E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আবাসনে নিবন্ধন ফি কমানোর প্রস্তাবে ধন্যবাদ রিহ্যাবের

২০১৯ জুন ১৩ ২৩:০২:৪৯
আবাসনে নিবন্ধন ফি কমানোর প্রস্তাবে ধন্যবাদ রিহ্যাবের

স্টাফ রিপোর্টার: নতুন অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটে আবাসন খাতে নিবন্ধন এবং স্ট্যাম্প ফি কমানোর যে প্রস্তাব করা হয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিয়াকত আলী ভূইয়া।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রিহ্যাব’র পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে লিয়াকত আলী ভূইয়া এ মন্তব্য করেন।

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, সরকারের এ যুগান্তকারী প্রস্তাবের ফলে আবাসন খাতে বিদ্যমান স্থবিরতা বহুলাংশে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করে রিহ্যাব। বাজেটে সরকার আবাসন খাতে যে বিনিয়োগ সুবিধার প্রস্তাব করেছে তা ফলপ্রসু ভূমিকা রাখবে এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা যাতে ভাড়ার টাকায় মাথা গোজার একটা ঠিকানা খুঁজে পায়, সেজন্য স্বল্প সুদের দীর্ঘমেয়াদী একটি তহবিল গঠনসহ রিহ্যাবের অন্যান্য দাবিসমূহ আগামীতে সরকার বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করে রিহ্যাব।

এর আগে বিকেল তিনটার দিকে বাজেট পেশের অনুমতি নিয়ে প্রথমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট বক্তব্য শুরু করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপর শুরু করেন ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক ১০০ পৃষ্ঠার ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন। কিন্তু অসুস্থ্য থাকায় কিছুক্ষণ পর থেকে বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।

সংসদে উপস্থাপনের আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয় প্রস্তাবিত বাজেটটি। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদের ক্যাবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে বাজেটটি অনুমোদন করা হয়।

এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এবারের বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।

বাজেটে ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা।

এবারের বাজেটে বড় আকারের ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান।

এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আদায় করবে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, এনবিআর বহির্ভূত কর আদায় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর ছাড়া আদায় বা প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।

(ওএস/অ/জুন ১৩, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test