু করে।

এ ছাড়াও রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হয়।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test