E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সবজি-ডিম-মুরগির দামে অস্বস্তি

২০১৯ জানুয়ারি ০৪ ১৪:৪১:২১
সবজি-ডিম-মুরগির দামে অস্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো নতুন সবজিতে ভরপুর থাকলেও দামে বাড়তি। মিষ্টি কুমড়া, চিচিঙ্গা, ধুন্দল ও নতুন আলুর দাম বেশি। বরাবরের মতো মুরগি ও ডিমেও বাড়তি দাম। কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত। ফলে শীতে নতুন সবজিতে বাজার ভরপুর থাকলেও অস্বস্তি প্রকাশ করেন সাধারণ ক্রেতারা।

শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজধানীর কল্যাণপুর নতুন বাজার ঘুরে দেখা যায়, নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে। তবে ৫ কেজির বেশি কিনলে কেজিতে মিলছে ২টা কম। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা ও ছোট পিস বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকায়। এক কেজি ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গার ঝাঝটাও বেশি, ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার ও মানভেদে করলার দাম কমেছে ১০ টাকা। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কল্যাণপুর নতুন বাজারে আয়েশা রহমতুল্লাহ নামে নারী ক্রেতা বলেন, নতুন সবজিতে একটা আগ্রহ থাকে। কিন্তু দেখুন আলু, চিচিঙ্গা, ধুন্দলের দাম বেশি। তাই কম কম করে কিনতে হচ্ছে।

রেজাউল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল এখনো বাজারে সেভাবে আসেনি, তাই দামও বেশি। তবে অন্য সবজি কম দামেই মিলছে।

বাজারে এসেছে হরেক রকম শিম। তবে মানিকগঞ্জ থেকে নিয়ে আসা শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। অন্য শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। গত সপ্তাহের ন্যায় প্রকার ও মানভেদে বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। কাঁচা টমেটোর দাম কমে ২০ টাকা হলেও এখনো দামে বেশি পাকা টমেটো। ৩৫ টাকার নিচে মিলছে না পাকা টমেটো।

সবজি বিক্রেতা আজগর আলী বলেন, নতুন সবজি কেনা বেশি পড়া কমে বিক্রির সুযোগ নেই। তবে আগামী সপ্তাহে দাম কিছুটা কমতে পারে।

ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা পিস, বাধা কপি ১০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচা কলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এর বাইরে কাঁচা পেপে ২০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শসা ৪০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শালগমে দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।

মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। মুলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে। পালন শাক বিক্রি হচ্ছে ৫-১৫ টাকায় আটি। লাল ও সবুজ শাক বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকা আটি। লাউশাক পাওয়া যাচ্ছে ২০-৩০ টাকায়।

এছাড়া পেঁয়াজসহ বেশিরভাগ সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আগের সপ্তাহের মতো পুরাতন দেশি পেঁয়াজের কেজি ২৫ টাকা এবং নতুন দেশি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়।

পেঁয়াজ ঘরের ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, বাজারে এখন পেঁয়াজ পর্যাপ্ত। পুরো মৌসুমে ৪০ টাকার নীচে ছিলই না। তা কমে এখন ক্রেতাদের নাগালেই। বিক্রিও হচ্ছে বেশি।

কমেনি মুরগি ও ডিমের দাম। ডিম পাইকারি ৯৮ টাকা, খুচরা ১০০ থেকে ১০৫ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। ডিম ব্যবসায়ীরা জানান, ডিমের চাহিদার তুলনায় সাপ্লাই কম, উৎপাদনও কিছুটা কমেছে। এক সপ্তাহ আগে এক ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। এখন সেই ডিম ১০০ টাকা ডজন বিক্রি করতে হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা স্বপন মিয়া বলেন, ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। তবে ৪/৫ কেজি হলে কেজিতে ৫ টাকা কম নেয়া হচ্ছে। দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, চাহিদা বেশি কিন্তু সে তুলনায় সাপ্লাই নেই।

মুরগি কিনতে এসে হতাশ হয়ে ডিম কিনতে গিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেন বেসরকারি চাকরিজীবী মনসুর আলী। তিনি বলেন, সাড়ে ৩শ’ টাকা কেজিতে দেশি মুরগি কিনে খাওয়া কষ্টকর। সেখানে ব্রয়লারই ছিল ভরসা। কিন্তু ১১০ টাকার ব্রয়লারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা। আর ডিমে ডজনেই ১৫ টাকা বেড়েছে। বাধ্য হয়েই কেনা, বাঁচতে তো হবে।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test