E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সবজির দাম কমেছে

২০১৯ মে ৩১ ১৪:৪৫:৩৮
সবজির দাম কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার : কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া সবজির দাম ঈদের আগে কিছুটা কমেছে। রাজধানীর অধিকাংশ কাঁচা বাজারে বেশিরভাগ সবজি ৩০ টাকা কেজির মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অথচ রোজার শুরুতেও কোনো সবজির দাম ৫০ টাকা কেজির নিচে ছিল না।

এদিকে ঈদ সামনে রেখে সবজির পাশাপাশি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। তবে ডিম, মাছ, গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও মরিচের দাম।

শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঢেঁড়সের কেজি ২০-৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৪০ টাকা। ঝিঙের পাওয়া যাচ্ছে ২৫-৩০ টাকার মধ্যে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি।

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমার তালিকায় আরও রয়েছে- শিম, করলা, কাকরোল, পটল, বেগুন। গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিম বাজার ভেদে পাওয়া যাচ্ছে ২৫-৩৫ টাকায়। পটল বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫-৪০ টাকা।

গত সপ্তাহে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম কমে ২৫-৩০ টাকায় নেমে এসেছে। কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। বেগুনের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫-৪০ টাকার মধ্যে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা।

বরবটির কেজি আগের সপ্তাহের মতো ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দাম অপরিবর্তিত থাকা অন্য সবজিগুলোর মধ্যে ধুন্দুল ৪০-৫০ টাকা, শসা ২০-৩০ টাকা, পাকা টমেটো ২৫-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম কমার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদ করতে ইতিমধ্যে অনেকেই গ্রামের বাড়ি গেছেন। ফলে ঢাকা শহরে মানুষ কমার পাশাপাশি সবজির চাহিদাও কমেছে। এ কারণে সবজির দাম কিছুটা কম। তবে ঈদের পর আবার সবজির দাম বাড়তে পারে।

রামপুরার ব্যবসায়ী মো. আলী বলেন, এবার ঈদের আগে লম্বা ছুটি মিলেছে। ফলে রাজধানীর অধিকাংশ মানুষ পরিবার নিয়ে গ্রামে ঈদ করতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছে। আর যারা আছেন তারাও এক-দুই দিনের মধ্যে চলে যাবেন। এ কারণে কেউ অতিরিক্ত সবজি কিনছে না। এ কারণেই হয়তো সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

তবে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম। পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো খুচরা বাজারে ২৫-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারিতে পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা। কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।

এদিকে সবজির পাশাপাশি কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০-১৫৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫৫-১৬০ টাকা। গত সপ্তাহে ২৩০-২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা কেজি।

মুরগির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী আব্বাস বলেন, গত সপ্তাহে মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছিল। কিন্তু আজ আবার কমেছে। সাধারণত শুক্রবার মুরগির চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু দাম কমার পরও আজ ক্রেতা তুলনামূলক কম। এর কারণ হলো কয়দিন পরেই ঈদ। ঈদে সবাই গরু বা খাসির মাংস খাবে। এ কারণে যারা বয়লার মুরগি কিনেন তাদের একটি অংশ মুরগি কিনছে না।

মুরগির দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংস এবং ডিমের দাম। গরুর মাংস বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫২৫-৫৫০ টাকা কেজি। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকা কেজি। আর ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা।

এদিকে কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া মাছের দাম এখনো বেশ চড়া রয়েছে। তেলাপিয়া আগের মতো বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজি। রুই ২৮০-৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০-৭০০ টাকা, টেংরা ৫০০-৮০০ টাকা, শিং ৫০০-৬০০ টাকা এবং চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি।

(ওএস/এসপি/মে ৩১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test