E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

৯৬৩ কেজির মধ্যে ৩ কেজি স্বর্ণ দূষিত : অর্থমন্ত্রী

২০১৮ জুলাই ২৪ ১৮:৩৪:১৭
৯৬৩ কেজির মধ্যে ৩ কেজি স্বর্ণ দূষিত : অর্থমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে স্বর্ণ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। ব্যাংকে স্বর্ণ রয়েছে ৯৬৩ কেজি, এর মধ্যে ৩ কেজি দূষিত। এটা কোনো সমস্যা নয়। এ বিষয়ে কোনো কমিটি করা হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিষয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা স্বর্ণ নিয়ে যেসব আলোচনা হচ্ছে। সেগুলো অনার্থক (ইউজলেস)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা স্বর্ণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে এর আগে গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা স্বর্ণ নিয়ে অনিয়মের যেভাবে দুনিয়া কাঁপানোভাবে প্রকাশিত হয়েছে এটা পুরোপুরি সত্য নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের মধ্যে যোগাযোগ ঘাটতিতেই এই সঙ্কট। তবে আমরা বিষয়টিকে ছোট করে দেখছি না। পর্যলোচনা করে কারো বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দেয়া স্বর্ণ জমা রাখার সময় স্বর্ণ ৪০ শতাংশই ছিল। কিন্তু ইংরেজি-বাংলার হেরফেরে সেটা ৮০ শতাংশ লিখে ভুলবশত নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ৮০ এবং ৪০-এ ক্লারিক্যাল মিসটেক হয়েছে।

তিনি বলেন, ছয় স্তরের নিরাপত্তা আছে, কোনো স্বর্ণ বাইরে যায় নাই। জনগণের সম্পদ রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। তাই টোটাল নিরাপত্তা সিস্টেমটা পর্যালোচনা করা হবে। এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো সংস্থা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে।

গত মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) একটি দৈনিকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর দিনভর আলোচনা চলে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এক অনুসন্ধানের তথ্যের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ পরীক্ষা করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের চাকতি ও আংটির জায়গায় এখন আছে মিশ্র বা সংকর ধাতু। আর ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রবিউল হোসেন এবং ভল্টের দায়িত্বে থাকা কারেন্সি অফিসার আওলাদ হোসেন চৌধুরী মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভল্টে রক্ষিত স্বর্ণে কোনো ধরনের হেরফের হয়নি; স্বর্ণকারের ভুলে ভাষার গণ্ডগোলে ৪০ হয়ে গেছে ‘এইটি’।

আওলাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রুটি বলতে যা আছে, নথিভুক্ত করার সময় ইংরেজি-বাংলার ভুল। এর বাইরে অন্য ত্রুটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই।’

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test