E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নির্বাচনে চার দিনের ছুটির ফাঁদে ব্যাংকিং খাত

২০১৮ ডিসেম্বর ১৯ ১৪:৪২:৪৪
নির্বাচনে চার দিনের ছুটির ফাঁদে ব্যাংকিং খাত

স্টাফ রিপোর্টার : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টানা চার দিনের ছুটির ফাঁদে পড়ছে দেশের ব্যাংকিং খাত। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ, সাপ্তাহিক ছুটি ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে আগামী ১ জানুয়ারি ব্যাংক খুলবে।

এদিকে টানা ছুটি ও ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন উপলক্ষে ২৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) মধ্যে চলতি বছরের ব্যাংকের বার্ষিক হিসাব চূড়ান্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন’ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় ৩১ ডিসেম্বর যথারীতি ব্যাংক হলিডে অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট গ্রহণের দিন দেশে সাধারণ ছুটি থাকবে। এর আগে ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর যথাক্রমে শুক্র ও শনিবার। ওই দুইদিন সপ্তাহিক সরকারি ছুটির ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ভোটের পরদিন ৩১ ডিসেম্বর দেশের ব্যাংকগুলো ‘ব্যাংক হলিডে’ পালন করবে। ওইদিন সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে। এ হিসেবে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা চারদিন দেশের কোনো ব্যাংকেই লেনদেন হবে না।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি আনিস এ খান বলেন, ‘ডিসেম্বরে এলেই হিসাব ক্লোজিং-সহ বিভিন্ন কাজে ব্যাংকারদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এবার নির্বাচনের কারণে শেষ সপ্তাহ ব্যাংকারদের জন্য খুব চাপ যাবে। ২৭ ডিসেম্বর ক্লোজিং করতে হবে। তাই বার্ষিক হিসাবা চূড়ান্ত করতে এখন দোম ফেলানোর সময় নেই।

দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ৫৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক- সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকে কর্মরত ৪৮ হাজার ৩৩১ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মরত রয়েছেন সোনালী ব্যাংকে ১৮ হাজার ১৬৭ জন। জনতা ব্যাংকে ১১ হাজার ৮৭৬, অগ্রণী ব্যাংকে ১২ হাজার ৭৯৮ জন ও রূপালী ব্যাংকে ৫ হাজার ৪৯০ জন।

এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক মিলিয়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে কর্মরত রয়েছেন প্রায় দুই লাখ জনবল। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার) হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অফিসার, সিনিয়র অফিসার ও প্রিন্সিপাল অফিসারদের। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিতে পারবে দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদেরও।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test